পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গী বাংলাদেশ by রাজীব হাসান
জিততে হলে ২৭৫ রানের পাহাড় ডিঙাতে হবে, ভাঙতে হবে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার নিজেদের রেকর্ড—এসব নিরেট হিসাব-নিকাশ তো ছিলই; পরশু ম্যাচে বাংলাদেশের না জেতার পূর্বাভাস দিচ্ছিল এই পরিসংখ্যানটাও: এর আগে ৯ দলের সাতটিই যে নিজেদের ২০০তম ম্যাচটা জিততে পারেনি!
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলুন; দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, নিউজিল্যান্ড কিংবা জিম্বাবুয়ে—এই সাত দলই নিজেদের ২০০তম ম্যাচটা বিস্মরণযোগ্য করে দিয়েছে পরাজয় দিয়ে। বেশ। সেই পরিসংখ্যানই আবার কী বলছে দেখুন: বাংলাদেশের আগ পর্যন্ত মাত্র দুটো দল ২০০তম ম্যাচটায় জিতেছে। পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা। কী কাকতালীয় ব্যাপার, ওই দুটি জয়ই এসেছে একই দলের বিপক্ষে—ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
১৯৯০ সালের নভেম্বরে লাহোরে পাকিস্তান ২০০তম ম্যাচটা উদ্যাপন করেছিল ৫ উইকেটের জয়ে। ৫ বছর পর অক্টোবরে শারজায় শ্রীলঙ্কার জয় ৫০ রানের। সিঙ্গার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ওই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় রোশান মহানামা পরশু ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থেকে কাছ থেকে দেখলেন, কীভাবে ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে পুনরাবৃত্তি হলো ইতিহাসের। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানেরই উপমহাদেশীয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই হারাল ৩ উইকেটে। এই তথ্য জানা থাকলে এর পর ২০০তম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় থাকা কেনিয়া (অপেক্ষাটা অবশ্য দীর্ঘই হবে, ১১৮ ম্যাচ খেলেছে তারা) নির্ঘাত তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই আমন্ত্রণ জানাবে প্রতিপক্ষ হিসেবে!
কেনিয়ার এখনো ২০০ ম্যাচ খেলা হয়নি, কেবল ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশই এই মাইলফলক পেরিয়েছে। জয়ের দিক দিয়ে এখনো সবার চেয়ে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজই। প্রথম ২০০ ম্যাচের ১৪৩টিই জিতেছিল তারা, যা তাদের স্বর্ণযুগেরও সাক্ষী। দীর্ঘ নির্বাসন থেকে ফিরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে খেলাই শুরু করেছে বাংলাদেশেরও ৫ বছর পর। ২০০ ম্যাচের মাইলফলক অবশ্য তারা পেরিয়ে গেছে সেই কবে। প্রথম ২০০ ম্যাচে জয়ের হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরেই আছে তারা। দাপুটে অস্ট্রেলিয়া ৫ নম্বরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭৪ রানের বড় স্কোরের পরেও বাংলাদেশ যে ২০০তম ম্যাচটা জিতবে, সেটা কিন্তু পরিসংখ্যান থেকেই আঁচ করা যাচ্ছিল। বাংলাদেশ শততম ম্যাচটা জিতেছিল। প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, ২০০৪ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। জিতেছিল ১৫০তম ম্যাচটাও। এবারও প্রতিপক্ষ ভারত, ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই এবার ২০০তম জয়ের কীর্তি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুফলা সময় কেটেছে ১০১ থেকে ১৫০তম ম্যাচের মধ্যে। এই সময় ২৮টি ম্যাচেই জিতেছিল বাংলাদেশ! ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে জয় ১২টি। হোক না একটু কম। এ তো কেবল শুরু! পরিসংখ্যান আসলেই সত্যটা বোঝাতে পারে না!
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলুন; দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, নিউজিল্যান্ড কিংবা জিম্বাবুয়ে—এই সাত দলই নিজেদের ২০০তম ম্যাচটা বিস্মরণযোগ্য করে দিয়েছে পরাজয় দিয়ে। বেশ। সেই পরিসংখ্যানই আবার কী বলছে দেখুন: বাংলাদেশের আগ পর্যন্ত মাত্র দুটো দল ২০০তম ম্যাচটায় জিতেছে। পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা। কী কাকতালীয় ব্যাপার, ওই দুটি জয়ই এসেছে একই দলের বিপক্ষে—ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
১৯৯০ সালের নভেম্বরে লাহোরে পাকিস্তান ২০০তম ম্যাচটা উদ্যাপন করেছিল ৫ উইকেটের জয়ে। ৫ বছর পর অক্টোবরে শারজায় শ্রীলঙ্কার জয় ৫০ রানের। সিঙ্গার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ওই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় রোশান মহানামা পরশু ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থেকে কাছ থেকে দেখলেন, কীভাবে ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে পুনরাবৃত্তি হলো ইতিহাসের। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানেরই উপমহাদেশীয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই হারাল ৩ উইকেটে। এই তথ্য জানা থাকলে এর পর ২০০তম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় থাকা কেনিয়া (অপেক্ষাটা অবশ্য দীর্ঘই হবে, ১১৮ ম্যাচ খেলেছে তারা) নির্ঘাত তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই আমন্ত্রণ জানাবে প্রতিপক্ষ হিসেবে!
কেনিয়ার এখনো ২০০ ম্যাচ খেলা হয়নি, কেবল ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশই এই মাইলফলক পেরিয়েছে। জয়ের দিক দিয়ে এখনো সবার চেয়ে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজই। প্রথম ২০০ ম্যাচের ১৪৩টিই জিতেছিল তারা, যা তাদের স্বর্ণযুগেরও সাক্ষী। দীর্ঘ নির্বাসন থেকে ফিরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে খেলাই শুরু করেছে বাংলাদেশেরও ৫ বছর পর। ২০০ ম্যাচের মাইলফলক অবশ্য তারা পেরিয়ে গেছে সেই কবে। প্রথম ২০০ ম্যাচে জয়ের হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরেই আছে তারা। দাপুটে অস্ট্রেলিয়া ৫ নম্বরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭৪ রানের বড় স্কোরের পরেও বাংলাদেশ যে ২০০তম ম্যাচটা জিতবে, সেটা কিন্তু পরিসংখ্যান থেকেই আঁচ করা যাচ্ছিল। বাংলাদেশ শততম ম্যাচটা জিতেছিল। প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, ২০০৪ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। জিতেছিল ১৫০তম ম্যাচটাও। এবারও প্রতিপক্ষ ভারত, ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই এবার ২০০তম জয়ের কীর্তি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুফলা সময় কেটেছে ১০১ থেকে ১৫০তম ম্যাচের মধ্যে। এই সময় ২৮টি ম্যাচেই জিতেছিল বাংলাদেশ! ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে জয় ১২টি। হোক না একটু কম। এ তো কেবল শুরু! পরিসংখ্যান আসলেই সত্যটা বোঝাতে পারে না!
No comments