ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা
৪ অক্টোবর ২০০৯ প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যাপীঠ নিয়ে কিছু কথা’ শিরোনামের ফজলুল হকের লেখাটি পড়ে অনুপ্রেরণা লাভ করলাম। ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার ব্যাপক প্রভাবে এ দেশে একটি শ্রেণী ইংরেজিকে মুখের ভাষা হিসেবে প্রয়োগ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। দেশের সংস্কৃতির ওপর ভিনদেশি সংস্কৃতির কিছু বিকৃত রূপ আমাদের মন ও মগজকে গ্রাস করছে দিন দিন! ইংরেজি শেখার বিপক্ষে আমরা নই কিংবা কোনো ভাষাকে হেয় প্রতিপন্ন করাও আমাদের লক্ষ্য নয়; কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক ভাষা আয়ত্ত করার নামে আমরা যেন ভিন্ন সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে না দিই। ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষালাভের মোহে শিশুদের গেলাচ্ছি অজানা ভুবনের মোটাদাগের জ্ঞানবটিকা! জ্ঞান অর্জন করে জাতিকে এগিয়ে নিতে গেলে মাতৃভাষার কোনো বিকল্প নেই! প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কথা স্মরণ করতে পারি—‘আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি, তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন।’
সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবি উত্থাপন করেছেন। এমন সময়ে আমার ধারণা, ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় নামের মোহ ও সামাজিক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিযোগিতা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা পথ অন্তত আমরা খুঁজে বের করতে পারি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে প্রায়োগিক ইংরেজি শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা রাখলে তা হবে আমাদের সবার জন্য মঙ্গলজনক। উচ্চশিক্ষায় ইংরেজিকে মাধ্যম হিসেবে গণ্য করার বিষয়টিও বিবেচনা করা যায়। আর বাংলাদেশে সব পর্যায়ে (পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্র ব্যতীত) বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা কিংবা চালু করার কথা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। এটা করা গেলে অহেতুক অস্থিরতা, বাড়তি ব্যয় কমবে বলে আমার মনে হয়।
জান্নাতুল আফসানা
শ্যামপুর সুগার মিল, রংপুর।
সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবি উত্থাপন করেছেন। এমন সময়ে আমার ধারণা, ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় নামের মোহ ও সামাজিক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিযোগিতা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা পথ অন্তত আমরা খুঁজে বের করতে পারি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে প্রায়োগিক ইংরেজি শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা রাখলে তা হবে আমাদের সবার জন্য মঙ্গলজনক। উচ্চশিক্ষায় ইংরেজিকে মাধ্যম হিসেবে গণ্য করার বিষয়টিও বিবেচনা করা যায়। আর বাংলাদেশে সব পর্যায়ে (পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্র ব্যতীত) বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা কিংবা চালু করার কথা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। এটা করা গেলে অহেতুক অস্থিরতা, বাড়তি ব্যয় কমবে বলে আমার মনে হয়।
জান্নাতুল আফসানা
শ্যামপুর সুগার মিল, রংপুর।
No comments