বাকি আর দু’দিন: ট্রাম্পের ভিত্তিহীন অভিযোগ
বৃহস্পতিবার তার সামাজিক মিডিয়ায় এক পোস্টে তিনি বলেছেন, আমরা তাদেরকে পেনসিলভ্যানিয়াতে বিরাট আকারে চিটিং করতে দেখেছি। এ জন্য তিনি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে বিচার দাবি করেন। ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিসের একজন সিনিয়র নির্বাচনী কর্মকর্তা এর জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প যে দাবি করছেন সেটা এই নির্বাচনে সন্দেহের বীজ বপণ করা এবং প্রতিষ্ঠানকে সন্দেহের চোখে দেখা। তিনি এসব করছেন যখন দেখছেন বিজয়ী হতে পারছেন না। পেনসিলভ্যানিয়ার পলিসি স্ট্র্যাটেজিস্ট কিলি মিলার সতর্ক করে বলেছেন, ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল গেলে সেটাকে তারা উল্টে দেয়ার বীজ বপণ করছেন। মিলার বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প ও তার মিত্ররা ২০২০ সালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। তার ফলে তারা ধারণা পোষণ করছেন যে, আগে থেকে এ জাতীয় ধারণা ছড়িয়ে দিতে হবে।
সম্প্রতি ট্রাম্প অপ্রমাণিত অভিযোগ তীব্র আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। ভোটার নিবন্ধন ফরম নিয়ে তিনি সন্দেহ পোষণ করে এর তদন্ত দাবি করেছেন। রাজ্যের কর্মকর্তারা এবং গণতন্ত্রের পক্ষের লোকজন যুক্তি দিচ্ছেন যে, এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে সিস্টেম কাজ করছে। ট্রাম্পের টিম মামলা করার পর বাকস কাউন্টিতে ল্যাঙ্কাস্টার এবং ইয়র্ক কাউন্টিতে নিবন্ধন জালিয়াতির তদন্ত করেছেন। তাতে কোনো অবৈধ ভোটের তথ্যপ্রমাণ না পেয়ে একজন বিচারক মেইলে ভোট দেয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৭৮৯ সালের সংবিধানের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলে। এর অধীনে নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ করতে বা নির্বাচনের ফল ঘোষণা বিলম্বিত করার সুযোগ আছে ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের। ২০২০ সালে ট্রাম্প টিম ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ৬০টি মামলা করে। তার একটিতেও তারা জালিয়াতি প্রমাণ করতে পারেনি। ফলে আবার যে সেরকম ঘটনা ঘটবে না এর নিশ্চয়তা নেই। এ জন্য উভয় পক্ষের আইনজীবীরা বিরোধের বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন।
No comments