স্পিনারদের অন্য স্বাদও দিলেন ডাওলিন উত্পল শুভ্র ডমিনিকা থেকে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাহলে স্পিন খেলতে শিখে গেল!
টনি কোজিয়ার চারতলায় টিভি কমেন্ট্রি শেষ করেই তিনতলার প্রেসবক্সে এসে ল্যাপটপ নিয়ে বসেন। ৫ ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ৩৩ রান তুলে ফেলার পর তিনিই বললেন, ‘স্পিন এলেই তো সব শেষ!’ পরের ওভারেই এল স্পিন এবং সাকিব আল হাসানের প্রথম বলেই উইকেট। যাক, এই সিরিজ পূর্বনির্ধারিত পাণ্ডুলিপিই অনুসরণ করে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যা একদমই অনুসরণ করল না।
এই সিরিজে বাংলাদেশ দল মনে করিয়ে দিচ্ছিল সত্তর দশকের ভারতের কথা। দলে বিখ্যাত ওই স্পিনার চতুষ্টয় এবং পেস বোলাররা শুধুই পাঁচ-ছয় ওভার বোলিং করতে হয় বলে করে দর্শক হয়ে যেত স্পিনারদের বোলিংয়ের। একবার তো টেস্টে সুনীল গাভাস্কারকে দিয়ে পর্যন্ত বোলিং উদ্বোধন করানো হয়েছিল!
বাংলাদেশও এই সিরিজে পেসারদের ঝামেলা মনে করে আসছিল। মাশরাফি বিন মুর্তজার বিদায়ের পর তো আরও বেশি। পেসারদের ওপর আস্থাহীনতা একটা কারণ। তার চেয়েও বড় কারণ, স্পিনের ওপর আস্থা। আর সবচেয়ে বড় কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের স্পিনকে আশ্চর্য রকম জুজু মনে করা।
ইন্টারনেটের এই যুগেও কোজিয়ারের হাতে সব সময় একটা মোটা খাতা। ইন্টারনেট থেকেই বের করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাম্প্রতিক সব স্কোরকার্ড, রেকর্ড...সব ওই খাতায় আঠা দিয়ে লাগানো। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা কি ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পিন খেলে না নাকি—জিজ্ঞেস করতেই ওই খাতাটা খুললেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গত ঘরোয়া মৌসুমের রেকর্ডে গিয়ে দেখালেন, সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া দশ বোলারের আটজনই স্পিনার! ‘এদের বেশির ভাগই কোনো জাতের স্পিনার নয়। ওরাই এত উইকেট পেয়েছে আর বাংলাদেশের স্পিনাররা তো অনেক ভালো’—ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল দলেও শিবনারায়ন চন্দরপল আর রামনরেশ সারওয়ান ছাড়া বাকিদের কেউ স্পিনে খুব স্বচ্ছন্দ নন বলে মন্তব্য কোজিয়ারের।
চন্দরপল-সারওয়ান গায়ানার ব্যাটসম্যান এবং কাল গায়ানারই আরেক ব্যাটসম্যান এই সিরিজে বাংলাদেশের স্পিন-গর্বে বড় একটা থাপ্পড় বসালেন। ট্রাভিস ডাওলিন গ্রেনেডায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি, কাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভুললেন সেই দুঃখ। অন্যরাও ভালোই সংগত করেছেন, তবে তাঁর অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটিই আসলে বাংলাদেশের কাছে সহজ মনে থাকা সিরিজটাকে হঠাত্ই খুব কঠিন বানিয়ে দিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫০ ওভার যখন শেষ, দেখা গেল জিততে হলে নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশকে। ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৫০-ই পরে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি রান করে জয়ের রেকর্ড হয়ে ছিল এত দিন, এখানে লক্ষ্য দাঁড়িয়ে গেল ২৭৫।
প্রশ্ন অবশ্য উঠবেই—ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা হঠাত্ স্পিন খেলতে শিখে গেল, নাকি বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্যই অবশেষে এল একটা বাজে দিন? ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭৪ বোধহয় দুটি মিলেই। পুরো সিরিজেই বলতে গেলে সেভাবে পাল্টা আক্রমণের মুখে না পড়ে নিশ্চিন্তে নিজেদের বোলিং করে গেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। কাল পাল্টা আক্রমণ হলো এবং তাতেই এলোমেলো হয়ে গেল সব। সাকিবের অধিনায়কত্বও এই প্রথম বড় চাপের মুখে এবং কিছুটা এলোমেলো তিনিও হলেন। নইলে বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী (৮ ওভারে ২৬ রান) নাঈম ইসলামের দুটি ওভার অব্যবহূত থেকে যাবে কেন?
তাঁর নিজের চার ওভারের প্রথম স্পেলে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১ উইকেট। শেষ ৪ ওভারে দিলেন ৩১ রান, শেষ ২ ওভারে ১৮। তার পরও নাঈমের পর তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার। পেসার দুজন দিয়েছেন ওভারে সাড়ে সাতেরও বেশি।
কালকের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসটা ওরা যেমন চেয়েছিল, ঠিক যেন তা-ই। পার্টনারশিপ হলো, শেষ ১০ ওভার শুরু হলো হাতে ৬ উইকেট নিয়ে। তখনই এল ব্যাটিং পাওয়ার প্লে। ফলাফল—শেষ ১০ ওভারে ৯৮ রান। এখানেও বড় ভূমিকা ডাওলিনের ব্যাটের। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৮৮ বলে, মাত্র ২৯ বলে এল দ্বিতীয় ৫০।
৩২ বছরের গায়ানিজ খুব হাসিখুশি প্রাণবন্ত মানুষ। গত পরশু সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ না জিতলে তো সিরিজ শেষ—বাংলাদেশি সাংবাদিকের মুখে কথাটা শুনে হাত মুঠো করে চমকে দিয়ে বললেন, ‘ইনশাল্লাহ!’ গায়ানায় পাকিস্তানি বন্ধুবান্ধব আছে, তাদের কাছ থেকে শিখেছেন। ক্রিস গেইলরা ধর্মঘটে যাওয়াতেই সুযোগ মিলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও এই পারফরম্যান্সে গেইলরা ফিরলেও তাঁকে বাদ দেওয়াটা কঠিনই হবে। নিজে অবশ্য প্রসঙ্গটা উঠলেই হাসেন, ‘আমি তো টেস্ট-ওয়ানডের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। খেলেছি তো! এখন যা হওয়ার হবে।’
গেইলদের ফেরা না-ফেরা অবশ্য এখনো গভীর রহস্যে ঢাকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের লোকজন তরুণ খেলোয়াড়দের ক্রিকেটে আকর্ষিত করার নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেললে টাকা-পয়সা কেমন পাওয়া যায়—কৌশলে সেটি জানিয়ে দিচ্ছেন। সেই সূত্রেই জানা যাচ্ছে, ক্রিস গেইল গত বছর পেয়েছেন ১১ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে সাত কোটিরও বেশি)। এ বছর এর চেয়ে বেশিই পেতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনমত তাই ক্রমশই গেইলদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ উপলক্ষে ডমিনিকায় জাতীয় ছুটির দিনে গ্যালারিতে তাই প্লাকার্ড—গেইল অ্যান্ড কোম্পানি বড় বেশি লোভী!
ম্যাচ জিতুক-হারুক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন দলের এই উজ্জীবিত ব্যাটিং পারফরম্যান্স না গেইলদের আরও কোণঠাসা করে দেয়। এটা ওদের ব্যাপার, ওরা বুঝুক। দ্বিতীয় ওয়ানডের লাঞ্চ বিরতিতে যখন এই লেখা লিখছি—তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভবিষ্যত্ নিয়ে ভাবার মতো অবস্থা নয়। ইতিহাস গড়ার সফরে বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাস নতুন করে লিখে সিরিজ জিততে পারবে কি না—এই প্রশ্নের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে আর সব।
টনি কোজিয়ার চারতলায় টিভি কমেন্ট্রি শেষ করেই তিনতলার প্রেসবক্সে এসে ল্যাপটপ নিয়ে বসেন। ৫ ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ৩৩ রান তুলে ফেলার পর তিনিই বললেন, ‘স্পিন এলেই তো সব শেষ!’ পরের ওভারেই এল স্পিন এবং সাকিব আল হাসানের প্রথম বলেই উইকেট। যাক, এই সিরিজ পূর্বনির্ধারিত পাণ্ডুলিপিই অনুসরণ করে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যা একদমই অনুসরণ করল না।
এই সিরিজে বাংলাদেশ দল মনে করিয়ে দিচ্ছিল সত্তর দশকের ভারতের কথা। দলে বিখ্যাত ওই স্পিনার চতুষ্টয় এবং পেস বোলাররা শুধুই পাঁচ-ছয় ওভার বোলিং করতে হয় বলে করে দর্শক হয়ে যেত স্পিনারদের বোলিংয়ের। একবার তো টেস্টে সুনীল গাভাস্কারকে দিয়ে পর্যন্ত বোলিং উদ্বোধন করানো হয়েছিল!
বাংলাদেশও এই সিরিজে পেসারদের ঝামেলা মনে করে আসছিল। মাশরাফি বিন মুর্তজার বিদায়ের পর তো আরও বেশি। পেসারদের ওপর আস্থাহীনতা একটা কারণ। তার চেয়েও বড় কারণ, স্পিনের ওপর আস্থা। আর সবচেয়ে বড় কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের স্পিনকে আশ্চর্য রকম জুজু মনে করা।
ইন্টারনেটের এই যুগেও কোজিয়ারের হাতে সব সময় একটা মোটা খাতা। ইন্টারনেট থেকেই বের করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাম্প্রতিক সব স্কোরকার্ড, রেকর্ড...সব ওই খাতায় আঠা দিয়ে লাগানো। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা কি ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পিন খেলে না নাকি—জিজ্ঞেস করতেই ওই খাতাটা খুললেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গত ঘরোয়া মৌসুমের রেকর্ডে গিয়ে দেখালেন, সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া দশ বোলারের আটজনই স্পিনার! ‘এদের বেশির ভাগই কোনো জাতের স্পিনার নয়। ওরাই এত উইকেট পেয়েছে আর বাংলাদেশের স্পিনাররা তো অনেক ভালো’—ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল দলেও শিবনারায়ন চন্দরপল আর রামনরেশ সারওয়ান ছাড়া বাকিদের কেউ স্পিনে খুব স্বচ্ছন্দ নন বলে মন্তব্য কোজিয়ারের।
চন্দরপল-সারওয়ান গায়ানার ব্যাটসম্যান এবং কাল গায়ানারই আরেক ব্যাটসম্যান এই সিরিজে বাংলাদেশের স্পিন-গর্বে বড় একটা থাপ্পড় বসালেন। ট্রাভিস ডাওলিন গ্রেনেডায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি, কাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভুললেন সেই দুঃখ। অন্যরাও ভালোই সংগত করেছেন, তবে তাঁর অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটিই আসলে বাংলাদেশের কাছে সহজ মনে থাকা সিরিজটাকে হঠাত্ই খুব কঠিন বানিয়ে দিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫০ ওভার যখন শেষ, দেখা গেল জিততে হলে নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশকে। ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৫০-ই পরে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি রান করে জয়ের রেকর্ড হয়ে ছিল এত দিন, এখানে লক্ষ্য দাঁড়িয়ে গেল ২৭৫।
প্রশ্ন অবশ্য উঠবেই—ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা হঠাত্ স্পিন খেলতে শিখে গেল, নাকি বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্যই অবশেষে এল একটা বাজে দিন? ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭৪ বোধহয় দুটি মিলেই। পুরো সিরিজেই বলতে গেলে সেভাবে পাল্টা আক্রমণের মুখে না পড়ে নিশ্চিন্তে নিজেদের বোলিং করে গেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। কাল পাল্টা আক্রমণ হলো এবং তাতেই এলোমেলো হয়ে গেল সব। সাকিবের অধিনায়কত্বও এই প্রথম বড় চাপের মুখে এবং কিছুটা এলোমেলো তিনিও হলেন। নইলে বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী (৮ ওভারে ২৬ রান) নাঈম ইসলামের দুটি ওভার অব্যবহূত থেকে যাবে কেন?
তাঁর নিজের চার ওভারের প্রথম স্পেলে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১ উইকেট। শেষ ৪ ওভারে দিলেন ৩১ রান, শেষ ২ ওভারে ১৮। তার পরও নাঈমের পর তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার। পেসার দুজন দিয়েছেন ওভারে সাড়ে সাতেরও বেশি।
কালকের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসটা ওরা যেমন চেয়েছিল, ঠিক যেন তা-ই। পার্টনারশিপ হলো, শেষ ১০ ওভার শুরু হলো হাতে ৬ উইকেট নিয়ে। তখনই এল ব্যাটিং পাওয়ার প্লে। ফলাফল—শেষ ১০ ওভারে ৯৮ রান। এখানেও বড় ভূমিকা ডাওলিনের ব্যাটের। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৮৮ বলে, মাত্র ২৯ বলে এল দ্বিতীয় ৫০।
৩২ বছরের গায়ানিজ খুব হাসিখুশি প্রাণবন্ত মানুষ। গত পরশু সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ না জিতলে তো সিরিজ শেষ—বাংলাদেশি সাংবাদিকের মুখে কথাটা শুনে হাত মুঠো করে চমকে দিয়ে বললেন, ‘ইনশাল্লাহ!’ গায়ানায় পাকিস্তানি বন্ধুবান্ধব আছে, তাদের কাছ থেকে শিখেছেন। ক্রিস গেইলরা ধর্মঘটে যাওয়াতেই সুযোগ মিলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও এই পারফরম্যান্সে গেইলরা ফিরলেও তাঁকে বাদ দেওয়াটা কঠিনই হবে। নিজে অবশ্য প্রসঙ্গটা উঠলেই হাসেন, ‘আমি তো টেস্ট-ওয়ানডের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। খেলেছি তো! এখন যা হওয়ার হবে।’
গেইলদের ফেরা না-ফেরা অবশ্য এখনো গভীর রহস্যে ঢাকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের লোকজন তরুণ খেলোয়াড়দের ক্রিকেটে আকর্ষিত করার নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেললে টাকা-পয়সা কেমন পাওয়া যায়—কৌশলে সেটি জানিয়ে দিচ্ছেন। সেই সূত্রেই জানা যাচ্ছে, ক্রিস গেইল গত বছর পেয়েছেন ১১ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে সাত কোটিরও বেশি)। এ বছর এর চেয়ে বেশিই পেতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনমত তাই ক্রমশই গেইলদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ উপলক্ষে ডমিনিকায় জাতীয় ছুটির দিনে গ্যালারিতে তাই প্লাকার্ড—গেইল অ্যান্ড কোম্পানি বড় বেশি লোভী!
ম্যাচ জিতুক-হারুক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন দলের এই উজ্জীবিত ব্যাটিং পারফরম্যান্স না গেইলদের আরও কোণঠাসা করে দেয়। এটা ওদের ব্যাপার, ওরা বুঝুক। দ্বিতীয় ওয়ানডের লাঞ্চ বিরতিতে যখন এই লেখা লিখছি—তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভবিষ্যত্ নিয়ে ভাবার মতো অবস্থা নয়। ইতিহাস গড়ার সফরে বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাস নতুন করে লিখে সিরিজ জিততে পারবে কি না—এই প্রশ্নের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে আর সব।
No comments