শারদীয় দুর্গোত্সব -ন্যায় ও শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা হোক
আজ বিজয়া দশমী, শারদীয় দুর্গোত্সবের শেষ দিন। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উত্সবের এই দিনে আমরা সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাই।
দেবী দুর্গা অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে অন্যায়-অশুভর বিপরীতে প্রতিষ্ঠা পায় ন্যায় ও শুভ শক্তি। সত্য, শুভ ও ন্যায়ের পক্ষে সংগ্রামে দেবী দুর্গা মানুষকে সাহসী করে তোলেন। তিনি মানুষকে মহত্ গুণাবলির প্রতি আকৃষ্ট করেন। মানুষের মনের দৈন্য ও কলুষ দূর করে দেন। তাই শুভ ও অশুভর মধ্যকার দ্বন্দ্বে শুভ শক্তির বিজয়ের তাত্পর্য একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি হয়ে ওঠে সর্বজনীন। এক গভীর প্রতীকী ব্যঞ্জনা এ উত্সবকে মহীয়ান করে তোলে।
মানুষের সব ধর্মেরই প্রত্যয়: শেষ পর্যন্ত সত্য ও শুভর জয়। সব ধর্মই বলে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতির কথা। আত্মিক শুচিতা অর্জন ও তা রক্ষা করাই মানুষের পরম লক্ষ্য। কিন্তু মানুষ সে লক্ষ্যে সব সময় অবিচল থাকতে পারে না; সে পথভ্রষ্ট হয়, নিষ্ঠুর-নৃশংস হয়ে ওঠে। পৌরাণিক মহিষাসুর সেই নৃশংসতারই প্রতীক। সে মানুষকে পতন ও ধ্বংসের পথে টেনে নিয়ে যায়। দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে মানুষকে পতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য। এ কথা তো সত্য যে, মানুষের চিরন্তন যাত্রা অংশ থেকে সমগ্রের দিকে, অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতার দিকে, বিচ্ছিন্নতা থেকে সুসম্পর্কের দিকে, বিরোধ থেকে ঐক্যের দিকে। দেবী দুর্গা পতনের হাত থেকে বাঁচিয়ে সেই চিরন্তন পথের দিশা দেন মানুষকে।
যথাযথ উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সৌহার্দ্যময় পরিবেশে দুর্গোত্সব পালিত হওয়ার প্রত্যাশা সব সময়ের; কিন্তু সব সময় তেমন পরিবেশ থাকে না। আগে অনেক সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের মতো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এলেও এবার তেমন কোনো অঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। উত্সবে মুখরিত ছিল রাজধানীসহ দেশের সব মন্দির প্রাঙ্গণ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে ভক্তিমূলক গান। তবে রাজধানীর বনানী মাঠের পূজামণ্ডপ থেকে গ্রেনেডসদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, এ উত্সবের পরিবেশে কেউ কেউ আতঙ্ক ছড়াতে চায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সবার অংশগ্রহণে প্রকৃত উত্সবের আমেজে পূজার কার্যক্রম পরিচালিত হোক, তারা তা চায় না। এ ধরনের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার যেমন বিকল্প নেই, তেমনি সামাজিকভাবেও তা মোকাবিলার উদ্যোগ নিতে হবে। নিরাপত্তাহীনতার বোধ দূরে ঠেলে সবাই যেন স্বস্তির পরিবেশে উত্সবের আনন্দে মেতে উঠতে পারে, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
বিজয়া দশমীতে আমাদের কামনা, এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষে-মানুষে সব বিভেদ ও সংকীর্ণতা দূর হয়ে যাক।
দেবী দুর্গা অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে অন্যায়-অশুভর বিপরীতে প্রতিষ্ঠা পায় ন্যায় ও শুভ শক্তি। সত্য, শুভ ও ন্যায়ের পক্ষে সংগ্রামে দেবী দুর্গা মানুষকে সাহসী করে তোলেন। তিনি মানুষকে মহত্ গুণাবলির প্রতি আকৃষ্ট করেন। মানুষের মনের দৈন্য ও কলুষ দূর করে দেন। তাই শুভ ও অশুভর মধ্যকার দ্বন্দ্বে শুভ শক্তির বিজয়ের তাত্পর্য একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি হয়ে ওঠে সর্বজনীন। এক গভীর প্রতীকী ব্যঞ্জনা এ উত্সবকে মহীয়ান করে তোলে।
মানুষের সব ধর্মেরই প্রত্যয়: শেষ পর্যন্ত সত্য ও শুভর জয়। সব ধর্মই বলে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতির কথা। আত্মিক শুচিতা অর্জন ও তা রক্ষা করাই মানুষের পরম লক্ষ্য। কিন্তু মানুষ সে লক্ষ্যে সব সময় অবিচল থাকতে পারে না; সে পথভ্রষ্ট হয়, নিষ্ঠুর-নৃশংস হয়ে ওঠে। পৌরাণিক মহিষাসুর সেই নৃশংসতারই প্রতীক। সে মানুষকে পতন ও ধ্বংসের পথে টেনে নিয়ে যায়। দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে মানুষকে পতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য। এ কথা তো সত্য যে, মানুষের চিরন্তন যাত্রা অংশ থেকে সমগ্রের দিকে, অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতার দিকে, বিচ্ছিন্নতা থেকে সুসম্পর্কের দিকে, বিরোধ থেকে ঐক্যের দিকে। দেবী দুর্গা পতনের হাত থেকে বাঁচিয়ে সেই চিরন্তন পথের দিশা দেন মানুষকে।
যথাযথ উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সৌহার্দ্যময় পরিবেশে দুর্গোত্সব পালিত হওয়ার প্রত্যাশা সব সময়ের; কিন্তু সব সময় তেমন পরিবেশ থাকে না। আগে অনেক সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের মতো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এলেও এবার তেমন কোনো অঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। উত্সবে মুখরিত ছিল রাজধানীসহ দেশের সব মন্দির প্রাঙ্গণ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে ভক্তিমূলক গান। তবে রাজধানীর বনানী মাঠের পূজামণ্ডপ থেকে গ্রেনেডসদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, এ উত্সবের পরিবেশে কেউ কেউ আতঙ্ক ছড়াতে চায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সবার অংশগ্রহণে প্রকৃত উত্সবের আমেজে পূজার কার্যক্রম পরিচালিত হোক, তারা তা চায় না। এ ধরনের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার যেমন বিকল্প নেই, তেমনি সামাজিকভাবেও তা মোকাবিলার উদ্যোগ নিতে হবে। নিরাপত্তাহীনতার বোধ দূরে ঠেলে সবাই যেন স্বস্তির পরিবেশে উত্সবের আনন্দে মেতে উঠতে পারে, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
বিজয়া দশমীতে আমাদের কামনা, এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষে-মানুষে সব বিভেদ ও সংকীর্ণতা দূর হয়ে যাক।
No comments