প্রেস কর্মচারী থেকে ক্যাসিনো মালিক by মরিয়ম চম্পা
হাসান
উদ্দিন জামাল মতিঝিলের স্থানীয় একটি প্রেসে সামান্য বেতনে কাজ করতেন।
প্রেসের এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় পরবর্তীতে দেয়ালে নেতাদের পোস্টার সাঁটানোর
কাজ পান। এর পরেই খুলে যায় জামালের কপাল। নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে নিজের
ভাগ্য বদলাতে থাকেন তিনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর ৯ নম্বর ওয়ার্ড
কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এর ডান হাত বলে পরিচিত তিনি। মাথার উপর
আর্শিবাদ ছিল গ্রেপ্তার হওয়া ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের। তার বদৌলতে ৯
নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পদটিও বাগিয়ে নেন জামাল। ওয়ার্ড
নেতা হয়েই তিনি অবৈধভাবে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন।
ক্যাসিনো কাণ্ডে কাউন্সিলর সাঈদ এলাকাছাড়া হলে তার সম্রাজ্য দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন জামাল। তিনি এখন এ ওয়ার্ডে সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে আছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরে থাকা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও কাউন্সিলর সাঈদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় তার। হাসান উদ্দিন জামালের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার পক্ষিয়া ইউনিয়নে। তার বাবার নাম হাবিবুল্লাহ।
তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। তিন ছেলে ও স্ত্রী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভোলায় থাকেন। সেখানে প্রায় ৭০ লাখ টাকা খরচ করে বিলাশবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন। রয়েছে ভোলা শহরে আলিশান বাড়ি। সূত্র জানায়, নানা অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত জামাল অবৈধ উপায়ে অর্থ কামিয়েছেন। আরামবাগ ক্লাবে কাউন্সিলর সাঈদ যে ক্যাসিনো চালাতেন তার দেখভালের দায়িত্ব ছিল জামালের ওপর। মূলত জামালই সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করে সাঈদকে দিতেন। নিজে একটি বড় অংশ পেতেন। অনেকে জামালকেই এই ক্যাসিনোর মালিক বলে জানতেন। জামালের আরেকজন অন্যতম সহযোগী হচ্ছেন, মতিঝিল থানা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচার সম্পাদক আবুল কাশেম মন্টু। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার কাজটি জামালের হয়ে করেন মন্টু। ভবন নির্মান থেকে শুরু করে যাবতীয় নির্মাণ কাজের জন্য তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। তাদের নির্যাতনের ভয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে ভয় পান। ফকিরাপুল ক্লাবের পাশে আজাদ বয়েস ক্লাব। সেখান থেকে প্রতি মাসে জোর পূর্বক লাখ টাকা চাঁদা তোলেন। টাকা দিতে না চাইলে মারধর করেন। ঢাকার শনির আখড়া ও রায়েরবাগে রয়েছে জামালের নিজস্ব বাড়ি ও ফ্ল্যাট। সোনারগাঁয়ে তার নিজস্ব জমি আছে। ভোলায় তার কয়েক কোটি টাকার ইলিশের ব্যবসা আছে। ৪০ থেকে ৫০টি ট্রলারের মালিক তিনি। ৮ থেকে ৯ টি ড্রেজার মেশিন রয়েছে তার। রয়েছে নামে বেনামে অনেক টাকা ও সম্পদ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জামাল এবং মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের নেতা মাহমুদুল হাসান কাউন্সিলর সাঈদের অবর্তমানে তার কাজ করছেন। মাহমুদুল হাসান কাউন্সিলর সাঈদের ভাগিনা। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার আগে সাঈদের বাসা থেকে ক্যাসিনোর যাবতীয় সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলেন জামাল ও হাসান। কাউন্সিলর সাঈদের বাসার চাবি থেকে শুরু করে কাউন্সিলর কার্যালয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন জামাল। এখনো তিনি আরামবাগ হাজির বিল্ডিং, মতিঝিল মার্কেটসহ একাধীক স্থানের ভাড়া তোলেন। ভুক্তভোগী যুবলীগের একজন নেতা বলেন, প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকির মধ্যে আছি। একেক সময় একেক নাম্বার দিয়ে ফোন করে হুমকি দেয়। কখনো বলা হয় দুই দিন কখনো তিন দিন কখনোবা সাত দিনের মধ্যে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী আরেক নেতা বলেন, জামালের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কখনো প্রতিবাদ করলে সে আমাকে হুমকি দিত। বলতেন, ‘আপনি এলাকায় আমাকে সময় দেন না! রাজনীতিতে সময় দেন না।
বিষয়টি ভালো হচ্ছে না। আমার বিষয়ে কোথাও মুখ খুললে ভালো হবে না। চুপচাপ থাকেন। দলের আরেক নেতা ও মতিঝিলের বাসিন্দা বলেন, আমার পুরোনো ব্যবসা আছে। মিছিল মিটিং এ যেতে না চাইলে বাধ্য করে। দলীয় কিছু ছেলেদের দিয়ে লাঞ্চিত করে। তিনি বলেন, আমরা দুর্দীনের কর্মী। কিন্তু কোনো মূল্যায়ন আমরা পাইনা। সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। জামালকে ক্যাসিনোর মালিক বানানো হয়েছে। বাফুফের পিছনে ভ্যানগাড়ির স্ট্যান্ড, পুরো ৯ নং ওয়ার্ডের সিকিউরিটি নিয়ন্ত্রণের নামে বড় একটি অংকের টাকা যেত জামালের পকেটে। জামাল ওয়ার্ড যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌ বিহারে যান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। নৌবিহারেই সম্রাট জামালকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির ঘোষণা দেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। সম্রাটের সান্নিধ্যে আসার পর থেকেই মুলত জামাল চাঁদাবাজিতে নামেন। অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করতে জামালকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত তিনটি ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া যায়।
ক্যাসিনো কাণ্ডে কাউন্সিলর সাঈদ এলাকাছাড়া হলে তার সম্রাজ্য দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন জামাল। তিনি এখন এ ওয়ার্ডে সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে আছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরে থাকা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও কাউন্সিলর সাঈদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় তার। হাসান উদ্দিন জামালের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার পক্ষিয়া ইউনিয়নে। তার বাবার নাম হাবিবুল্লাহ।
তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। তিন ছেলে ও স্ত্রী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভোলায় থাকেন। সেখানে প্রায় ৭০ লাখ টাকা খরচ করে বিলাশবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন। রয়েছে ভোলা শহরে আলিশান বাড়ি। সূত্র জানায়, নানা অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত জামাল অবৈধ উপায়ে অর্থ কামিয়েছেন। আরামবাগ ক্লাবে কাউন্সিলর সাঈদ যে ক্যাসিনো চালাতেন তার দেখভালের দায়িত্ব ছিল জামালের ওপর। মূলত জামালই সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করে সাঈদকে দিতেন। নিজে একটি বড় অংশ পেতেন। অনেকে জামালকেই এই ক্যাসিনোর মালিক বলে জানতেন। জামালের আরেকজন অন্যতম সহযোগী হচ্ছেন, মতিঝিল থানা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচার সম্পাদক আবুল কাশেম মন্টু। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার কাজটি জামালের হয়ে করেন মন্টু। ভবন নির্মান থেকে শুরু করে যাবতীয় নির্মাণ কাজের জন্য তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। তাদের নির্যাতনের ভয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে ভয় পান। ফকিরাপুল ক্লাবের পাশে আজাদ বয়েস ক্লাব। সেখান থেকে প্রতি মাসে জোর পূর্বক লাখ টাকা চাঁদা তোলেন। টাকা দিতে না চাইলে মারধর করেন। ঢাকার শনির আখড়া ও রায়েরবাগে রয়েছে জামালের নিজস্ব বাড়ি ও ফ্ল্যাট। সোনারগাঁয়ে তার নিজস্ব জমি আছে। ভোলায় তার কয়েক কোটি টাকার ইলিশের ব্যবসা আছে। ৪০ থেকে ৫০টি ট্রলারের মালিক তিনি। ৮ থেকে ৯ টি ড্রেজার মেশিন রয়েছে তার। রয়েছে নামে বেনামে অনেক টাকা ও সম্পদ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জামাল এবং মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের নেতা মাহমুদুল হাসান কাউন্সিলর সাঈদের অবর্তমানে তার কাজ করছেন। মাহমুদুল হাসান কাউন্সিলর সাঈদের ভাগিনা। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার আগে সাঈদের বাসা থেকে ক্যাসিনোর যাবতীয় সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলেন জামাল ও হাসান। কাউন্সিলর সাঈদের বাসার চাবি থেকে শুরু করে কাউন্সিলর কার্যালয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন জামাল। এখনো তিনি আরামবাগ হাজির বিল্ডিং, মতিঝিল মার্কেটসহ একাধীক স্থানের ভাড়া তোলেন। ভুক্তভোগী যুবলীগের একজন নেতা বলেন, প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকির মধ্যে আছি। একেক সময় একেক নাম্বার দিয়ে ফোন করে হুমকি দেয়। কখনো বলা হয় দুই দিন কখনো তিন দিন কখনোবা সাত দিনের মধ্যে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী আরেক নেতা বলেন, জামালের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কখনো প্রতিবাদ করলে সে আমাকে হুমকি দিত। বলতেন, ‘আপনি এলাকায় আমাকে সময় দেন না! রাজনীতিতে সময় দেন না।
বিষয়টি ভালো হচ্ছে না। আমার বিষয়ে কোথাও মুখ খুললে ভালো হবে না। চুপচাপ থাকেন। দলের আরেক নেতা ও মতিঝিলের বাসিন্দা বলেন, আমার পুরোনো ব্যবসা আছে। মিছিল মিটিং এ যেতে না চাইলে বাধ্য করে। দলীয় কিছু ছেলেদের দিয়ে লাঞ্চিত করে। তিনি বলেন, আমরা দুর্দীনের কর্মী। কিন্তু কোনো মূল্যায়ন আমরা পাইনা। সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। জামালকে ক্যাসিনোর মালিক বানানো হয়েছে। বাফুফের পিছনে ভ্যানগাড়ির স্ট্যান্ড, পুরো ৯ নং ওয়ার্ডের সিকিউরিটি নিয়ন্ত্রণের নামে বড় একটি অংকের টাকা যেত জামালের পকেটে। জামাল ওয়ার্ড যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌ বিহারে যান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। নৌবিহারেই সম্রাট জামালকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির ঘোষণা দেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। সম্রাটের সান্নিধ্যে আসার পর থেকেই মুলত জামাল চাঁদাবাজিতে নামেন। অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করতে জামালকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত তিনটি ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া যায়।
No comments