পাকিস্তানকে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান হস্তান্তর শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৮টি এফ-১৬ মডেলের জঙ্গি বিমান পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের ফোর্ট ওর্থের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছে একটি বিমান হস্তান্তর করা হয়। বাকি বিমানগুলো পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে। ওই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের পক্ষে বিমানটি গ্রহণ করেন দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান রাও কামার সুলেমান। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার হুসাইন হাক্কানি, মার্কিন সরকারের পক্ষে আইনসভার সদস্য কে গ্র্যানজার ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রতিশ্রুত মার্কিন সহায়তার অংশ হিসেবে পাকিস্তানকে ওই জঙ্গি বিমান দেওয়া হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে পাঁচ বছরে সাড়ে ৭০০ কোটি ডলার দেবে। পাকিস্তানের জন্য কেরি-লুগার নামের আলোচিত ওই বিলটি সম্প্রতি মার্কিন আইনসভায় অনুমোদন পায়। দু-এক দিনের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই বিলে সই করবেন। ওই বিলে ‘আপত্তিকর’ কিছু শর্ত থাকায় এ নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্ক হয়। তাই এ নিয়ে আলোচনার জন্য গত সপ্তাহে পাকিস্তান সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশিকে ওয়াশিংটনে পাঠায়। কিন্তু শর্ত বাদ দেওয়া বা শিথিলের ব্যাপারে তেমন কোনো আশ্বাস পায়নি পাকিস্তান।
মঙ্গলবার নতুন বিমান আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের সময় পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধান সুলেমান বলেন, ‘এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হলো, তাদের কর্মসূচি (পিস ড্রাইভ-১) ঠিক পথেই আছে।’ পিস ড্রাইভ-১ প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ১৮টি জঙ্গি বিমান দেবে। এর মধ্যে ১২টি এফ-১৬সি মডেলের ও ছয়টি এফ-১৬ডি মডেলের।
লকহিড মার্টিনের এফ-১৬ প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন লারসন বলেন, ‘পিস ড্রাইভ প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর জন্য চতুর্থ প্রজন্মের সবচেয়ে অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০০৯-২০১০ সালের মধ্যে ১৮টি জঙ্গি বিমান পাকিস্তানের কাছে সরবরাহ করা হবে। ১৯৮২ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে প্রথম এফ-১৬ মডেলের বিমান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথম চালানটি পৌঁছানোর পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৪।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রতিশ্রুত মার্কিন সহায়তার অংশ হিসেবে পাকিস্তানকে ওই জঙ্গি বিমান দেওয়া হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে পাঁচ বছরে সাড়ে ৭০০ কোটি ডলার দেবে। পাকিস্তানের জন্য কেরি-লুগার নামের আলোচিত ওই বিলটি সম্প্রতি মার্কিন আইনসভায় অনুমোদন পায়। দু-এক দিনের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই বিলে সই করবেন। ওই বিলে ‘আপত্তিকর’ কিছু শর্ত থাকায় এ নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্ক হয়। তাই এ নিয়ে আলোচনার জন্য গত সপ্তাহে পাকিস্তান সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশিকে ওয়াশিংটনে পাঠায়। কিন্তু শর্ত বাদ দেওয়া বা শিথিলের ব্যাপারে তেমন কোনো আশ্বাস পায়নি পাকিস্তান।
মঙ্গলবার নতুন বিমান আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের সময় পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধান সুলেমান বলেন, ‘এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হলো, তাদের কর্মসূচি (পিস ড্রাইভ-১) ঠিক পথেই আছে।’ পিস ড্রাইভ-১ প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ১৮টি জঙ্গি বিমান দেবে। এর মধ্যে ১২টি এফ-১৬সি মডেলের ও ছয়টি এফ-১৬ডি মডেলের।
লকহিড মার্টিনের এফ-১৬ প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন লারসন বলেন, ‘পিস ড্রাইভ প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর জন্য চতুর্থ প্রজন্মের সবচেয়ে অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০০৯-২০১০ সালের মধ্যে ১৮টি জঙ্গি বিমান পাকিস্তানের কাছে সরবরাহ করা হবে। ১৯৮২ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে প্রথম এফ-১৬ মডেলের বিমান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথম চালানটি পৌঁছানোর পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৪।
No comments