ক্যাসিনোকাণ্ড: সরকারের একাধিক টিম সিঙ্গাপুরে by মিজানুর রহমান
ক্যাসিনো
বাদশাহ ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বাড়ি, গাড়িসহ বিপুল অর্থকড়ির
বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধানে সরকারের একাধিক ইউনিট এখন সিঙ্গাপুরে। দায়িত্বশীল
সূত্র বলছে, তার সহযোগীরা কে কোথায় সেটি চিহ্নিত করাকে অগ্রাধিকার দেয়া
হচ্ছে। রিমান্ডে থাকা সম্রাট হুন্ডি-কারবারি এবং ক্যাসিনো পর্যন্ত ডলার
পৌঁছে দেয়া তার সহযোগীদের ব্যাপারে যে তথ্য দিয়েছেন তার সত্যতাও খোঁজা
হচ্ছে। মিলিয়ন ডলারে জুয়া খেলে যিনি সিঙ্গাপুর ক্যাসিনোর ভিআইপি জুয়াড়ি
পাইজা চেয়ারম্যানশিপ পেয়েছেন তার জবানিতে কয়েক কোটি টাকা বিদেশি ব্যাংকে
জমা থাকার বয়ানকে অস্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন সবাই। সরকারি-বেসরকারি এমনকি
সাধারণ জুয়াড়িরাও এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এটা অবিশ্বাস্য!
দু’দিন আগে রিমান্ডে বিদেশের দুই ব্যাংকে ৮০ কোটি টাকা জমা থাকার কথা কবুল
করেছেন সম্রাট।
এ ছাড়া জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাড়ি থাকার কথা। কিন্তু ওই বাড়ি কার নামে, কোথায় এবং কার জিম্মায় রয়েছে সেটি এখনো প্রকাশিত হয়নি।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, সিঙ্গাপুরে সম্রাটের নামে বাড়ি থাকার সম্ভাবনা জিরো। তবে স্ত্রী এবং এখানকার পিআর বা স্থায়ী নাগরিকত্ব অর্জনকারী তার সহযোগীদের নামে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকা অমূলক নয়। তাছাড়া সম্রাট বিপাকে পড়ার আগে অনেকের প্রিয়ভাজন ছিলেন। তাদের সিঙ্গাপুরে থাকা অর্থকড়ি, সহায় সম্পত্তি নিরাপদ রাখতে তার হাত লেগেছিল। সব মিলে এখানে সম্রাট ছিলেন সম্রাটের মতোই। তার সাম্রাজ্য কতটা বিস্তৃত ছিল এখন সেটাই অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উইং। সূত্র মতে, জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের দেশে-বিদেশে কত অর্থ রয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার চেষ্টা ছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি। নানা চমকপ্রদ কথা বলে সম্রাট বিষয়গুলো এড়িয়ে গেছেন। দেশের ব্যাংকে অর্থ নেই এমন দাবিও তিনি করছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে প্রকাশ জার্মানির একটি ব্যাংকে ও সুইজারল্যান্ডের একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে অর্থ জমা থাকার কথা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছেন তিনি। তা-ও ওই অর্থ জমা করার বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি।
অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি যে বিপুল অর্থ আয় করতেন তা কোথায় কীভাবে ডলারে কনভার্ট করেছেন সে বিষয়েও তার বয়ান নাকি অস্পষ্ট! স্থানীয়রা এটা নিশ্চিত করেছেন যে, সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোতে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উড়িয়েই তিনি পাইজা কার্ড পেয়েছেন। তদবির করে এটি অর্জন সম্ভব নয়। প্রাচ্যে পশ্চিমা ফ্লেভার দেয়া আমেরিকান ক্যাসিনো সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে সেন্ডস’-এ সম্রাটের অন্যরকম কদর ছিল। এখানে তার বিলাসী জীবনের কিছু অংশ মানবজমিনসহ দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশি পাইজা চেয়ারম্যান ছিলেন, বাংলাদেশ যুবলীগের কর্মী প্রিয় তবে বিতর্কিত নেতা সম্রাট। প্রকাশিত রিপোর্ট মতে, সুইজারল্যান্ডের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার ৪৪ কোটি টাকা জমা রয়েছে। সুইজারল্যান্ডে সম্রাটের সমুদয় বিষয় দেখভাল করেন পল্টনের এক সময়ের যুবলীগের নেতা সুইজারল্যান্ড প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম। আশরাফ পল্টনের ওয়ার্ড কমিশনার মোস্তফা জামানের এক সময়ের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন।
সম্রাটের সঙ্গে মোস্তফার সম্পর্কের সূত্র ধরেই এখন তিনি ওই দায়িত্বে। তবে জার্মানির ব্যাংকে রাখা ৩৬ কোটি টাকা কার মাধ্যমে গেছে তা অজানা এখনো। আর যে দুটি দেশে তার লেনদেন সবচেয়ে বেশি, বিশেষত সিঙ্গাপুরে তার অর্থকড়ি কারা আগলে রাখতেন, তিনি জেলে যাওয়ার পর তারা কে কোথায় কীভাবে রয়েছে তা খোলাসা হয়নি। তবে মালয়েশিয়ার পূত্রাজায়ায় ‘কুইক রোডে’ তার বাড়ি থাকার তথ্যটি সঠিক বলে খবরে প্রকাশ। দেশটিতে তার ছেলে পড়াশোনা করছেন বলেও জানা গেছে। ক্যাসিনো কাণ্ডে সম্রাটের ভাবশিষ্য খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও আরমান গ্রেপ্তার হয়েছেন। লোকমান হোসেন ভূঁইয়াসহ বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারকারী গ্যাং মাস্টাররাও ধরা পড়ছে। সূত্র জানায়, এদের সঙ্গে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে রিমান্ডে থাকা সম্রাট ও আরমানকে মুখোমুখি করা এরই মধ্য সম্পন্ন হয়েছে, যা জরুরি ছিল। তারা নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য একে অপরকে দোষারোপও করেছে।
এ ছাড়া জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাড়ি থাকার কথা। কিন্তু ওই বাড়ি কার নামে, কোথায় এবং কার জিম্মায় রয়েছে সেটি এখনো প্রকাশিত হয়নি।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, সিঙ্গাপুরে সম্রাটের নামে বাড়ি থাকার সম্ভাবনা জিরো। তবে স্ত্রী এবং এখানকার পিআর বা স্থায়ী নাগরিকত্ব অর্জনকারী তার সহযোগীদের নামে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকা অমূলক নয়। তাছাড়া সম্রাট বিপাকে পড়ার আগে অনেকের প্রিয়ভাজন ছিলেন। তাদের সিঙ্গাপুরে থাকা অর্থকড়ি, সহায় সম্পত্তি নিরাপদ রাখতে তার হাত লেগেছিল। সব মিলে এখানে সম্রাট ছিলেন সম্রাটের মতোই। তার সাম্রাজ্য কতটা বিস্তৃত ছিল এখন সেটাই অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উইং। সূত্র মতে, জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের দেশে-বিদেশে কত অর্থ রয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার চেষ্টা ছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি। নানা চমকপ্রদ কথা বলে সম্রাট বিষয়গুলো এড়িয়ে গেছেন। দেশের ব্যাংকে অর্থ নেই এমন দাবিও তিনি করছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে প্রকাশ জার্মানির একটি ব্যাংকে ও সুইজারল্যান্ডের একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে অর্থ জমা থাকার কথা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছেন তিনি। তা-ও ওই অর্থ জমা করার বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি।
অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি যে বিপুল অর্থ আয় করতেন তা কোথায় কীভাবে ডলারে কনভার্ট করেছেন সে বিষয়েও তার বয়ান নাকি অস্পষ্ট! স্থানীয়রা এটা নিশ্চিত করেছেন যে, সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোতে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উড়িয়েই তিনি পাইজা কার্ড পেয়েছেন। তদবির করে এটি অর্জন সম্ভব নয়। প্রাচ্যে পশ্চিমা ফ্লেভার দেয়া আমেরিকান ক্যাসিনো সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে সেন্ডস’-এ সম্রাটের অন্যরকম কদর ছিল। এখানে তার বিলাসী জীবনের কিছু অংশ মানবজমিনসহ দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশি পাইজা চেয়ারম্যান ছিলেন, বাংলাদেশ যুবলীগের কর্মী প্রিয় তবে বিতর্কিত নেতা সম্রাট। প্রকাশিত রিপোর্ট মতে, সুইজারল্যান্ডের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার ৪৪ কোটি টাকা জমা রয়েছে। সুইজারল্যান্ডে সম্রাটের সমুদয় বিষয় দেখভাল করেন পল্টনের এক সময়ের যুবলীগের নেতা সুইজারল্যান্ড প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম। আশরাফ পল্টনের ওয়ার্ড কমিশনার মোস্তফা জামানের এক সময়ের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন।
সম্রাটের সঙ্গে মোস্তফার সম্পর্কের সূত্র ধরেই এখন তিনি ওই দায়িত্বে। তবে জার্মানির ব্যাংকে রাখা ৩৬ কোটি টাকা কার মাধ্যমে গেছে তা অজানা এখনো। আর যে দুটি দেশে তার লেনদেন সবচেয়ে বেশি, বিশেষত সিঙ্গাপুরে তার অর্থকড়ি কারা আগলে রাখতেন, তিনি জেলে যাওয়ার পর তারা কে কোথায় কীভাবে রয়েছে তা খোলাসা হয়নি। তবে মালয়েশিয়ার পূত্রাজায়ায় ‘কুইক রোডে’ তার বাড়ি থাকার তথ্যটি সঠিক বলে খবরে প্রকাশ। দেশটিতে তার ছেলে পড়াশোনা করছেন বলেও জানা গেছে। ক্যাসিনো কাণ্ডে সম্রাটের ভাবশিষ্য খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও আরমান গ্রেপ্তার হয়েছেন। লোকমান হোসেন ভূঁইয়াসহ বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারকারী গ্যাং মাস্টাররাও ধরা পড়ছে। সূত্র জানায়, এদের সঙ্গে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে রিমান্ডে থাকা সম্রাট ও আরমানকে মুখোমুখি করা এরই মধ্য সম্পন্ন হয়েছে, যা জরুরি ছিল। তারা নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য একে অপরকে দোষারোপও করেছে।
সম্রাটের
নেশা ছিল জুয়া খেলা। প্রত্যেক মাসের শেষ সপ্তাহে সেই নেশায় ছুটে যেতেন
সিঙ্গাপুরে মারিনা-বে-সেন্ডস ক্যাসিনোতে। যাওয়ার আগে অবৈধভাবে হুন্ডির
মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি অর্থ পাচার করতেন সিঙ্গাপুরে। যে অর্থের পরিমান ছিল
প্রত্যেক মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকা। মাসের শেষ সপ্তাহে সেখানে গিয়ে তিনি
থাকতেন ৭ দিন। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার স্ত্রী জুয়া খেলার তার
নেশার বিষয়টি সবাইকে অবহিত করেছিলেন। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি
স্বীকার করেছেন। প্রত্যেক মাসে ওই টাকা তিনি জোগাড় করতেন দেশে ক্যাসিনো
পরিচালনা, সরকারি জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণ, নতুন নির্মাণাধীন ভবন থেকে
চাঁদা আদায়, ফুটপাতে চাঁদাবাজী, সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও টেন্ডারবাজি করে।
প্রত্যেক মাসে তার হুকুমে তার সহযোগীরা বিভিন্নস্থান থেকে চাঁদা আদায়
করতেন। সমস্ত টাকা রাখা হতো কাকরাইলের সম্রাটের আস্তানায়। মাসের শেষ
সপ্তাহে মতিঝিলের হুন্ডি ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ তার কাছে হাজির হতেন। বস্তায়
কাড়ি কাড়ি অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করতেন।
No comments