জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ দায়ী উন্নত দেশগুলোকে প্রতিকারের দায় নিতে হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার শিকার দেশগুলো যেন সেই কাক, যার ঘরে কোকিল ডিম পেড়ে গিয়েছে। এ শতকে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় এই বিপদটির জন্য বাংলাদেশের মতো দেশের দায় সামান্যই। কিন্তু বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মতো দেশই হতে যাচ্ছে এই মহাবিপদের মহাশিকার। যুক্তরাষ্ট্রে ইউএসআইডির আলোচনা সভায় এই অনুযোগটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি।
সমস্যাটা এতই ব্যাপক যে এককভাবে কোনো দেশের পক্ষেই এটা সামাল দেওয়া সম্ভব নয়; বাংলাদেশ তো নগণ্য। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ করে নজরে এনেছেন ঘন ঘন দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস ও বিরাট এলাকা সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার ফল হিসেবে মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হওয়া এবং খাদ্যনিরাপত্তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কার কথা। এ-বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা আইপিসিসির আশঙ্কা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ৫০ বছরের মধ্যে ডুবে যাবে। প্রায় দুই কোটি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তু হয়ে যাবে। রেহাই পাবে না সুন্দরবনও। রোগ ও মহামারি যেমন বাড়বে, তেমনি সীমিত সম্পদ নিয়ে হানাহানিও বেড়ে যাবে ভয়াবহ মাত্রায়। দেখা দেবে পানীয় জলের সংকট।
অথচ এই পরিণতির জন্য দায়ী উন্নত দেশের অতিমাত্রায় জ্বালানি ব্যবহার ও ভোগী জীবন যাপন এবং অতিমাত্রায় জ্বালানি পুড়িয়ে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে ফেলা। কিন্তু একের পর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন হলেও এর দায়দায়িত্ব ও প্রতিকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে তারা নারাজ। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও চীনেরই এ ব্যাপারে দায় বেশি। কিন্তু তারা ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন রোধসংক্রান্ত কিয়োটো প্রটোকলে স্বাক্ষর করেনি। কিয়োটো প্রটোকল অনুযায়ী উন্নত দেশগুলো তাদের মোট জাতীয় বাজেটের একটা অংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিয়মিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে দিতে বাধ্য।
আমরা আশা করব, উন্নত দেশগুলো দরিদ্র ও বিপন্ন দেশগুলোর কথা শুনবে, প্রতিকারের দায়িত্ব নেবে এবং বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মাধ্যমে কৃতকর্মের দায় কিছুটা হলেও মেটাবে।
সমস্যাটা এতই ব্যাপক যে এককভাবে কোনো দেশের পক্ষেই এটা সামাল দেওয়া সম্ভব নয়; বাংলাদেশ তো নগণ্য। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ করে নজরে এনেছেন ঘন ঘন দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস ও বিরাট এলাকা সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার ফল হিসেবে মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হওয়া এবং খাদ্যনিরাপত্তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কার কথা। এ-বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা আইপিসিসির আশঙ্কা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ৫০ বছরের মধ্যে ডুবে যাবে। প্রায় দুই কোটি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তু হয়ে যাবে। রেহাই পাবে না সুন্দরবনও। রোগ ও মহামারি যেমন বাড়বে, তেমনি সীমিত সম্পদ নিয়ে হানাহানিও বেড়ে যাবে ভয়াবহ মাত্রায়। দেখা দেবে পানীয় জলের সংকট।
অথচ এই পরিণতির জন্য দায়ী উন্নত দেশের অতিমাত্রায় জ্বালানি ব্যবহার ও ভোগী জীবন যাপন এবং অতিমাত্রায় জ্বালানি পুড়িয়ে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে ফেলা। কিন্তু একের পর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন হলেও এর দায়দায়িত্ব ও প্রতিকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে তারা নারাজ। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও চীনেরই এ ব্যাপারে দায় বেশি। কিন্তু তারা ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন রোধসংক্রান্ত কিয়োটো প্রটোকলে স্বাক্ষর করেনি। কিয়োটো প্রটোকল অনুযায়ী উন্নত দেশগুলো তাদের মোট জাতীয় বাজেটের একটা অংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিয়মিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে দিতে বাধ্য।
আমরা আশা করব, উন্নত দেশগুলো দরিদ্র ও বিপন্ন দেশগুলোর কথা শুনবে, প্রতিকারের দায়িত্ব নেবে এবং বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মাধ্যমে কৃতকর্মের দায় কিছুটা হলেও মেটাবে।
No comments