বিস্ফোরক নিয়ে ইসরায়েলের পথে জার্মান জাহাজ

জার্মান পতকাবাহী একটি জাহাজ বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ে ইসরায়েল যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ওই জাহাজটি মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে নোঙর করে।

এর আগে বিভিন্ন দেশে ভেড়ার চেষ্টা করলেও ওই জাহাজটি কোথাও ভেড়ার অনুমতি পায়নি। শেষ পর্যন্ত মিসরে নোঙর করে ওই জাহাজটি। মেরিটাইম ডাটা ও অধিকার গ্রুপ এসব তথ্য জানিয়েছে।

জার্মানির মানবাধিকার আইনজীবীরা মঙ্গলবার জানান, এমভি ক্যাথরিন নামের ওই জাহাজে ৮টি শিপিং কন্টেইনার রয়েছে। এসব কন্টেইনারে ১ লাখ ৫০ হাজার কেজি পরিমাণ আরডিএক্স বিস্ফোরক রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের জন্য এই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর আগে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন- তিনি সেপ্টেম্বরেই জানতে পেরেছিলেন, এসব ম্যাটেরিয়াল ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

শিপ-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিক এবং ফাইনান্সিয়াল ডাটা প্রতিষ্ঠান এল-এস-ই-জি ডাটা অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বলছে, গত সোমবার আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি ক্যাথরিন। আগামী মঙ্গলবার এই বন্দর থেকে জাহাজটি আবারও ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি অস্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে মিসরের সেনাবাহিনী। সেখানে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে সহায়তার কথা অস্বীকার করা হয়।

তবে মিসরের সেনাবাহিনী এমভি ক্যাথরিন নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি। আবার আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে জাহাজটির নোঙর করার দাবিও অস্বীকার করেনি মিসরের সেনাবাহিনী। এ ছাড়া কন্টেইনার নামানোর বিষয়েও ওই বিবৃতিতে কিছু নেই। মিসরের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দাবি এবং ইসরায়েলকে সহায়তার বিষয়ে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করছি আমরা। ইসরায়েলকে কোনো সহায়তা করা হচ্ছে না, এটা জোর দিয়েই জানাচ্ছি।

মিসর অস্বীকার করলেও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ওই জাহাজ নিয়ে মুখ খুলেছে। ওই কার্গো জাহাজটি যেন ইসরায়েলে পৌঁছতে না পারে, সেই আহ্বানও জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। সংস্থাটির হুসেইন বাউমি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, এমভি ক্যাথরিনের জাহাজে থাকা মারাত্মক কার্গো ইসরায়েলে পৌঁছতে দেওয়া উচিত হবে না। এতে ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের মতো স্পষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। 

বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ে ইসরায়েল যাচ্ছে একটি জাহাজ। ছবি : সংগৃহীত
বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ে ইসরায়েল যাচ্ছে একটি জাহাজ। ছবি : সংগৃহীত

No comments

Powered by Blogger.