মার্কিন নির্বাচনের স্পটলাইটে বাংলাদেশ: ট্রাম্পের কৌশলগত অবস্থান এবং বৈশ্বিক প্রভাব by সিরাজুল আই. ভূঁইয়া

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফোকাস গিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের উপর। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (আগের টুইটার) ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য মার্কিন রাজনৈতিক বৃত্ত এবং বাংলাদেশ উভয়ক্ষেত্রেই আলোচনার সূত্রপাত করেছে। ট্রাম্প তাঁর পোস্টে - বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার নিন্দা করেছেন, তার প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করেছেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দৃঢ় সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ উভয় দেশের রাজনীতিতে একাধিক প্রভাব ফেলে। এই   প্রতিবেদনে আমরা ট্রাম্পের বার্তার উদ্দেশ্য এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে এর প্রভাব মূল্যায়ন করবো।

ট্রাম্পের বার্তার উদ্দেশ্য
এক্স-এ ট্রাম্পের বার্তা একাধিক উদ্দেশ্য পূরণ করে। প্রাথমিকভাবে মার্কিন নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এবং মার্কিন-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর প্রভাব রয়েছে। তার বিবৃতিগুলি আমেরিকার হিন্দু ভোটারদের লক্ষ্য করে, বিশেষ করে ভারতের সাথে সম্পর্কযুক্ত এমন একটি সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে প্রতিফলিত যাঁরা মার্কিন রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমানভাবে জড়িত রয়েছেন। তাদের কাছে নিজের আবেদন তুলে ধরার একটি কৌশলগত অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। পোস্টে, ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অনুভূত "বর্বরোচিত" সহিংসতার নিন্দা করেছেন এবং বাইডেন প্রশাসনের ওপর বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার দায় চাপিয়েছেন। এই কৌশল ট্রাম্পের শক্তি প্রজেক্ট করার পাশাপাশি তার প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিস এবং জো বাইডেনের দুর্বলতাকে ফোকাস করে।  

হিন্দু ও খ্রিস্টানদের নিপীড়নকে তুলে ধরার ট্রাম্পের কৌশল মোদির সাথে তার বন্ধুত্বের গভীরতাকে নির্দেশ করে। এটি শুধুমাত্র হিন্দু-আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে সমর্থন জোগাড় করার চেষ্টাই নয়, বরং নিজেকে একটি কট্টর ভারত-পন্থী, মোদি-পন্থী হিসেবে তুলে ধরার প্রচেষ্টাও বটে। এটি হিন্দু-আমেরিকান ভোটারদের আকৃষ্ট করার প্রয়াস, যারা তাদের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নেতৃত্বের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেন। সেইসাথে ভারতের প্রতি ট্রাম্পের সমর্থন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভূ-রাজনৈতিক মিত্র হিসাবে উপস্থাপন করে। কানাডায় সাম্প্রতিক শিখ নেতার হত্যার বিষয়ে ট্রাম্পের নীরবতা দক্ষিণ এশিয়া ইস্যুতে তার নির্বাচনী কৌশলের দিকে ইঙ্গিত করে। আসলে ট্রাম্প একটি শক্তিশালী হিন্দু ভোটার বেস গড়ে তোলার লক্ষ্য রেখেছেন। সূক্ষ্মভাবে বলতে গেলে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনসংখ্যার প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়ে কৌশলগতভাবে সংখ্যালঘু অধিকারের রক্ষক হিসেবে নিজের ভাবমূর্তিকে শক্তিশালী করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রভাব
বাংলাদেশ সম্পর্কে ট্রাম্পের বার্তা এবং হ্যারিস ও বাইডেনকে নিয়ে তার সূক্ষ্ম সমালোচনা হিন্দু-আমেরিকান ভোটারদের সমর্থন লাভের জন্য তার প্রচেষ্টাকে প্রদর্শন করে। টেক্সাস, নিউ জার্সি এবং ফ্লোরিডার মতো ক্রমবর্ধমান দক্ষিণ এশীয় জনসংখ্যা সম্বলিত রাজ্যগুলির ভোটারদের আকৃষ্ট করার প্রয়াস। অনেক হিন্দু-আমেরিকান ভোটার, হ্যারিসের সাথে তার ভারতীয় সম্পৃক্ততার কারণে একটি সখ্যতা অনুভব করতে পারেন। ট্রাম্পের বিবৃতি কৌশলগতভাবে এই প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ণ করার একটি কৌশল হতে পারে, তিনি আদপে বোঝাতে চেয়েছেন অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘু অধিকারের পক্ষে। হিন্দু ইস্যুতে হ্যারিস এবং বাইডেনের সমালোচনা করে, ট্রাম্পের টিম সম্ভবত হিন্দু ভোটারদের মোহভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। একইসঙ্গে রিপাবলিকানদের দিকে ভোট টানতে চেয়েছে। এই পদ্ধতি মার্কিন রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ কেউ এটিকে একটি বৈচিত্র্যময় জোট গঠনের চতুর পদক্ষেপ হিসাবে দেখেন, অন্যরা এটিকে একটি অতিরঞ্জিত কৌশল হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন,  যা মুসলিম এবং শিখ সম্প্রদায় সহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য ভোটারদের বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াস। উপরন্তু, বাহ্যিক বিষয়গুলির উপর এই ফোকাস ট্রাম্পের বিদেশ নীতি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে।  

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের ওপর এর  প্রভাব
ট্রাম্পের বার্তাটি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবহেও প্রভাব ফেলেছে। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেখানে একটি অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান। হিলারি ক্লিনটনের মতো উল্লেখযোগ্য গণতান্ত্রিক ব্যক্তিত্বের সাথে ইউনূস দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। মোদির সাথে নিজেকে সারিবদ্ধ করে এবং বাংলাদেশের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে ট্রাম্প তার অবস্থান সম্পর্কে একটি সূক্ষ্ম বার্তা দিতে চেয়েছেন: ভারতের সাথে আমেরিকার একটি শক্তিশালী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের সাথে দূরত্ব। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য, ট্রাম্পের বার্তাটি একটি সংকেত হিসাবে কাজ করে যে তার প্রশাসন পুনঃনির্বাচিত হলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ভারতের শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের মধ্যে এই উদ্বেগ দেখা দিতে পারে যে ভবিষ্যতে ট্রাম্প প্রশাসন তার দক্ষিণ এশিয়া নীতিতে আরও ভারত-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নেবে। ট্রাম্পের মন্তব্য বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে যারা ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের দ্বারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত বলে মনে করে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরও মেরুকরণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। কারণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং গোষ্ঠী মার্কিন-পন্থীদের সাথে নিজেদের সারিবদ্ধ করে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বা মোদিপন্থী রিপাবলিকান দৃষ্টিভঙ্গি।

বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রভাব
ট্রাম্পের মন্তব্যগুলি মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির একটি প্রবণতাকে আন্ডারস্কোর করে যা বহুপাক্ষিক বিবেচনার উপর ভিত্তি করে দ্বিপাক্ষিক জোটের গুরুত্ব তুলে ধরে। বাংলাদেশের মতো ক্রান্তিকালীন সরকারগুলিকে সাইডলাইন করে মোদি এবং ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে নিজেকে সারিবদ্ধ করে, ট্রাম্প শক্তিশালী কেন্দ্রীভূত সরকারগুলির সাথে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছেন। যদি ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো পরিবর্তনের সাক্ষী হবে। দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে মোদির দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশকে দেখতে পারেন ট্রাম্প। সম্ভাব্যভাবে আঞ্চলিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসনকে সীমিত করবে। এটি চীন ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে জটিল করে তুলতে পারে, যারা উভয়েই দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন রাজনীতির প্রভাব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকারের ওপর ট্রাম্পের সওয়াল মার্কিন প্রশাসন কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে তার নজির গড়তে পারে। যদিও ট্রাম্পের মন্তব্য সম্ভবত নির্বাচনী উদ্দেশ্য দ্বারা চালিত, তবুও এটি সংবেদনশীল বিষয়ে প্রকাশ্যে বিদেশী সরকারের সমালোচনা করার ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে প্রকাশ করে। এটি সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নীতিগুলিকে যাচাইকরণের দিকে পরিচালিত করতে পারে, সম্ভাব্যভাবে একটি কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং বাংলাদেশের প্রতি বিদেশী সহায়তাকে প্রভাবিত করতে পারে, যার সাথে প্রায়শই মানবাধিকারের শর্তাবলী সম্পৃক্ত থাকে।

ভবিষ্যতের অনুমান: সম্ভাব্য মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি

যদি ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের পদ ফিরে পান, তাহলে আমরা লেনদেনমূলক কূটনীতির ধারাবাহিকতা আশা করতে পারি যা তিনি পূর্বেও করেছিলেন। এর অর্থ হতে পারে বাংলাদেশকে গৌণ হিসেবে দেখে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য অংশীদারিত্বের উপর ফোকাস করতে পারেন। মোদির সাথে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব এবং বাংলাদেশের নির্বাচনী সমালোচনা ট্রাম্পের মার্কিন নীতির দিকে ইঙ্গিত করে যা  হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিকে অগ্রাধিকার দেয় বা রক্ষণশীল আমেরিকান ভোটারদের সাথে অনুরণিত বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেয়। বিষয়টি বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক উত্তেজনা এবং আরও মেরুকৃত সম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিপরীতভাবে, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন যদি ক্ষমতায় থাকে, বাংলাদেশ বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা অনুভব করতে পারে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক শাসনের উপর ফোকাস করেছে। এর মধ্যেও বাংলাদেশ সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য এখনও এই অঞ্চলে মানবাধিকারের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি স্থায়ী চাপ তৈরি করে মার্কিন নীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। বিষয়টি এখন নির্বাচনী আলোচনার অংশ হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের উপর মার্কিন নির্বাচনী রাজনীতির দীর্ঘ ছায়া
বাংলাদেশ সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য, যার লক্ষ্য ছিল হিন্দু-আমেরিকান ভোটারদের প্রভাবিত করা, এমন আলোচনার জন্ম দিয়েছে যার প্রভাব মার্কিন সীমানার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিশীলতা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি উভয়কেই প্রভাবিত করেছে। যদি ট্রাম্প পুনঃনির্বাচিত হন তাহলে মোদির সাথে তার বন্ধুত্বতা এবং বর্তমান বাংলাদেশী প্রশাসনের অন্তর্নিহিত সমালোচনা এই অঞ্চলে তাঁর ভারত-কেন্দ্রিক মার্কিন নীতির দিকে ইঙ্গিত করে। বাস্তবে, ট্রাম্পের পোস্টটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির সাথে মার্কিন নির্বাচনী উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে যুক্ত করেছে। আমেরিকান এবং বাংলাদেশী উভয় পর্যবেক্ষকরাই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর আমেরিকান ভোটারদের পছন্দের প্রভাব বিবেচনা করতে শুরু করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরিদ জাকারিয়ার ভাষায়, “দেশীয় রাজনীতি বৈদেশিক নীতিকে এমনভাবে প্রভাবিত করে যা প্রায়শই অচেনা থেকে যায়।" এই নির্বাচনী মরশুম প্রমাণ করে, আমেরিকান প্রার্থীরা দেশীয় লাভের জন্য আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলিকে কাজে লাগাতে পারে, যার প্রভাব মার্কিন উপকূলের বাইরেও বিস্তৃত। পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনের নেতৃত্বে ট্রাম্প বা হ্যারিস যেই থাকুক না কেন, বাংলাদেশের আখ্যান মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে একটি স্থায়ী প্রবণতাকে তুলে ধরে যেখানে বৈশ্বিক কূটনীতির সাথে নির্বাচনী কৌশল জড়িত। বাংলাদেশের জন্য, ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচন একটি অনুস্মারক। এটি প্রমাণ করে কীভাবে মার্কিন রাজনীতি বিশ্বব্যাপী উপলব্ধিগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। ছোট দেশগুলিকে সূক্ষ্ম কূটনৈতিক বুদ্ধি দিয়ে বিষয়গুলিকে নেভিগেট করতে হবে।

ডঃ সিরাজুল আই. ভূঁইয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার সাভানা স্টেট ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান

mzamin

No comments

Powered by Blogger.