‘...শুধু ওরা বাদে’
ডিয়েগো ম্যারাডোনা |
মনের ভেতর পুষে রাখা ক্ষোভ উগরে দিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। উরুগুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়া নিশ্চিত করার পর রেগেমেগে বললেন, ‘এই জয় সব আর্জেন্টাইনের জন্য, শুধু সাংবাদিক ছাড়া।’
সাংবাদিকদের প্রতি তাঁর ক্ষোভের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ, ‘ওরা আমাকে ধুলা-ময়লার মতো বিবেচনা করেছে। কিন্তু আমরা সসম্মানে বিশ্বকাপে উঠে গেছি। আমি এটা আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষ আর আমার পরিবারকে উত্সর্গ করছি। কিন্তু একটা অংশ এর যোগ্য নয়। কারণ তারা আমাকে আবর্জনার মতো মূল্যায়ন করেছে।’
শুধু ম্যারাডোনার যোগ্যতা নিয়েই নয়, গত কয়েক দিনে পত্রপত্রিকায় ম্যারাডোনার সরে দাঁড়ানোর হুমকি, জাতীয় দলে তাঁর উপদেষ্টা কার্লোস বিলার্দোর সঙ্গে কথিত রেষারেষি, অন্তর্কলহ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। এই ‘হলুদ সাংবাদিকতা’কেও একহাত নিলেন ম্যারাডোনা, ‘ওরা আরও অনেক কিছুর মতো আমার সঙ্গে বিলার্দোর মারামারি আবিষ্কার করেছে। আমার স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। আমার দলের ওপর যারা বিশ্বাস রাখতে পারেনি, যারা আমাকে একদম অকর্মা মনে করেছিল তাদের কথা আমি কখনোই ভুলব না।’
পত্রপত্রিকায় কী সব ‘হাবিজাবি’ ছাপা হয় এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না তিনি। তবে তার পরও এসব তাঁর কাজে ব্যাঘাত ঘটায় বলে জানালেন কোচ ম্যারাডোনা, ‘আমি সাধারণত পত্রপত্রিকা পড়ি না। ক্রীড়াবিষয়ক অনুষ্ঠানগুলোও দেখি না। কিন্তু আমার মেয়েরা দেখে। ওরাই আমাকে বলেছে, আমার সম্পর্কে কী সব বলাবলি হচ্ছে। তাই আমি আবারও বলছি, যারাই আমার সম্পর্কে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেছে, এখন তাদেরই নিজেদের কথা গিলতে হচ্ছে।’
গত কয়েকটি ম্যাচের তুলনায় কাল উরুগুয়ের বিপক্ষে তুলনামূলক গোছানো ফুটবল খেলেছে আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনার আত্মবিশ্বাসের পালেও তাই হাওয়া লেগেছে, ‘আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত। নিজেকে এখন সত্যিকারের একজন কোচ মনে হচ্ছে। কারণ ড্রেসিংরুমে আমি যেসব পরিকল্পনা করেছিলাম, তার সবগুলোই সঠিকভাবে আজ আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। এখন ঠান্ডা মাথায় কাজ করার, সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখার অনেক সময় পাব আমি।’
উরুগুয়ের প্রতিও সমবেদনা আর শুভকামনা জানিয়েছেন ম্যারাডোনা, ‘উরুগুয়ে খুবই ভালো একটা দল। কোচ অস্কার তাবারেজকে আমি শ্রদ্ধা আর সমীহ করি। উরুগুয়েও বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার যোগ্য। আমিও এটাই চাই। কারণ এই দেশে আমার অনেক বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী আছে।’
সাংবাদিকদের প্রতি তাঁর ক্ষোভের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ, ‘ওরা আমাকে ধুলা-ময়লার মতো বিবেচনা করেছে। কিন্তু আমরা সসম্মানে বিশ্বকাপে উঠে গেছি। আমি এটা আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষ আর আমার পরিবারকে উত্সর্গ করছি। কিন্তু একটা অংশ এর যোগ্য নয়। কারণ তারা আমাকে আবর্জনার মতো মূল্যায়ন করেছে।’
শুধু ম্যারাডোনার যোগ্যতা নিয়েই নয়, গত কয়েক দিনে পত্রপত্রিকায় ম্যারাডোনার সরে দাঁড়ানোর হুমকি, জাতীয় দলে তাঁর উপদেষ্টা কার্লোস বিলার্দোর সঙ্গে কথিত রেষারেষি, অন্তর্কলহ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। এই ‘হলুদ সাংবাদিকতা’কেও একহাত নিলেন ম্যারাডোনা, ‘ওরা আরও অনেক কিছুর মতো আমার সঙ্গে বিলার্দোর মারামারি আবিষ্কার করেছে। আমার স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। আমার দলের ওপর যারা বিশ্বাস রাখতে পারেনি, যারা আমাকে একদম অকর্মা মনে করেছিল তাদের কথা আমি কখনোই ভুলব না।’
পত্রপত্রিকায় কী সব ‘হাবিজাবি’ ছাপা হয় এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না তিনি। তবে তার পরও এসব তাঁর কাজে ব্যাঘাত ঘটায় বলে জানালেন কোচ ম্যারাডোনা, ‘আমি সাধারণত পত্রপত্রিকা পড়ি না। ক্রীড়াবিষয়ক অনুষ্ঠানগুলোও দেখি না। কিন্তু আমার মেয়েরা দেখে। ওরাই আমাকে বলেছে, আমার সম্পর্কে কী সব বলাবলি হচ্ছে। তাই আমি আবারও বলছি, যারাই আমার সম্পর্কে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেছে, এখন তাদেরই নিজেদের কথা গিলতে হচ্ছে।’
গত কয়েকটি ম্যাচের তুলনায় কাল উরুগুয়ের বিপক্ষে তুলনামূলক গোছানো ফুটবল খেলেছে আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনার আত্মবিশ্বাসের পালেও তাই হাওয়া লেগেছে, ‘আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত। নিজেকে এখন সত্যিকারের একজন কোচ মনে হচ্ছে। কারণ ড্রেসিংরুমে আমি যেসব পরিকল্পনা করেছিলাম, তার সবগুলোই সঠিকভাবে আজ আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। এখন ঠান্ডা মাথায় কাজ করার, সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখার অনেক সময় পাব আমি।’
উরুগুয়ের প্রতিও সমবেদনা আর শুভকামনা জানিয়েছেন ম্যারাডোনা, ‘উরুগুয়ে খুবই ভালো একটা দল। কোচ অস্কার তাবারেজকে আমি শ্রদ্ধা আর সমীহ করি। উরুগুয়েও বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার যোগ্য। আমিও এটাই চাই। কারণ এই দেশে আমার অনেক বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী আছে।’
No comments