বাংলাদেশে পর্যটনের সম্ভাবনা -বিশ্ব পর্যটন দিবস by তৌফিক রহমান
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯। বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার আহ্বানে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার একজন সহযোগী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের উদ্দেশ্যই হলো জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় করা এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া।
এ বছর বাংলাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের অংশ হিসেবে একটি শোভাযাত্রা, সেমিনার, পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং সরকারি ও বেসরকারি ইলেকট্রনিক্স প্রচারমাধ্যমে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান ও টক-শো আয়োজনের কথা রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত কিছু করেও কি পর্যটন শিল্পের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব?
পর্যটন শিল্পের বিশ্বব্যাপী গুরুত্বের কথা বোধ করি নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর অনেক দেশেরই জাতীয় আয়ের বেশির ভাগ আসে এই পর্যটন শিল্প থেকে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো পর্যটন শিল্পে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর ভেতর একমাত্র ভুটান ছাড়া আর সবাই আমাদের চেয়ে এগিয়ে। অথচ পর্যটনে কতই না সম্ভাবনাময় আমাদের এই দেশ, বাংলাদেশ। প্রচলিত ও পরিচিত পর্যটন পণ্য ছাড়াও আমাদের দেশের আনাচ-কানাচে, পথে-প্রান্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় পর্যটন পণ্য, যা বিদেশি পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। কিন্তু আমরা কতজনই বা এর খবর রাখি।
কক্সবাজার, সুন্দরবন, সিলেট, পাহাড়পুর, রাঙামাটি কিংবা বান্দরবান—এসব আমাদের প্রধান পরিচিত পর্যটন পণ্য। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে কি আমরা বলতে পারব যে ওগুলো সত্যিই একেকটি পর্যটন পণ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে? পর্যটন পণ্য (Tourism product) সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে একজন পর্যটকের ব্যক্তিগত চাহিদা বা চাওয়াগুলো কী কী। কক্সবাজারের কথাই ধরা যাক। বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার সময় কত সহজেই আমরা কক্সবাজার নিয়ে কতই না গুণকীর্তন করে থাকি। বিশ্বের দীর্ঘতম (১২০ কিলোমিটার) সাদা বালির সমুদ্রসৈকত ইত্যাদি ইত্যাদি। এর মধ্যে ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্তই আমাদের পদযাত্রা। বাকি ৮০-৯০ কিলোমিটার এখনো আমরা যারা বেসরকারি পর্যটন শিল্পকে প্রতিনিধিত্ব করি, তাদের কাছেও অনাবিষ্কৃত। তাহলে বুঝুন অবস্থা। সর্বোপরি, কক্সবাজারে এতসব অবকাঠামো গড়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত তিন-চার দিন পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে থাকার মতো সুযোগ-সুবিধা কিংবা আনন্দ বিনোদনের ব্যবস্থা আছে কি? শুধু হোটেলে রাত যাপন ও রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্যই কি এত কষ্ট করে কক্সবাজার যাওয়া? সমুদ্রসৈকতে স্নান আর পা ভিজিয়ে তাই তৃপ্ত থাকতে হয় ভ্রমণার্থীদের। আর এর প্রতিফলনও পড়েছে সম্প্রতি প্রাকৃতিক নিউ সেভেন ওয়ান্ডারের তালিকা থেকে কক্সবাজারের বাদ পড়ে যাওয়া।
আমরা আমাদের দীর্ঘদিনের পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি যে বিদেশি পর্যটকেরা কক্সবাজারকে খুব বেশি পছন্দ করে না, যত না পছন্দ করে আমাদের প্রকৃতি, নৈসর্গ, সংস্কৃতি আর দেশের সাধারণ মানুষজনকে। আমাদের দেশের বর্ণিল মানুষজন এবং তাঁদের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন প্রণালীই তাদের বেশি আকর্ষণ করে। তা ছাড়া কক্সবাজারে আনন্দ-বিনোদনের বড়ই অভাব। সুতরাং এ আশঙ্কা অমূলক নয় যে, পরবর্তী সময়েও ওই তালিকা থেকে কক্সবাজার বাদ পড়তে পারে। সুন্দরবন যেহেতু পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে, সুতরাং সুন্দরবনের সম্ভাবনা শতভাগ। ঘটনা তা-ই ঘটেছে। কক্সবাজার ওই তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেছে। সুতরাং ওই বিবেচনায় কক্সবাজার এখনো পর্যটকদের কাছে পুরোপুরি পর্যটন পণ্য হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেনি।
ঈদ আর পূজার ছুটিতে আমাদের দেশের মানুষজনের কাছে এখনো এক নম্বর পছন্দের জায়গা কক্সবাজার। কিন্তু কক্সবাজারের সুযোগ-সুবিধায় তারাও যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট তা কিন্তু বলা যাবে না। বরং আমরা যারা বিদেশি পর্যটকদের বিভিন্ন পর্যটনসেবা প্রদান করে যাচ্ছি, তারা দেখেছি বিগত বছরগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের ব্যক্তিগত পছন্দ ও চাহিদাগুলো। এখন ইন্টারনেট আর ই-মেইলের যুগ। একটি দেশে আসার আগেই তারা অন্তত তিন মাস আগে থেকেই সে দেশটি সম্পর্কে যাবতীয় খোঁজখবর আর তথ্যাদি জোগাড় করতে থাকে। সুতরাং একটি দেশে কী কী সহজলভ্য আর কী কী নয়, তা বোধকরি তাদের জানাই থাকে।
সে অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, আমাদের দেশের গ্রাম, গ্রামের মানুষজন, তাদের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন প্রণালী, তাদের রান্না করা, তাদের ক্ষেতে ধানের চাষ করা, তাদের ধান মাড়ানো—সর্বোপরি তাদের স্মিত হাসিই বরং বিদেশিদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। একটি ট্যুর অপারেটর কোম্পানির গত পাঁচ বছরের Guest Satisfaction Survey পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে কোন জিনিসটি আপনাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে’-এ প্রশ্নে শতকরা ৯৯ জন বিদেশি পর্যটকই উত্তর দিয়েছেন, ‘তোমাদের দেশের মানুষজন, তাঁদের অকৃত্রিম হাসি ও আতিথেয়তাই আমাদের বেশি আকৃষ্ট করেছে। এটিই হচ্ছে তোমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ পর্যটন পণ্য।’
অতএব, বিশ্ব পর্যটন দিবসে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, পরিচিত ও প্রচলিত পর্যটন পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের পছন্দ ও চাহিদাগুলোকে বিবেচনায় আনুন। প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিনির্মাণে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা কথা দিচ্ছি, দেশের দিনবদলের অঙ্গীকার পূরণে একমাত্র আমরাই হব আপনাদের শক্তিশালী হাতিয়ার। ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই আমরা দেশকে নিয়ে যাব উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত ও ধনী দেশের কাতারে। আমাদের সহযোগিতা করুন, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন।
তৌফিক রহমান: প্রথম সহসভাপতি, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
এ বছর বাংলাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের অংশ হিসেবে একটি শোভাযাত্রা, সেমিনার, পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং সরকারি ও বেসরকারি ইলেকট্রনিক্স প্রচারমাধ্যমে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান ও টক-শো আয়োজনের কথা রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত কিছু করেও কি পর্যটন শিল্পের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব?
পর্যটন শিল্পের বিশ্বব্যাপী গুরুত্বের কথা বোধ করি নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর অনেক দেশেরই জাতীয় আয়ের বেশির ভাগ আসে এই পর্যটন শিল্প থেকে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো পর্যটন শিল্পে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর ভেতর একমাত্র ভুটান ছাড়া আর সবাই আমাদের চেয়ে এগিয়ে। অথচ পর্যটনে কতই না সম্ভাবনাময় আমাদের এই দেশ, বাংলাদেশ। প্রচলিত ও পরিচিত পর্যটন পণ্য ছাড়াও আমাদের দেশের আনাচ-কানাচে, পথে-প্রান্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় পর্যটন পণ্য, যা বিদেশি পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। কিন্তু আমরা কতজনই বা এর খবর রাখি।
কক্সবাজার, সুন্দরবন, সিলেট, পাহাড়পুর, রাঙামাটি কিংবা বান্দরবান—এসব আমাদের প্রধান পরিচিত পর্যটন পণ্য। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে কি আমরা বলতে পারব যে ওগুলো সত্যিই একেকটি পর্যটন পণ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে? পর্যটন পণ্য (Tourism product) সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে একজন পর্যটকের ব্যক্তিগত চাহিদা বা চাওয়াগুলো কী কী। কক্সবাজারের কথাই ধরা যাক। বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার সময় কত সহজেই আমরা কক্সবাজার নিয়ে কতই না গুণকীর্তন করে থাকি। বিশ্বের দীর্ঘতম (১২০ কিলোমিটার) সাদা বালির সমুদ্রসৈকত ইত্যাদি ইত্যাদি। এর মধ্যে ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্তই আমাদের পদযাত্রা। বাকি ৮০-৯০ কিলোমিটার এখনো আমরা যারা বেসরকারি পর্যটন শিল্পকে প্রতিনিধিত্ব করি, তাদের কাছেও অনাবিষ্কৃত। তাহলে বুঝুন অবস্থা। সর্বোপরি, কক্সবাজারে এতসব অবকাঠামো গড়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত তিন-চার দিন পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে থাকার মতো সুযোগ-সুবিধা কিংবা আনন্দ বিনোদনের ব্যবস্থা আছে কি? শুধু হোটেলে রাত যাপন ও রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্যই কি এত কষ্ট করে কক্সবাজার যাওয়া? সমুদ্রসৈকতে স্নান আর পা ভিজিয়ে তাই তৃপ্ত থাকতে হয় ভ্রমণার্থীদের। আর এর প্রতিফলনও পড়েছে সম্প্রতি প্রাকৃতিক নিউ সেভেন ওয়ান্ডারের তালিকা থেকে কক্সবাজারের বাদ পড়ে যাওয়া।
আমরা আমাদের দীর্ঘদিনের পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি যে বিদেশি পর্যটকেরা কক্সবাজারকে খুব বেশি পছন্দ করে না, যত না পছন্দ করে আমাদের প্রকৃতি, নৈসর্গ, সংস্কৃতি আর দেশের সাধারণ মানুষজনকে। আমাদের দেশের বর্ণিল মানুষজন এবং তাঁদের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন প্রণালীই তাদের বেশি আকর্ষণ করে। তা ছাড়া কক্সবাজারে আনন্দ-বিনোদনের বড়ই অভাব। সুতরাং এ আশঙ্কা অমূলক নয় যে, পরবর্তী সময়েও ওই তালিকা থেকে কক্সবাজার বাদ পড়তে পারে। সুন্দরবন যেহেতু পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে, সুতরাং সুন্দরবনের সম্ভাবনা শতভাগ। ঘটনা তা-ই ঘটেছে। কক্সবাজার ওই তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেছে। সুতরাং ওই বিবেচনায় কক্সবাজার এখনো পর্যটকদের কাছে পুরোপুরি পর্যটন পণ্য হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেনি।
ঈদ আর পূজার ছুটিতে আমাদের দেশের মানুষজনের কাছে এখনো এক নম্বর পছন্দের জায়গা কক্সবাজার। কিন্তু কক্সবাজারের সুযোগ-সুবিধায় তারাও যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট তা কিন্তু বলা যাবে না। বরং আমরা যারা বিদেশি পর্যটকদের বিভিন্ন পর্যটনসেবা প্রদান করে যাচ্ছি, তারা দেখেছি বিগত বছরগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের ব্যক্তিগত পছন্দ ও চাহিদাগুলো। এখন ইন্টারনেট আর ই-মেইলের যুগ। একটি দেশে আসার আগেই তারা অন্তত তিন মাস আগে থেকেই সে দেশটি সম্পর্কে যাবতীয় খোঁজখবর আর তথ্যাদি জোগাড় করতে থাকে। সুতরাং একটি দেশে কী কী সহজলভ্য আর কী কী নয়, তা বোধকরি তাদের জানাই থাকে।
সে অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, আমাদের দেশের গ্রাম, গ্রামের মানুষজন, তাদের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন প্রণালী, তাদের রান্না করা, তাদের ক্ষেতে ধানের চাষ করা, তাদের ধান মাড়ানো—সর্বোপরি তাদের স্মিত হাসিই বরং বিদেশিদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। একটি ট্যুর অপারেটর কোম্পানির গত পাঁচ বছরের Guest Satisfaction Survey পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে কোন জিনিসটি আপনাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে’-এ প্রশ্নে শতকরা ৯৯ জন বিদেশি পর্যটকই উত্তর দিয়েছেন, ‘তোমাদের দেশের মানুষজন, তাঁদের অকৃত্রিম হাসি ও আতিথেয়তাই আমাদের বেশি আকৃষ্ট করেছে। এটিই হচ্ছে তোমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ পর্যটন পণ্য।’
অতএব, বিশ্ব পর্যটন দিবসে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, পরিচিত ও প্রচলিত পর্যটন পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের পছন্দ ও চাহিদাগুলোকে বিবেচনায় আনুন। প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিনির্মাণে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা কথা দিচ্ছি, দেশের দিনবদলের অঙ্গীকার পূরণে একমাত্র আমরাই হব আপনাদের শক্তিশালী হাতিয়ার। ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই আমরা দেশকে নিয়ে যাব উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত ও ধনী দেশের কাতারে। আমাদের সহযোগিতা করুন, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন।
তৌফিক রহমান: প্রথম সহসভাপতি, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
No comments