শান্তি পুরস্কার পেয়ে ওবামাকে ততটা খুশি মনে হয়নি
নোবেল মনোনয়ন কমিটির সদস্য ইঙ্গার-মারি ইত্তেরহর্ন বলেছেন, ‘পুরস্কার নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন নরওয়ে আসার কথা নিশ্চিত করলেন, তখন টেলিভিশনে আমি তাঁর চেহারা দেখেছি, দেখে তাঁকে তেমন খুশি মনে হয়নি।’ গত মঙ্গলবার নরওয়ের ওসলোতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাধারণত পুরস্কারের জন্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা সম্পর্কে নোবেল কমিটির সদস্যরা মুখ খোলেন না। কিন্তু মঙ্গলবার অনেকটা অস্বাভাবিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির পাঁচজন বিচারকের চারজনই এ ব্যাপারে মুখ খুললেন।
ইত্তেরহর্ন বলেন, ‘বেকারত্ব ও স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার নীতির মতো যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে জর্জরিত ওবামা এবং সেগুলো বাড়ছে বলেই মনে হচ্ছে।’ এই পুরস্কার পাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ডেকে আনতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরস্কার পাওয়ার কারণে ওবামার প্রতি এখন প্রত্যাশা বেড়ে যাবে। অন্যদিকে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে তাঁর সমালোচকেরা বিষয়টিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ওবামাকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে ইত্তেরহর্ন বলেন, ‘আমরা (নোবেল কমিটি) যখনই কোনো পুরস্কার ঘোষণা করেছি, সেটা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তাই ওবামার বেলায়ও বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল না।’
সময় হওয়ার অনেক আগেই ওবামাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে—এই বিতর্কের জবাবে পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান থর্বজর্ন জাগল্যান্ড ফ্রান্স থেকে টেলিফোনে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘আমরা এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নই। তিনি তাঁর কর্মের ভিত্তিতেই পুরস্কার অর্জন করেছেন।’ এ ক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্ব ও পশ্চিমা শক্তিদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনা ও ইউরোপে বুশ আমলে নেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি। জাগল্যান্ড বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে তাঁর উদ্যোগ হয়তো বিশ্বে বড় ধরনের শান্তি প্রতিষ্ঠা করেনি, কিন্তু এর মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাস পেয়েছে।’
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ১ ফেব্রুয়ারির মাত্র দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ওবামা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর এখনো এক বছর পূর্ণ হয়নি। এরই মধ্যে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো। এসব বক্তব্যের ব্যাপারে জাগল্যান্ড বলেন, ‘ওবামাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া নীতিমালা অনুযায়ী। উত্তরাধিকারনামায় আলফ্রেড নোবেল বলে গেছেন, আগের বছর শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজ যিনি করেছেন, তিনি ওই বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন।’ জাগল্যান্ডের এই বক্তব্যের সূত্র ধরে এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির বিচারক হিসেবে যোগ দেওয়া নরওয়ের রাজনীতিক আগোট ভ্যালে বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওবামার চেয়ে কে বেশি অবদান রেখেছেন?
এ ব্যাপারে কমিটির আরেক সদস্য নরওয়ের রাজনীতিক কাসি কুলমান বলেন, ‘ওবামার পুরস্কার নিয়েও কথা উঠতে পারে বলে আশা করেছিলাম আমরা। তবে আমি যেটা বলতে চাই, এই পুরস্কার দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যের প্রতি আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে।’ গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিরোধিতা করেছিলেন কমিটির অধিকাংশ সদস্য
নরওয়ের নোবেল কমিটির পাঁচ সদস্যের তিনজনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। নরওয়ের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ভেরডেনস গাং (ভিজি) গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানায়।
পত্রিকাটি জানায়, বেশ কয়েকটি সূত্রের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, নোবেল কমিটির অধিকাংশ সদস্য প্রথমে বারাক ওবামাকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। নোবেল কমিটিতে ডানপন্থী পপুলিস্ট প্রগ্রেস পার্টির প্রতিনিধি ইঙ্গার-মারি ইয়েত্তহর্ন ওবামাকে পুরস্কার দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ওবামার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
পত্রিকাটি আরও জানায়, কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিনিধি কাসি কুলমান ফাইভ এবং সোশালিস্ট পার্টির প্রতিনিধি আগোট ভ্যালেরও এ বিষয়ে আপত্তি ছিল। ওবামাকে পুরস্কার দেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান থর্বজোয়ার্ন জাগল্যান্ড এবং সিসেল রোয়েনবেক। তাঁরা দুজনেই লেবার পার্টির প্রতিনিধি।
সাধারণত পুরস্কারের জন্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা সম্পর্কে নোবেল কমিটির সদস্যরা মুখ খোলেন না। কিন্তু মঙ্গলবার অনেকটা অস্বাভাবিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির পাঁচজন বিচারকের চারজনই এ ব্যাপারে মুখ খুললেন।
ইত্তেরহর্ন বলেন, ‘বেকারত্ব ও স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার নীতির মতো যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে জর্জরিত ওবামা এবং সেগুলো বাড়ছে বলেই মনে হচ্ছে।’ এই পুরস্কার পাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ডেকে আনতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরস্কার পাওয়ার কারণে ওবামার প্রতি এখন প্রত্যাশা বেড়ে যাবে। অন্যদিকে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে তাঁর সমালোচকেরা বিষয়টিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ওবামাকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে ইত্তেরহর্ন বলেন, ‘আমরা (নোবেল কমিটি) যখনই কোনো পুরস্কার ঘোষণা করেছি, সেটা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তাই ওবামার বেলায়ও বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল না।’
সময় হওয়ার অনেক আগেই ওবামাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে—এই বিতর্কের জবাবে পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান থর্বজর্ন জাগল্যান্ড ফ্রান্স থেকে টেলিফোনে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘আমরা এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নই। তিনি তাঁর কর্মের ভিত্তিতেই পুরস্কার অর্জন করেছেন।’ এ ক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্ব ও পশ্চিমা শক্তিদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনা ও ইউরোপে বুশ আমলে নেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি। জাগল্যান্ড বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে তাঁর উদ্যোগ হয়তো বিশ্বে বড় ধরনের শান্তি প্রতিষ্ঠা করেনি, কিন্তু এর মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাস পেয়েছে।’
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ১ ফেব্রুয়ারির মাত্র দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ওবামা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর এখনো এক বছর পূর্ণ হয়নি। এরই মধ্যে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো। এসব বক্তব্যের ব্যাপারে জাগল্যান্ড বলেন, ‘ওবামাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া নীতিমালা অনুযায়ী। উত্তরাধিকারনামায় আলফ্রেড নোবেল বলে গেছেন, আগের বছর শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজ যিনি করেছেন, তিনি ওই বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন।’ জাগল্যান্ডের এই বক্তব্যের সূত্র ধরে এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির বিচারক হিসেবে যোগ দেওয়া নরওয়ের রাজনীতিক আগোট ভ্যালে বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওবামার চেয়ে কে বেশি অবদান রেখেছেন?
এ ব্যাপারে কমিটির আরেক সদস্য নরওয়ের রাজনীতিক কাসি কুলমান বলেন, ‘ওবামার পুরস্কার নিয়েও কথা উঠতে পারে বলে আশা করেছিলাম আমরা। তবে আমি যেটা বলতে চাই, এই পুরস্কার দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যের প্রতি আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে।’ গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিরোধিতা করেছিলেন কমিটির অধিকাংশ সদস্য
নরওয়ের নোবেল কমিটির পাঁচ সদস্যের তিনজনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। নরওয়ের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ভেরডেনস গাং (ভিজি) গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানায়।
পত্রিকাটি জানায়, বেশ কয়েকটি সূত্রের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, নোবেল কমিটির অধিকাংশ সদস্য প্রথমে বারাক ওবামাকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। নোবেল কমিটিতে ডানপন্থী পপুলিস্ট প্রগ্রেস পার্টির প্রতিনিধি ইঙ্গার-মারি ইয়েত্তহর্ন ওবামাকে পুরস্কার দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ওবামার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
পত্রিকাটি আরও জানায়, কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিনিধি কাসি কুলমান ফাইভ এবং সোশালিস্ট পার্টির প্রতিনিধি আগোট ভ্যালেরও এ বিষয়ে আপত্তি ছিল। ওবামাকে পুরস্কার দেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান থর্বজোয়ার্ন জাগল্যান্ড এবং সিসেল রোয়েনবেক। তাঁরা দুজনেই লেবার পার্টির প্রতিনিধি।
No comments