বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বিমান -বাঘা তেঁতুল by সৈয়দ আবুল মকসুদ
স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ শব্দ দুটি এখন জাতির উন্নতি সাধনের উদেযাগ গ্রহণের অনন্য প্রেরণা হিসেবে ব্যবহূত হয় না। এ শব্দ দুটির প্রয়োজন পড়ে চাকরিপ্রাপ্তির জন্য, প্রমোশনের প্রয়োজনে, ডিআইটির একটি প্লট পেতে অথবা অমেধাবী ও অথর্ব ছেলেমেয়েকে কোটায় ভর্তির সময়। কত পুরুষব্যাপী এ মহত্ শব্দ দুটি ব্যবহূত হবে তা বলা সম্ভব নয়। ৩৮ বছর পর এখন চলছে নাতি-নাতনি প্রজন্ম। প্রজন্ম এমন জিনিস যার শুরু থাকলেও শেষ নেই।
এখন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমই সর্বোচ্চ। একাত্তরে দেশপ্রেম ছিল সাধারণ মানুষের ও মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সার্টিফিকেটের বান্ডিল এবং অভিজ্ঞতার সনদগুলোর চেয়ে ‘দেশপ্রেম’ দেখানোই আজ বেশি প্রয়োজন। এবং দেশপ্রেম দেখাতে হয় একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে, যাকে-তাকে ও যেখানে-সেখানে নয়।
একাত্তরে যার মায়ের তো নয়ই, বাবারও জন্ম হয়নি, সেও আজ অবিরাম মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে এবং এই বাংলায় চাকরি-বাকরির প্রয়োজনে তা বলতেই হবে। কিন্তু খুব কম মানুষই জানে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব ২৫ দিনের অসহযোগ আন্দোলনের সেই ঐতিহাসিক উত্তাল দিনগুলোর কথা। ১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসহযোগ না হলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
ইয়াহিয়ার কুখ্যাত ঘোষণার পর পূর্বাণী হোটেল থেকে বঙ্গবন্ধু যখন হরতাল ও অসহযোগের ডাক দেন তখন আমি সিকান্দার আবু জাফরের সমকাল অফিসে বসা ছিলাম। ওখান থেকে বেরিয়ে পূর্বাণীর গোলচক্করের কাছে যাই। পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস) অফিস থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী দলে দলে বেরিয়ে আসেন। সরকারি, আধা-সরকারি অফিসের মধ্যে পিআইএর পূর্ব পাকিস্তান শাখাই বঙ্গন্ধুর অসহযোগে প্রথম একাত্মতা প্রকাশ করে। তারপর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের নাম বদলের: নতুন নাম হবে বিআইএ—বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস। কেউ-বা প্রস্তাব করেন নাম হবে বাংলাদেশ বিমান।
তাদের ওই সিদ্ধান্তসংবলিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তিনটি কপি আমাকে দেওয়া হয়েছিল অবজারভার, পূর্বদেশ ও দৈনিক পাকিস্তান-এ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কেউ প্রেস রিলিজ নিয়ে গেলেন ইত্তেফাক ও সংবাদ অফিসে। আজ যখন বাংলাদেশ বিমান নিয়ে নানা রকম তেলেসমাতির কথা শুনি অথবা ওই সংস্থায় হরিরলুটের খবর পাই, তখন একাত্তরের পয়লা মার্চের সেই কর্মচারীদের কথা মনে পড়ে। দেশ স্বাধীন না হলে ওই সব জাতীয়তাবাদী কর্মচারীর সবাই চাকরি তো হারাতেনই—জেলে যেতেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতায় ফাঁসি হতো কি না বলতে পারি না।
পিআইএর উত্তরাধিকারী হিসেবে বিমান হতে পারত একটি দক্ষ এয়ারলাইনস। ৩৮ বছরে আজ বিমান কোথায় গেছে তা শুধু তার যাত্রীরাই জানেন, আর জানেন তাঁর বিদেশি গন্তব্যগুলোর কর্মচারীরা। এখন জানতে পারছি বিমানের এমডির একটি কাজ প্রধানমন্ত্রী বিদেশে সফরে গেলে তাঁর দেখভালের জন্য তারও তাঁর সঙ্গে যাওয়া। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর দুটি সফরে তাঁর সফরসঙ্গী না হয়েও তাঁর স্বমনোনীত সফরসঙ্গী হয়েছেন। একবার গেছেন মিশরে। দ্বিতীয়বার গেছেন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায়। দুটিই দেখার মতো জায়গা। জেনেভা তো কেনাকাটার জন্য খুবই চমত্কার।
সফরসঙ্গী না হয়েও কেন গেলেন—সাংবাদিকের এ সওয়ালের জবাবে এমডি মহোদয় বলেন, ‘সরকারিভাবে সফরসঙ্গী না হলেও, প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গেলে বিমানের এমডিকেও যেতে হয়। এটাই নিয়ম।’ এই নিয়ম কবে হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। [প্রথম আলো]
আমার নিজের একাধিকবারের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, বিমানের আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট পাওয়া যায় না। বিমানের এমডির সে সমস্যা নেই। তিনি যখন যেদিন যেখানে যেতে চাইবেন বিমান সেখানে নিয়ে যেতে বাধ্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সফর অন্য রকম জিনিস। অনাহূত তাঁর সফরসঙ্গী হলে কিছু অসুবিধা আছে। এমডির কারণে মিশর বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর বিমান আটকে ছিল ২৬ মিনিট। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের ভিভিআইপি টারমিনালে নামানো হলেও এমডিকে নামতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে ‘অনেক ঝক্কিঝামেলা’ হয়। জ্বালানির দাম পরিশোধ নিয়েও সমস্যা হয়।
জেনেভা ফ্লাইটে বিপত্তি হয়েছে আসন নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী না হওয়ায় এমডিকে বসতে হয় পেছনের খালি একটি আসনে। ওখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর আসনের দূরত্ব অনেক। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে পড়তে কে না চায়? ওপরের দিকের কর্মকর্তারা শুধু নন, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক নেতা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পেশাজীবী নেতা— সবাই ধাক্কাধাক্কি করে যেতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রীর সামনে। উড়োজাহাজের ছোট জায়গায় ঠেলাঠেলির সমস্যা নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও আসন নিয়ে গোল বেঁধেছে। এখন একজনের চাকরি যায় যায়।
বিমানের এক সাবেক এমডি আকাশ থেকে সিলেটের প্রাকৃতিক শোভা দেখার জন্য নিজের আসন ছেড়ে প্রাক্তন পদাধিকার বলে কো-পাইলটের সিটে গিয়ে বসে পড়েন। পাইলট ও কেবিন ক্রুদের সঙ্গে তুমুল গল্প। এর মধ্যে ল্যান্ডিংয়ে প্লেন মুখ থুবড়ে পড়ে। সাবেক এমডি স্বয়ং এবং তাঁর দুটি পা আটকে থাকে কয়েক ঘণ্টা দুমড়ানো ককপিটে। সাবেকের যদি ক্ষমতার অপব্যবহারে ওই দশা হয় বর্তমানের কখন কী হয় বলা যায় না।
যেমন বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে তেমনি হয়েছে বিমানের। ওটির দায়িত্ব কেউ পেলে তার মাথা ঠিক থাকে না। গত বিশেষ সরকারের এক বিশেষ সহকারী বিমানের দায়িত্ব পেয়েই নতুন ঝকঝকে বিমান কেনার জন্য পাগল হয়ে গেলেন। একটি দুটি নয়, অনেক। তাঁর খেয়াল ছিল না যে একটি ৭৪৭ জাম্বো জেটের দাম একটি সেলাই মেশিন, ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিনের চেয়ে কিছু বেশি।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উচিত হবে বিমানের ব্যাপারে তদন্ত করা। বিমানের দুর্নীতি কথা কিছু বলব না। দুর্নীতি যত খুশি হোক, বিমানের অস্তিত্বটা যেন বিলুপ্ত না হয়। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমানের ইতিহাসও জড়িত।
সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।
এখন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমই সর্বোচ্চ। একাত্তরে দেশপ্রেম ছিল সাধারণ মানুষের ও মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সার্টিফিকেটের বান্ডিল এবং অভিজ্ঞতার সনদগুলোর চেয়ে ‘দেশপ্রেম’ দেখানোই আজ বেশি প্রয়োজন। এবং দেশপ্রেম দেখাতে হয় একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে, যাকে-তাকে ও যেখানে-সেখানে নয়।
একাত্তরে যার মায়ের তো নয়ই, বাবারও জন্ম হয়নি, সেও আজ অবিরাম মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে এবং এই বাংলায় চাকরি-বাকরির প্রয়োজনে তা বলতেই হবে। কিন্তু খুব কম মানুষই জানে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব ২৫ দিনের অসহযোগ আন্দোলনের সেই ঐতিহাসিক উত্তাল দিনগুলোর কথা। ১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসহযোগ না হলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
ইয়াহিয়ার কুখ্যাত ঘোষণার পর পূর্বাণী হোটেল থেকে বঙ্গবন্ধু যখন হরতাল ও অসহযোগের ডাক দেন তখন আমি সিকান্দার আবু জাফরের সমকাল অফিসে বসা ছিলাম। ওখান থেকে বেরিয়ে পূর্বাণীর গোলচক্করের কাছে যাই। পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস) অফিস থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী দলে দলে বেরিয়ে আসেন। সরকারি, আধা-সরকারি অফিসের মধ্যে পিআইএর পূর্ব পাকিস্তান শাখাই বঙ্গন্ধুর অসহযোগে প্রথম একাত্মতা প্রকাশ করে। তারপর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের নাম বদলের: নতুন নাম হবে বিআইএ—বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস। কেউ-বা প্রস্তাব করেন নাম হবে বাংলাদেশ বিমান।
তাদের ওই সিদ্ধান্তসংবলিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তিনটি কপি আমাকে দেওয়া হয়েছিল অবজারভার, পূর্বদেশ ও দৈনিক পাকিস্তান-এ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কেউ প্রেস রিলিজ নিয়ে গেলেন ইত্তেফাক ও সংবাদ অফিসে। আজ যখন বাংলাদেশ বিমান নিয়ে নানা রকম তেলেসমাতির কথা শুনি অথবা ওই সংস্থায় হরিরলুটের খবর পাই, তখন একাত্তরের পয়লা মার্চের সেই কর্মচারীদের কথা মনে পড়ে। দেশ স্বাধীন না হলে ওই সব জাতীয়তাবাদী কর্মচারীর সবাই চাকরি তো হারাতেনই—জেলে যেতেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতায় ফাঁসি হতো কি না বলতে পারি না।
পিআইএর উত্তরাধিকারী হিসেবে বিমান হতে পারত একটি দক্ষ এয়ারলাইনস। ৩৮ বছরে আজ বিমান কোথায় গেছে তা শুধু তার যাত্রীরাই জানেন, আর জানেন তাঁর বিদেশি গন্তব্যগুলোর কর্মচারীরা। এখন জানতে পারছি বিমানের এমডির একটি কাজ প্রধানমন্ত্রী বিদেশে সফরে গেলে তাঁর দেখভালের জন্য তারও তাঁর সঙ্গে যাওয়া। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর দুটি সফরে তাঁর সফরসঙ্গী না হয়েও তাঁর স্বমনোনীত সফরসঙ্গী হয়েছেন। একবার গেছেন মিশরে। দ্বিতীয়বার গেছেন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায়। দুটিই দেখার মতো জায়গা। জেনেভা তো কেনাকাটার জন্য খুবই চমত্কার।
সফরসঙ্গী না হয়েও কেন গেলেন—সাংবাদিকের এ সওয়ালের জবাবে এমডি মহোদয় বলেন, ‘সরকারিভাবে সফরসঙ্গী না হলেও, প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গেলে বিমানের এমডিকেও যেতে হয়। এটাই নিয়ম।’ এই নিয়ম কবে হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। [প্রথম আলো]
আমার নিজের একাধিকবারের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, বিমানের আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট পাওয়া যায় না। বিমানের এমডির সে সমস্যা নেই। তিনি যখন যেদিন যেখানে যেতে চাইবেন বিমান সেখানে নিয়ে যেতে বাধ্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সফর অন্য রকম জিনিস। অনাহূত তাঁর সফরসঙ্গী হলে কিছু অসুবিধা আছে। এমডির কারণে মিশর বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর বিমান আটকে ছিল ২৬ মিনিট। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের ভিভিআইপি টারমিনালে নামানো হলেও এমডিকে নামতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে ‘অনেক ঝক্কিঝামেলা’ হয়। জ্বালানির দাম পরিশোধ নিয়েও সমস্যা হয়।
জেনেভা ফ্লাইটে বিপত্তি হয়েছে আসন নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী না হওয়ায় এমডিকে বসতে হয় পেছনের খালি একটি আসনে। ওখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর আসনের দূরত্ব অনেক। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে পড়তে কে না চায়? ওপরের দিকের কর্মকর্তারা শুধু নন, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক নেতা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পেশাজীবী নেতা— সবাই ধাক্কাধাক্কি করে যেতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রীর সামনে। উড়োজাহাজের ছোট জায়গায় ঠেলাঠেলির সমস্যা নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও আসন নিয়ে গোল বেঁধেছে। এখন একজনের চাকরি যায় যায়।
বিমানের এক সাবেক এমডি আকাশ থেকে সিলেটের প্রাকৃতিক শোভা দেখার জন্য নিজের আসন ছেড়ে প্রাক্তন পদাধিকার বলে কো-পাইলটের সিটে গিয়ে বসে পড়েন। পাইলট ও কেবিন ক্রুদের সঙ্গে তুমুল গল্প। এর মধ্যে ল্যান্ডিংয়ে প্লেন মুখ থুবড়ে পড়ে। সাবেক এমডি স্বয়ং এবং তাঁর দুটি পা আটকে থাকে কয়েক ঘণ্টা দুমড়ানো ককপিটে। সাবেকের যদি ক্ষমতার অপব্যবহারে ওই দশা হয় বর্তমানের কখন কী হয় বলা যায় না।
যেমন বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে তেমনি হয়েছে বিমানের। ওটির দায়িত্ব কেউ পেলে তার মাথা ঠিক থাকে না। গত বিশেষ সরকারের এক বিশেষ সহকারী বিমানের দায়িত্ব পেয়েই নতুন ঝকঝকে বিমান কেনার জন্য পাগল হয়ে গেলেন। একটি দুটি নয়, অনেক। তাঁর খেয়াল ছিল না যে একটি ৭৪৭ জাম্বো জেটের দাম একটি সেলাই মেশিন, ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিনের চেয়ে কিছু বেশি।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উচিত হবে বিমানের ব্যাপারে তদন্ত করা। বিমানের দুর্নীতি কথা কিছু বলব না। দুর্নীতি যত খুশি হোক, বিমানের অস্তিত্বটা যেন বিলুপ্ত না হয়। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমানের ইতিহাসও জড়িত।
সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।
No comments