গাজায় হামলা শুরু হলে সকল জিম্মিকে হত্যার হুমকি হামাসের
এতে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও সেখানে সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরাইল। দেশটির বিরুদ্ধে গুন্ডামি, সহায়তা প্রবেশে বাধাদান এবং বেপরোয়া হামলার অভিযোগ তুলেছে হামাস।
আল কাসসাম বিগ্রেডের সামরিক মুখপাত্র আবু উবাইদা বৃহস্পতিবার তার রেকর্ড করা বার্তায় বলেছেন, শত্রুরা (ইসরাইল) চুক্তি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কেননা প্রধানমন্ত্রী (বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু) তার বন্দীদের জীবনের চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ইসরাইলকে দখলদার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দখলদাররা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে হামলা আরও জোরদার করতে আমেরিকার সবুজ সংকেত তালাশ করছে। ইসরাইলের এই যুদ্ধের হুমকি তাদের ব্যর্থতার কারণ হবে বলে উল্লেখ করেছেন উবাইদা। বলেছেন, ইসরাইলের যুদ্ধের হুমকি তাদের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না। এর মাধ্যমে তারা জিম্মিদের মুক্ত করতে পারবে না। আমরা ইসরাইলি বন্দীদের পরিবারকে সতর্ক করছি, যারা বেঁচে আছেন তাদের জন্য আমাদের কাছে এখনও জীবনের বহু প্রমাণ রয়েছে। সম্ভাব্য সকল পরিস্থিতির জন্য হামাস প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই নেতা। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসন বৃদ্ধি হলে, জিম্মিদের হত্যা করা হবে।
বুধবার হামাসকে লক্ষ্য করে হুমকি দেন ট্রাম্প। সংগঠনটিকে তাৎক্ষণিকভাবে সকল জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, কাজ শেষ করার জন্য ইসরাইলের প্রয়োজন অনুসারে সব পাঠাচ্ছি আমি। সুতরাং আমার কথামতো কাজ না করলে একজন হামাস সদস্যও নিরাপদ থাকবে না। ওই পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যেহেতু আপনার এখনও সময় আছে তাই নেতৃত্বের জন্য গাজা ছেড়ে যাওয়ার এখনই মুখ্য সময়।
এছাড়া উপত্যকার জনগণের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। তবে আপনারা (হামাস) যদি জিম্মিদের আটকে রাখেন তাহলে তা হবে না। যদি সেটাই করেন আপনাদের জন্য মৃত্যু। বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিন। এখনই জিম্মিদের ছেড়ে দিন। নইলে হামাসকে নরকসম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। বুধবার ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে মুক্তি পাওয়া ৮ জিম্মির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এখনও ২৪ জন জিম্মি জীবিত অছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত রোববার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের ধারণা বাকি ৩৫ জন জিম্মিকে হত্যা করা হয়েছে। এদান আলেকজান্ডার হলেন গাজায় জীবিত থাকা শেষ আমেরিকান-ইসরাইলি জিম্মি।
No comments