ফিলিপাইনে প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টিপাত ৭৩ জনের প্রাণহানি
ফিলিপাইনে প্রচণ্ড ঝড় ও ঝড়-পরবর্তী বন্যায় কমপক্ষে ৭৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া ২৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। গত শনিবার রাজধানী ম্যানিলাসহ ২৫টি প্রদেশে ‘কেটসানা’ নামের শক্তিশালী এক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় আঘাত হানে। এর পরই সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর অনেক শহর পানিতে ডুবে গেছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে ফিলিপাইনে এটাই সবচেয়ে প্রলয়ংকরী বন্যা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যায় রাজধানী ম্যানিলার ৮০ ভাগ এলাকা ডুবে গেছে।
সরকার জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গিলবার্ট টিওডোরো জানান, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক দল উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে। আড়াই লাখের বেশি লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
কর্মকর্তারা গতকাল রোববার জানান, শনিবার টানা নয় ঘণ্টা ধরে ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় মহাসড়কগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। পানির তোড়ে অসংখ্য ঘর ও গাড়ি ভেসে গেছে। এতে এক কোটি ২০ লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গিলবার্ট টিওডোরো বলেন, ‘এটাই হচ্ছে আমার দেখা সবচেয়ে প্রলয়ংকরী বন্যা।’ তিনি বলেন, বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭৩ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা গেছে। এ ছাড়া আরও ২৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টার ও রাবার বোটে করে এ পর্যন্ত চার হাজার বন্যার্তকে উদ্ধার করেছেন। গতকাল বিকেল পর্যন্ত অসংখ্য লোক বাড়ির ছাদে এবং ঘরের চালে আটকা ছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক রেডিও ভাষণে বলেছেন, ‘আপনাদের কেউ ঘরের চালে থাকলে, সেখান থেকে চলে আসার চেষ্টা করবেন না। ওখানেই অবস্থান করুন, আপনাদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে।’
ম্যানিলার পাশে প্যাসিগ শহরের লোকজনকে গলা সমান পানিতে তাদের শিশুসন্তানদের দুই হাতে উঁচু করে ধরে এবং মাথায় মালামাল নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, ম্যানিলার তিনটি বিমানবন্দর গত শনিবারই বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর ফলে পর্যটকসহ হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, বন্যায় ম্যানিলা ও পাঁচটি নিম্নাঞ্চলীয় প্রদেশে দুই লাখ ৮০ হাজার লোক বাস্তুহারা হয়েছে। ৪১ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় এবং রাস্তায় শত শত গাড়ি আটকে পড়ায় উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না।
ফিলিপাইনের রেডক্রসের চেয়ারম্যান গুয়েনডোলিন প্যাং বলেন, উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মহাসড়কে অসংখ্য গাড়ি আটকে পড়ায় উদ্ধারতত্পরতায় বিঘ্ন ঘটছে। তিনি বলেন, ফিলিপাইনে এর আগে এ রকম ভয়াবহ বন্যা আর কখনোই হয়নি।
ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার টেলিভিশনে দেখা গেছে, রাস্তার ওপর দিয়ে নদীর মতো পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া অ্যারোইয়ো জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেশের সব নাগরিককে বিশেষ করে ম্যানিলা ও অন্যান্য প্রদেশের শহর এলাকার লোকজনকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি। তাদের স্থানীয় কর্মকর্তা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
সরকার জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গিলবার্ট টিওডোরো জানান, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক দল উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে। আড়াই লাখের বেশি লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
কর্মকর্তারা গতকাল রোববার জানান, শনিবার টানা নয় ঘণ্টা ধরে ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় মহাসড়কগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। পানির তোড়ে অসংখ্য ঘর ও গাড়ি ভেসে গেছে। এতে এক কোটি ২০ লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গিলবার্ট টিওডোরো বলেন, ‘এটাই হচ্ছে আমার দেখা সবচেয়ে প্রলয়ংকরী বন্যা।’ তিনি বলেন, বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭৩ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা গেছে। এ ছাড়া আরও ২৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টার ও রাবার বোটে করে এ পর্যন্ত চার হাজার বন্যার্তকে উদ্ধার করেছেন। গতকাল বিকেল পর্যন্ত অসংখ্য লোক বাড়ির ছাদে এবং ঘরের চালে আটকা ছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক রেডিও ভাষণে বলেছেন, ‘আপনাদের কেউ ঘরের চালে থাকলে, সেখান থেকে চলে আসার চেষ্টা করবেন না। ওখানেই অবস্থান করুন, আপনাদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে।’
ম্যানিলার পাশে প্যাসিগ শহরের লোকজনকে গলা সমান পানিতে তাদের শিশুসন্তানদের দুই হাতে উঁচু করে ধরে এবং মাথায় মালামাল নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, ম্যানিলার তিনটি বিমানবন্দর গত শনিবারই বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর ফলে পর্যটকসহ হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, বন্যায় ম্যানিলা ও পাঁচটি নিম্নাঞ্চলীয় প্রদেশে দুই লাখ ৮০ হাজার লোক বাস্তুহারা হয়েছে। ৪১ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় এবং রাস্তায় শত শত গাড়ি আটকে পড়ায় উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না।
ফিলিপাইনের রেডক্রসের চেয়ারম্যান গুয়েনডোলিন প্যাং বলেন, উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মহাসড়কে অসংখ্য গাড়ি আটকে পড়ায় উদ্ধারতত্পরতায় বিঘ্ন ঘটছে। তিনি বলেন, ফিলিপাইনে এর আগে এ রকম ভয়াবহ বন্যা আর কখনোই হয়নি।
ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার টেলিভিশনে দেখা গেছে, রাস্তার ওপর দিয়ে নদীর মতো পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া অ্যারোইয়ো জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেশের সব নাগরিককে বিশেষ করে ম্যানিলা ও অন্যান্য প্রদেশের শহর এলাকার লোকজনকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি। তাদের স্থানীয় কর্মকর্তা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
No comments