লেবাননে সরকারবিরোধী আন্দোলন, আজ ধর্মঘট
অর্থনৈতিক
বিপর্যয় ও সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন
লেবাননে। আজ সোমবার সেখানে পালিত হচ্ছে ধর্মঘট। রাজধানী বৈরুতে রোববার
সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়। চারদিন ধরে চলছে এই বিক্ষোভ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
হোয়াটস অ্যাপে কল এবং অন্যান্য ম্যাসেজিং সার্ভিসের ওপর প্রস্তাবিত
ট্যাক্সের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম রাজপথে নেমে পড়ে জনতা। তারপর
থেকে ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটিতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছেই।
রোববার রাজধানী বৈরুত, উত্তরে দ্বিতীয সর্ববৃহৎ শহর ত্রিপোলি এবং দক্ষিণে
বন্দরনগরী টাইরে এদিন অচল হয়ে পড়ে। সব রাস্তা ছিল বিক্ষোভকারীতে ভরা।
এ সময় তারা জাতীয় পতাকা দুলিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন ‘রেভ্যুলুশন’ অথবা ‘জনগণ শাসকগোষ্ঠীর পতন দাবি করছে’। ঠিক ২০১১ সালের আরব বসন্তের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
বড় বিক্ষোভ হয়েছে সিদন এবং বালবাক শহরেও। বৈরুতে এমন একটি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট ছেরিনে শাওয়া। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতিকদের কারণে হতাশা থেকে আমি এই বিক্ষোভে এসেছি। আসলে দেশে কোনো কিছুই কাজ করছে না।
বিক্ষোভকারীদের দাবি দেশে দুর্নীতি ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের দাবি, দেশে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা দশকের পর দশক ধরে তাদের পদ ব্যবহার করে তাদের পক্ষে চুক্তি করছেন এবং তা থেকে নগদ নারায়ণ আদায় করছেন। ৪০ বছর বয়সী নারী হানান তাকুচে বলেন, আমরা এখানে এসেছি আমাদের নেতাদের এটাই বলতে যে, আপনাদেরকে বিদায় নিতে হবে। তাদের ওপর আমাদের কোনোই আশা নেই। তবে আমরা এটা আশা করি যে, এই বিক্ষোভ পরিবর্তন আনবে। এসব নেতা ক্ষমতায় এসেছেন নিজেদের পকেট ভরতে। তারা সব আসলে দুর্নীতিবাজ ও চোর।
বিক্ষোভ শেষ হয় নি। আজ সোমবার সেখানে দেশব্যাপী ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরি সংস্কারে রাজি হয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সাদ আল হারিরি শুক্রবার তার জোটের অংশীদারদেরকে ৭২ ঘন্টার সময় দিয়েছেন। বলেছেন, নতুন করে ট্যাক্স আরোপ ছাড়াই অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার একটি সমাধানে তাদেরকে পৌঁছাতে হবে।
যদিও নতুন ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাবনাকে বাদ দেয়া হয়েছে, তবু অর্থনৈতিক সংস্কার এতটা সহজ নয় বলে বৈরুত থেকে বলছেন আল জাজিরার সাংবাদিক স্টেফানি ডেকার। তিনি বলেন, জনগণ রাজনীতিবিদদের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। সোমবারের আন্দোলনটি হবে আরো কঠোর। এতে সরকারের ওপর আরো চাপ বাড়বে। সোমবার পালিত হচ্ছে ধর্মঘট। এদিন ব্যাংক বীমা, দোকানপাঠ, স্কুল সব বন্ধ থাকবে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণমুখী সড়কগুলো অবরুদ্ধ করে রাখায় চলাচল থাকবে সীমাবদ্ধ। এ অবস্থায় সোমবার সরকার কি প্রস্তাব করে তা দেখার বিষয়। কারণ, এখনই সরকার পদত্যাগ করবে এমনটা মনে হচ্ছে না। তবে বেশির ভাগ মানুষ চাইছে সরকারের পদত্যাগ।
লেবানরের বেকা উপত্যাকা থেকে দু’ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে বৈরুতে এসেছেন হামজা। তিনি বলেন, রাজনীতিকরা আমাদেরকে কিছুই দিচ্ছেন না। তারাই সব নিয়ে নিচ্ছেন। এতে আমাদের কিছুই নেই। ২০০৫ সাল থেকে তারা আমাদেরকে শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার কিছুই বাস্তবে ঘটে নি। লেবাননে জাতিগত বিভেদ থাকলেও বিক্ষোভকারীরা জাতীয় এক পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। বিক্ষোভকালে পার্লামেন্টের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছেন সুন্নী, শিয়া, খ্রিস্টান ও দ্রুজ নেতারা। লেবাননে জোট সরকারের অংশ হিজবুল্লা। এর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ শনিবার বলেছেন, সরকারের পরিবর্তন হলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।
লেবানন ঋণের দায়ে জর্জরিত। সেখানে উচ্চ হারে ট্যাক্স ও অর্থনীতির করুণ পরিণতিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নাগরিকরা। সেখানে সরকারি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬০০ কোটি ডলার। এই পরিমাণ জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা ১৫০ ভাগেরও বেশি।
এ সময় তারা জাতীয় পতাকা দুলিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন ‘রেভ্যুলুশন’ অথবা ‘জনগণ শাসকগোষ্ঠীর পতন দাবি করছে’। ঠিক ২০১১ সালের আরব বসন্তের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
বড় বিক্ষোভ হয়েছে সিদন এবং বালবাক শহরেও। বৈরুতে এমন একটি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট ছেরিনে শাওয়া। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতিকদের কারণে হতাশা থেকে আমি এই বিক্ষোভে এসেছি। আসলে দেশে কোনো কিছুই কাজ করছে না।
বিক্ষোভকারীদের দাবি দেশে দুর্নীতি ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের দাবি, দেশে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা দশকের পর দশক ধরে তাদের পদ ব্যবহার করে তাদের পক্ষে চুক্তি করছেন এবং তা থেকে নগদ নারায়ণ আদায় করছেন। ৪০ বছর বয়সী নারী হানান তাকুচে বলেন, আমরা এখানে এসেছি আমাদের নেতাদের এটাই বলতে যে, আপনাদেরকে বিদায় নিতে হবে। তাদের ওপর আমাদের কোনোই আশা নেই। তবে আমরা এটা আশা করি যে, এই বিক্ষোভ পরিবর্তন আনবে। এসব নেতা ক্ষমতায় এসেছেন নিজেদের পকেট ভরতে। তারা সব আসলে দুর্নীতিবাজ ও চোর।
বিক্ষোভ শেষ হয় নি। আজ সোমবার সেখানে দেশব্যাপী ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরি সংস্কারে রাজি হয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সাদ আল হারিরি শুক্রবার তার জোটের অংশীদারদেরকে ৭২ ঘন্টার সময় দিয়েছেন। বলেছেন, নতুন করে ট্যাক্স আরোপ ছাড়াই অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার একটি সমাধানে তাদেরকে পৌঁছাতে হবে।
যদিও নতুন ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাবনাকে বাদ দেয়া হয়েছে, তবু অর্থনৈতিক সংস্কার এতটা সহজ নয় বলে বৈরুত থেকে বলছেন আল জাজিরার সাংবাদিক স্টেফানি ডেকার। তিনি বলেন, জনগণ রাজনীতিবিদদের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। সোমবারের আন্দোলনটি হবে আরো কঠোর। এতে সরকারের ওপর আরো চাপ বাড়বে। সোমবার পালিত হচ্ছে ধর্মঘট। এদিন ব্যাংক বীমা, দোকানপাঠ, স্কুল সব বন্ধ থাকবে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণমুখী সড়কগুলো অবরুদ্ধ করে রাখায় চলাচল থাকবে সীমাবদ্ধ। এ অবস্থায় সোমবার সরকার কি প্রস্তাব করে তা দেখার বিষয়। কারণ, এখনই সরকার পদত্যাগ করবে এমনটা মনে হচ্ছে না। তবে বেশির ভাগ মানুষ চাইছে সরকারের পদত্যাগ।
লেবানরের বেকা উপত্যাকা থেকে দু’ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে বৈরুতে এসেছেন হামজা। তিনি বলেন, রাজনীতিকরা আমাদেরকে কিছুই দিচ্ছেন না। তারাই সব নিয়ে নিচ্ছেন। এতে আমাদের কিছুই নেই। ২০০৫ সাল থেকে তারা আমাদেরকে শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার কিছুই বাস্তবে ঘটে নি। লেবাননে জাতিগত বিভেদ থাকলেও বিক্ষোভকারীরা জাতীয় এক পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। বিক্ষোভকালে পার্লামেন্টের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছেন সুন্নী, শিয়া, খ্রিস্টান ও দ্রুজ নেতারা। লেবাননে জোট সরকারের অংশ হিজবুল্লা। এর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ শনিবার বলেছেন, সরকারের পরিবর্তন হলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।
লেবানন ঋণের দায়ে জর্জরিত। সেখানে উচ্চ হারে ট্যাক্স ও অর্থনীতির করুণ পরিণতিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নাগরিকরা। সেখানে সরকারি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬০০ কোটি ডলার। এই পরিমাণ জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা ১৫০ ভাগেরও বেশি।
No comments