১৭ মাস পর বিদেশে বিনিয়োগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল চীন
চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো আবার বিদেশি সিকিউরিটিজ কিনতে পারবে। আর্থিক সংকট দেখা দেওয়ার পরপরই ২০০৮ সালের মে মাসে চীন থেকে বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল চীন সরকার।
১৭ মাস পর এই বাধা তুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে চীন সরকার মন্দার সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কেটে গেছে বলে মনে করছে—এমনটাই মন্তব্য বিশ্লেষকদের।
ইতিমধ্যে ই ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ও চায়না মার্চেন্টস ফান্ড ম্যানেজমেন্টকে যথাক্রমে ১০০ কোটি ও ৫০ কোটি ডলার বিদেশি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকেরাও এও বলছেন যে বিদেশি বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে চীন আসলে দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বাইরে পাঠানোর ব্যাপারেই আভাস দিয়েছে। এর মাধ্যমে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ওপর ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়ার চাপও কমে আসবে।
বাণিজ্যিক ভারসাম্যে বিরাট অঙ্কের উদ্বৃত্তাবস্থা এবং বিদেশি বিনিয়োগের বিপুল পরিমাণ অন্তর্মুখী প্রবাহ চীনের মুদ্রার ওপর চাপ তৈরি করেছে। এর ফলে চীনা মুদ্রা ডলারের বিপরীতে যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।
অবশ্য চীনের প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদাররা মনে করছে, ইউয়ান এখন অবমূল্যায়িত। কাজেই এর উর্ধ্বমুখী মূল্যায়ন হওয়া উচিত। অর্থাত্ ডলার বা ইউরোর বিপরীতে ইউয়ানের দর আরও কম হওয়া উচিত। বর্তমানে গড়ে এক ডলার সমান প্রায় সাত ইউয়ান।
চীন অবশ্য ইউয়ানকে আরও শক্তিশালী করে তার রপ্তানিকারকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে আগ্রহী নয়। সে কারণেই ইউয়ানের ওপর চাপ কমানোর বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে দেশটি।
চীনে ইউবিএস সিকিউরিটিজের প্রধান অর্থনীতিবিদ ওয়াং তাও বলেন, ‘বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে এখন দেশের বাইরে পুঁজি যেতে দিতে হবে। তবে সরকার নিয়ন্ত্রিতভাবে পুঁজির এই প্রবাহ বাইরে যেতে দিতে আগ্রহী।’
চীন সরকার এখন চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিক হারে বিদেশে সরাসরি বিনিয়োগ করায় উত্সাহিত করছে। একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ড ও শেয়ার বিক্রি করে পুঁজি বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
এই দুটি পদক্ষেপ ইউয়ানের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে বলে ধারণা করা হয়।
উল্লেখ্য, এ বছর জানুয়ারির শেষে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল এক লাখ ৯১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা সেপ্টেম্বরের শেষে এসে দাঁড়ায় দুই লাখ ২৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
১৭ মাস পর এই বাধা তুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে চীন সরকার মন্দার সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কেটে গেছে বলে মনে করছে—এমনটাই মন্তব্য বিশ্লেষকদের।
ইতিমধ্যে ই ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ও চায়না মার্চেন্টস ফান্ড ম্যানেজমেন্টকে যথাক্রমে ১০০ কোটি ও ৫০ কোটি ডলার বিদেশি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকেরাও এও বলছেন যে বিদেশি বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে চীন আসলে দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বাইরে পাঠানোর ব্যাপারেই আভাস দিয়েছে। এর মাধ্যমে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ওপর ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়ার চাপও কমে আসবে।
বাণিজ্যিক ভারসাম্যে বিরাট অঙ্কের উদ্বৃত্তাবস্থা এবং বিদেশি বিনিয়োগের বিপুল পরিমাণ অন্তর্মুখী প্রবাহ চীনের মুদ্রার ওপর চাপ তৈরি করেছে। এর ফলে চীনা মুদ্রা ডলারের বিপরীতে যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।
অবশ্য চীনের প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদাররা মনে করছে, ইউয়ান এখন অবমূল্যায়িত। কাজেই এর উর্ধ্বমুখী মূল্যায়ন হওয়া উচিত। অর্থাত্ ডলার বা ইউরোর বিপরীতে ইউয়ানের দর আরও কম হওয়া উচিত। বর্তমানে গড়ে এক ডলার সমান প্রায় সাত ইউয়ান।
চীন অবশ্য ইউয়ানকে আরও শক্তিশালী করে তার রপ্তানিকারকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে আগ্রহী নয়। সে কারণেই ইউয়ানের ওপর চাপ কমানোর বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে দেশটি।
চীনে ইউবিএস সিকিউরিটিজের প্রধান অর্থনীতিবিদ ওয়াং তাও বলেন, ‘বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে এখন দেশের বাইরে পুঁজি যেতে দিতে হবে। তবে সরকার নিয়ন্ত্রিতভাবে পুঁজির এই প্রবাহ বাইরে যেতে দিতে আগ্রহী।’
চীন সরকার এখন চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিক হারে বিদেশে সরাসরি বিনিয়োগ করায় উত্সাহিত করছে। একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ড ও শেয়ার বিক্রি করে পুঁজি বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
এই দুটি পদক্ষেপ ইউয়ানের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে বলে ধারণা করা হয়।
উল্লেখ্য, এ বছর জানুয়ারির শেষে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল এক লাখ ৯১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা সেপ্টেম্বরের শেষে এসে দাঁড়ায় দুই লাখ ২৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
No comments