সেমিফাইনালও কি দেখবে টাইব্রেকার?
সেমিফাইনালেও টাইব্রেকারে জিতবেন নাকি? প্রশ্নটা আশাই করেননি মোহামেডান কোচ মারুফুল হক। অনেক ভেবে বললেন, ‘এযাবত্কালের কঠিন প্রশ্ন। আগে থেকে কী করে বলি।’
আগে থেকে বলা যায় না ঠিক, কিন্তু প্রশ্নটা তাঁকে করতেই হলো ফুটবলের গত কয়েক দিনের চালচিত্র দেখে। এবারের সিটিসেল ফেডারেশন কাপের চারটি কোয়ার্টার ফাইনালের তিনটিরই নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে। কাল ও পরশু দুটি সেমিফাইনালেও কি টাইব্রেকারের ধারা অব্যাহত রইবে? দুই বড় দল মোহামেডান-আবাহনী সেটা চাইতে পারে না। আবার এটাও ঘটনা, এই টাইব্রেকারই এবার কোয়ার্টার ফাইনালে পার করে দিয়েছে তাদের!
নারায়ণগঞ্জ শুকতারা শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করে দেওয়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল মোহামেডান। কোচ মারুফ টেনশনের সেই মুহূর্তটি এখনো যেন ভুলতে পারছেন না, ‘১-১ হয়ে যাওয়ায় পর একটা কথাই ভেবেছি, এত টাকা দিয়ে দল গড়ার পরও আমাদের কেন টাইব্রেকারে যেতে হবে। আমার হাত-পা কাঁপছিল। জাতীয় দলের ১০-১২ জন খেলোয়াড়ই আমাদের। এই দলটির তো উচিত নির্ধারিত সময়েই ম্যাচ জেতা। তবে না ভাই...আর টাইব্রেকারে যেতে চাই না। সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়েই ফল বের করে নেব ইনশাআল্লাহ।’
আবাহনী অধিনায়ক বিপ্লব টাইব্রেকার শব্দটা আর মনেই আনতে চান না। তার পরও ‘সেমিফাইনালেও টাইব্রেকার?’ প্রশ্নটা শুনে বললেন, ‘ওরে বাবা, আবার টাইব্রেকার?’ তবে শেখ রাসেলের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে দুঃস্বপ্নের ঘোরে ঢুকে পড়া আবাহনীকে উদ্ধার করেছে এই টাইব্রেকারই। তা করুক, বিপ্লব আর টাইব্রেকারে যেতে চান না, ‘এটা তো লটারি। আমরা হেরেও যেতে পারতাম।’ জানালেন ওই সময়ের অভিজ্ঞতাও, ‘প্রতিটা শটের সময়ই পোস্টে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলেছি, বিপ্লব তুমি এখন দলকে বাঁচাতে পার। কিছু একটা কর। খুবই টেনশনের ব্যাপার।’
দুই প্রধান দলকে টাইব্রেকারে কেন জিততে হলো? মারুফ বলছেন তাঁর দলের কথা, ‘আমাদের কিছু সমস্যা হয়েছে। বৃষ্টিতে খেলা পেছানোয় দলের ছন্দটা নষ্ট হয়েছে। মাঠও ভালো ছিল না। এসব কারণে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারিনি আমরা।’ তার পরও ছোট দলগুলোর কি কৃতিত্ব নেই? ‘অবশ্যই আছে। তবে এটা বড় কারণ নয়। বড় দলের মতো আমরা খেলতে পারিনি’—বলেছেন মারুফ। বিপ্লবেরও প্রায় অভিন্ন কথা, ‘আমরা বড় দল, কিন্তু সেভাবে খেলতে পারছি কই। সামাদ ওরকম একটা ভুল করল, গোল খেলাম। আমাদেরই তো দোষ।’
আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় মোহামেডানের সামনে ফেনী সকার, পরশু বিকেল পাঁচটায় আবাহনী খেলবে বিয়ানীবাজারের বিপক্ষে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত দুই ম্যাচেই নির্ধারিত সময়ে অঘটন ঘটাতে পারলে তো ভালোই, সেটা না পারলে ম্যাচটাকে টাইব্রেকারে নিতে চাইবে ছোট এই দুই দল। কোয়ার্টার ফাইনালে সকার হারিয়েছে রহমতগঞ্জকে, সেই টাইব্রেকারে। দলটির কোচ মিলন মোল্লা বলে দিলেন, ‘ভাগ্য সহায় হলে সেমিফাইনালেও জিততে পারি। নির্ধারিত সময়ে না পারলে ম্যাচটা টাইব্রেকারে নেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের থাকবেই।’ এত টাইব্রেকার হচ্ছে কেন? তাঁর উত্তর, ‘ছোট টিমগুলো ভালো খেলছে তাই...।’
বিয়ানীবাজারের কোচ জমিসউদ্দিন জোসিরও একই কথা, ‘আগে ছোট আর বড় দলগুলোর মধ্যে ব্যবধান ছিল ২০-১০। এখন ২০-১৫। এ জন্যই টাইব্রেকার। আমরা সেমিফাইনালটা সহজে হারতে চাইব না। ফাইট করে টাইব্রেকারে গেলেও আমাদের জন্য ভালো।’
দেখাই যাক, ঢাকার বাইরের ছোট দুই দল দেশের সবচেয়ে বড় দুই দলের পরীক্ষা নিতে পারে কি না!
আগে থেকে বলা যায় না ঠিক, কিন্তু প্রশ্নটা তাঁকে করতেই হলো ফুটবলের গত কয়েক দিনের চালচিত্র দেখে। এবারের সিটিসেল ফেডারেশন কাপের চারটি কোয়ার্টার ফাইনালের তিনটিরই নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে। কাল ও পরশু দুটি সেমিফাইনালেও কি টাইব্রেকারের ধারা অব্যাহত রইবে? দুই বড় দল মোহামেডান-আবাহনী সেটা চাইতে পারে না। আবার এটাও ঘটনা, এই টাইব্রেকারই এবার কোয়ার্টার ফাইনালে পার করে দিয়েছে তাদের!
নারায়ণগঞ্জ শুকতারা শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করে দেওয়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল মোহামেডান। কোচ মারুফ টেনশনের সেই মুহূর্তটি এখনো যেন ভুলতে পারছেন না, ‘১-১ হয়ে যাওয়ায় পর একটা কথাই ভেবেছি, এত টাকা দিয়ে দল গড়ার পরও আমাদের কেন টাইব্রেকারে যেতে হবে। আমার হাত-পা কাঁপছিল। জাতীয় দলের ১০-১২ জন খেলোয়াড়ই আমাদের। এই দলটির তো উচিত নির্ধারিত সময়েই ম্যাচ জেতা। তবে না ভাই...আর টাইব্রেকারে যেতে চাই না। সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়েই ফল বের করে নেব ইনশাআল্লাহ।’
আবাহনী অধিনায়ক বিপ্লব টাইব্রেকার শব্দটা আর মনেই আনতে চান না। তার পরও ‘সেমিফাইনালেও টাইব্রেকার?’ প্রশ্নটা শুনে বললেন, ‘ওরে বাবা, আবার টাইব্রেকার?’ তবে শেখ রাসেলের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে দুঃস্বপ্নের ঘোরে ঢুকে পড়া আবাহনীকে উদ্ধার করেছে এই টাইব্রেকারই। তা করুক, বিপ্লব আর টাইব্রেকারে যেতে চান না, ‘এটা তো লটারি। আমরা হেরেও যেতে পারতাম।’ জানালেন ওই সময়ের অভিজ্ঞতাও, ‘প্রতিটা শটের সময়ই পোস্টে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলেছি, বিপ্লব তুমি এখন দলকে বাঁচাতে পার। কিছু একটা কর। খুবই টেনশনের ব্যাপার।’
দুই প্রধান দলকে টাইব্রেকারে কেন জিততে হলো? মারুফ বলছেন তাঁর দলের কথা, ‘আমাদের কিছু সমস্যা হয়েছে। বৃষ্টিতে খেলা পেছানোয় দলের ছন্দটা নষ্ট হয়েছে। মাঠও ভালো ছিল না। এসব কারণে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারিনি আমরা।’ তার পরও ছোট দলগুলোর কি কৃতিত্ব নেই? ‘অবশ্যই আছে। তবে এটা বড় কারণ নয়। বড় দলের মতো আমরা খেলতে পারিনি’—বলেছেন মারুফ। বিপ্লবেরও প্রায় অভিন্ন কথা, ‘আমরা বড় দল, কিন্তু সেভাবে খেলতে পারছি কই। সামাদ ওরকম একটা ভুল করল, গোল খেলাম। আমাদেরই তো দোষ।’
আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় মোহামেডানের সামনে ফেনী সকার, পরশু বিকেল পাঁচটায় আবাহনী খেলবে বিয়ানীবাজারের বিপক্ষে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত দুই ম্যাচেই নির্ধারিত সময়ে অঘটন ঘটাতে পারলে তো ভালোই, সেটা না পারলে ম্যাচটাকে টাইব্রেকারে নিতে চাইবে ছোট এই দুই দল। কোয়ার্টার ফাইনালে সকার হারিয়েছে রহমতগঞ্জকে, সেই টাইব্রেকারে। দলটির কোচ মিলন মোল্লা বলে দিলেন, ‘ভাগ্য সহায় হলে সেমিফাইনালেও জিততে পারি। নির্ধারিত সময়ে না পারলে ম্যাচটা টাইব্রেকারে নেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের থাকবেই।’ এত টাইব্রেকার হচ্ছে কেন? তাঁর উত্তর, ‘ছোট টিমগুলো ভালো খেলছে তাই...।’
বিয়ানীবাজারের কোচ জমিসউদ্দিন জোসিরও একই কথা, ‘আগে ছোট আর বড় দলগুলোর মধ্যে ব্যবধান ছিল ২০-১০। এখন ২০-১৫। এ জন্যই টাইব্রেকার। আমরা সেমিফাইনালটা সহজে হারতে চাইব না। ফাইট করে টাইব্রেকারে গেলেও আমাদের জন্য ভালো।’
দেখাই যাক, ঢাকার বাইরের ছোট দুই দল দেশের সবচেয়ে বড় দুই দলের পরীক্ষা নিতে পারে কি না!
No comments