বিরল প্রতিবাদ: অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রগুলোর প্রথম পৃষ্ঠা ফাঁকা
সংবাদ
মাধ্যমের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধের প্রতিবাদে বিরল প্রতিবাদ জানিয়েছে
অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ পত্রপত্রিকা। এর মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত
পত্রিকা থেকে স্বল্প পরিচিত পত্রিকাও। আছে রেডিও ও টেলিভিশন পর্যন্ত।
সরকারের বিধিনিষেধের প্রতিবাদে এসব পত্রিকা আজ সোমবার তাদের প্রথম পৃষ্ঠা
ব্লাকআউট করে দিয়েছে। এতে প্রথম পৃষ্ঠায় কিছু লেখা দিয়ে তা কালো করে দেয়া
হয়েছে। তার এককোণে একটি সিল মেরে দেয়া হয়েছে। তাতে ইংরেজিতে লাল কালিতে
লেখা রয়েছে ‘সিক্রেট’। একই দিনে সব পত্রিকায় এমন প্রতিবাদ বিরল।
এই প্রচারণার নাম দেয়া হয়েছে ‘রাইট টু নো কোয়ালিশন’ বা জানার অধিকার বিষয়ক জোট। এতে সমর্থন রয়েছে বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও স্টেশন ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এসব সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে দ্য নিউজ করপোরেশন অস্ট্রেীলয়া এবং নাইন তাদের মাস্টহেড সরিয়ে সেখানে ব্লাকডআউট টেক্সট বসিয়ে দিয়েছে। সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছে লাল স্ট্যাম্প ‘সিক্রেট’। জাতীয় পর্যায়ে একটি নিরাপত্তামুলক আইনের প্রতিবাদে এমনটা করা হয়েছে। সাংবাদিকরা বলছেন, এই আইনের মাধ্যমে তাদের রিপোর্টিংয়ের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ায় গোপনীয়তার একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। তবে সরকার বলছে, এই আইনটি সাংবাদিকতায় অবাধ স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। তবে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
জুনে পুলিশ ঘেরাও করে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) অফিস এবং নিউজ করপোরেশন অস্ট্রেলিয়ার একজন সাংবাদিকের বাসা। এ জন্য প্রচ- সমালোচনা শুনতে হয়েছে সরকারকে। সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, হুইসেলব্লোয়ারের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য প্রচারের কারণে ওই ঘেরাও করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিস্তারিত প্রকাশ করে। অন্যটি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন গুপ্তচর নজরদারি করে বলে অভিযোগ আনা হয়।
নিউজ করপোরেশন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাহী চেয়ারম্যান মাইকেল মিলার টুইটে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে তার পত্রিকার মাস্টহেড ব্লাকড আউট করে দেয়ার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে দ্য অস্ট্রেলিয়ান এবং দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। একই কাজ করেছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, দ্য এইজ। মাইকেল মিলার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের কাছে জানতে যে, তারা কি লুকানোর চেষ্টা করছে? এবিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড অ্যান্ডারসন বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে গোপনীয়তার গণতন্ত্রের দেশে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এ অবস্থায় রোববার অস্ট্রেলিয়া সরকার আবারও বলেছে, এটা হতে পারে যে জুনের ওই ঘেরাওয়ে তিনজন সাংবাদিক বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার গণতন্ত্রের জন্য সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আইনের শাসন সমুন্নত রাখা উচিত। এটা হতে পারি আমি অথবা কোনো সাংবাদিক বা অন্য যেকারো ব্যাপারে। ওদিকে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী বছর পার্লামেন্টে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
কি বলছে সংবাদ মাধ্যম
সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার দাবিতে এই আন্দোলনে যারা আছেন তারা যুুক্তি দিচ্ছেন যে, গত দু’দশক ধরে কঠোর নিরাপত্তামুলক আইন কার্যকর করা হয়েছে। এসব আইন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে হুমকিতে ফেলেছে। জনগণের জানার অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত বছর আসে গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী নতুন আইন। তারপর থেকেই স্পর্শকাতর ইস্যুতে তথ্যের বিষয়ে সাংবাদিক ও হুইসেলব্লোয়ারদের এই আইনের বাইরে রাখার জন্য তদবির করে যাচ্ছে মিডিয়াগুলো। সাংবাদিকতার অন্যান্য ক্ষেত্রে অধিকতর স্বাধীনতার জন্যও তারা আন্দোলন করছে। এর মধ্যে রয়েছে তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতা ও অবমাননা বিষয়ক আইনের সংস্কার।
এই প্রচারণার নাম দেয়া হয়েছে ‘রাইট টু নো কোয়ালিশন’ বা জানার অধিকার বিষয়ক জোট। এতে সমর্থন রয়েছে বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও স্টেশন ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এসব সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে দ্য নিউজ করপোরেশন অস্ট্রেীলয়া এবং নাইন তাদের মাস্টহেড সরিয়ে সেখানে ব্লাকডআউট টেক্সট বসিয়ে দিয়েছে। সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছে লাল স্ট্যাম্প ‘সিক্রেট’। জাতীয় পর্যায়ে একটি নিরাপত্তামুলক আইনের প্রতিবাদে এমনটা করা হয়েছে। সাংবাদিকরা বলছেন, এই আইনের মাধ্যমে তাদের রিপোর্টিংয়ের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ায় গোপনীয়তার একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। তবে সরকার বলছে, এই আইনটি সাংবাদিকতায় অবাধ স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। তবে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
জুনে পুলিশ ঘেরাও করে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) অফিস এবং নিউজ করপোরেশন অস্ট্রেলিয়ার একজন সাংবাদিকের বাসা। এ জন্য প্রচ- সমালোচনা শুনতে হয়েছে সরকারকে। সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, হুইসেলব্লোয়ারের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য প্রচারের কারণে ওই ঘেরাও করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিস্তারিত প্রকাশ করে। অন্যটি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন গুপ্তচর নজরদারি করে বলে অভিযোগ আনা হয়।
নিউজ করপোরেশন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাহী চেয়ারম্যান মাইকেল মিলার টুইটে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে তার পত্রিকার মাস্টহেড ব্লাকড আউট করে দেয়ার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে দ্য অস্ট্রেলিয়ান এবং দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। একই কাজ করেছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, দ্য এইজ। মাইকেল মিলার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের কাছে জানতে যে, তারা কি লুকানোর চেষ্টা করছে? এবিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড অ্যান্ডারসন বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে গোপনীয়তার গণতন্ত্রের দেশে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এ অবস্থায় রোববার অস্ট্রেলিয়া সরকার আবারও বলেছে, এটা হতে পারে যে জুনের ওই ঘেরাওয়ে তিনজন সাংবাদিক বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার গণতন্ত্রের জন্য সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আইনের শাসন সমুন্নত রাখা উচিত। এটা হতে পারি আমি অথবা কোনো সাংবাদিক বা অন্য যেকারো ব্যাপারে। ওদিকে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী বছর পার্লামেন্টে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
কি বলছে সংবাদ মাধ্যম
সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার দাবিতে এই আন্দোলনে যারা আছেন তারা যুুক্তি দিচ্ছেন যে, গত দু’দশক ধরে কঠোর নিরাপত্তামুলক আইন কার্যকর করা হয়েছে। এসব আইন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে হুমকিতে ফেলেছে। জনগণের জানার অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত বছর আসে গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী নতুন আইন। তারপর থেকেই স্পর্শকাতর ইস্যুতে তথ্যের বিষয়ে সাংবাদিক ও হুইসেলব্লোয়ারদের এই আইনের বাইরে রাখার জন্য তদবির করে যাচ্ছে মিডিয়াগুলো। সাংবাদিকতার অন্যান্য ক্ষেত্রে অধিকতর স্বাধীনতার জন্যও তারা আন্দোলন করছে। এর মধ্যে রয়েছে তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতা ও অবমাননা বিষয়ক আইনের সংস্কার।
No comments