ভ্রাম্যমাণ আদালত যথেষ্ট নয়, স্থায়ী নজরদারি দরকার -নিরাপদ রক্তের নিশ্চয়তা
দুর্ঘটনা, নানা রোগব্যাধি ও অস্ত্রোপচারকালে জরুরি ভিত্তিতে মানুষের যে রক্তের প্রয়োজন হয়, তা প্রাণ রক্ষা করবে—এটাই প্রত্যাশা। কিন্তু সেই রক্তই যদি হয় নানা প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানোর মাধ্যম, তাহলে দুর্ভাগ্যের সীমা থাকে না। রাজধানী ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের বেসরকারি মালিকানাধীন ডোনার ব্লাড অ্যান্ড প্যাথলজি সেন্টারে সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত যে দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন তাতে আশঙ্কা হয়, ওই রক্ত বিক্রয়কেন্দ্রটি রোগ ছড়ানোর কেন্দ্র। সেই সঙ্গে এই জিজ্ঞাসাও মনে জাগে, দেশজুড়ে যেসব ‘ব্লাডব্যাংক’ বা রক্ত বিক্রয়কেন্দ্র আছে, সেগুলোর অবস্থাই বা কী?
অন্তত পাঁচ ধরনের ঘাতক ব্যাধি এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হতে পারে রক্তের মাধ্যমে। সে কারণে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কোনো রোগী বা দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির দেহে রক্ত দেওয়ার আগে যে ব্যক্তির দেহ থেকে রক্ত নেওয়া হবে, তার রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হয় যে তা রোগ-জীবাণুমক্ত এবং তাতে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় রক্তের উপাদানগুলো স্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত নাজিমউদ্দিন রোডের ওই প্রতিষ্ঠানটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন, রক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো চালানোর কোনো ব্যবস্থাই সেখানে নেই। শুধু তা-ই নয়, সেখান থেকে যে ৭০ ব্যাগ রক্ত আদালত উদ্ধার করেছেন, সেগুলোর গায়ে নিয়মমাফিক রক্তদাতার নাম, রক্ত গ্রহণের তারিখ বা তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ—এসব অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজনীয় তথ্যের কোনো কিছুই লেখা নেই। আদালত ওই প্রতিষ্ঠানের দুজন অংশীদার মালিককে গ্রেপ্তার করেছেন; তাঁদের একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং অন্যজনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে উভয়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অবশ্যই সমুচিত কাজ করেছেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই এমন অভিযান চালানো উচিত। এ ধরনের যেসব প্রতিষ্ঠান ব্লাডব্যাংক পরিচালনা-সংক্রান্ত আইনকানুন ভঙ্গ করে অর্থাত্ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রক্ত নেয়, মাদকাসক্ত পেশাদার রক্তবিক্রেতাদের রক্ত নেয়, সঠিক পদ্ধতিতে রক্ত সংরক্ষণ করে না, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সেই রক্ত বিক্রি করে মানুষের প্রাণ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করে চলেছে, তাদের শুধু জেল-জরিমানা নয়, এই ব্যবসার অনুমতিই বাতিল করা উচিত। তবে এটা কেবল ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়, রক্ত বিক্রয়কেন্দ্রগুলোর ওপর প্রতিনিয়ত নজরদারির স্থায়ী ব্যবস্থা কার্যকর করা একান্ত প্রয়োজন।
অন্তত পাঁচ ধরনের ঘাতক ব্যাধি এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হতে পারে রক্তের মাধ্যমে। সে কারণে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কোনো রোগী বা দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির দেহে রক্ত দেওয়ার আগে যে ব্যক্তির দেহ থেকে রক্ত নেওয়া হবে, তার রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হয় যে তা রোগ-জীবাণুমক্ত এবং তাতে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় রক্তের উপাদানগুলো স্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত নাজিমউদ্দিন রোডের ওই প্রতিষ্ঠানটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন, রক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো চালানোর কোনো ব্যবস্থাই সেখানে নেই। শুধু তা-ই নয়, সেখান থেকে যে ৭০ ব্যাগ রক্ত আদালত উদ্ধার করেছেন, সেগুলোর গায়ে নিয়মমাফিক রক্তদাতার নাম, রক্ত গ্রহণের তারিখ বা তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ—এসব অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজনীয় তথ্যের কোনো কিছুই লেখা নেই। আদালত ওই প্রতিষ্ঠানের দুজন অংশীদার মালিককে গ্রেপ্তার করেছেন; তাঁদের একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং অন্যজনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে উভয়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অবশ্যই সমুচিত কাজ করেছেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই এমন অভিযান চালানো উচিত। এ ধরনের যেসব প্রতিষ্ঠান ব্লাডব্যাংক পরিচালনা-সংক্রান্ত আইনকানুন ভঙ্গ করে অর্থাত্ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রক্ত নেয়, মাদকাসক্ত পেশাদার রক্তবিক্রেতাদের রক্ত নেয়, সঠিক পদ্ধতিতে রক্ত সংরক্ষণ করে না, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সেই রক্ত বিক্রি করে মানুষের প্রাণ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করে চলেছে, তাদের শুধু জেল-জরিমানা নয়, এই ব্যবসার অনুমতিই বাতিল করা উচিত। তবে এটা কেবল ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়, রক্ত বিক্রয়কেন্দ্রগুলোর ওপর প্রতিনিয়ত নজরদারির স্থায়ী ব্যবস্থা কার্যকর করা একান্ত প্রয়োজন।
No comments