আয় নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭০ শতাংশ শিক্ষক: গণসাক্ষরতা অভিযানের গবেষণা
আয়
নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭০ ভাগ শিক্ষক। এমন তথ্য উঠে এসেছে গণসাক্ষরতা অভিযানের এক
গবেষণায়। এতে আরো উঠে আসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), সৃজনশীল
প্রশ্ন পদ্ধতি (সিকিউ), শিক্ষকদের শিক্ষাক্রম নির্দেশিকা (টিসিজি),
পাঠদানের মনোন্নয়ন (টিকিউআই), জীবন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা (এলএসবিই) এই
সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণগুলো এক তৃতীয়াংশ শিক্ষক পাননি। মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬শ’
বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ৩ হাজার শিক্ষকের ওপর চালানো জরিপে এই তথ্য উঠে আসে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এলজিআরডি ভবনে অনুষ্ঠিত এডুকেশন ওয়াচ
রিপোর্ট ২০১৮-১৯’র একটি গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করে। এই ফলাফলে ‘বাংলাদেশে
এসডিজি বাস্তবায়নে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক গবেষণাটি
করেছে গণসাক্ষরতা অভিযান।
গবেষণায় দেখা যায়, মাত্র ৮ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষক আয়ে খুবই সন্তুষ্ট ও ২০ দশমিক ৯ শতাংশ আয়ে সন্তুষ্ট। অর্থাৎ ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষক তাদের আয়ে অসন্তুষ্ট। গবেষণায় আরো দেখা যায়, পেশা, ও প্রাপ্ত সম্মানী নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষক।
পেশা ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে সন্তুষ্ট কিন্তু সম্মানী নিয়ে সন্তুষ্ট নন এমন শিক্ষক রয়েছেন ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের মাসিক আয় গড়ে ৪৪ হাজার ৮১৭ টাকা। অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়েরর শিক্ষকের আয় ২৩ হাজার ৮৩৬ টাকা ও অনুদানপ্রাপ্ত নয় এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আয় ১১ হাজার ৭৫২ টাকা। অর্থ্যাৎ এতে আয় বৈষম্য প্রবল।
গবেষণায় অংশ নেয়া ৬৭ শতাংশ শিক্ষক দ্বিতীয় কোন পেশার সঙ্গে জড়িত। ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক কৃষিকাজ, ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষক গৃহকর্ম, ১১ দশমিক দশমিক ৩ শতাংশ গৃহশিক্ষকতা ও অন্যান্য পেশায় ১২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষক জড়িত।
রুটিন অনুসারে শিক্ষকদের সপ্তাহে গড়ে ২৩ দশমিক ৭ টি পিরিয়ডে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। যাতে মোট সময় লাগে ১৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট। এক পঞ্চমাংশ শিক্ষক সপ্তাহে ১৮ বা তার চেয়ে কম সংখ্যক পিরিয়ড পরিচালনা করেন। আরেক পঞ্চমাংশ শিক্ষক সপ্তাহে ২৮টির বেশি পিরিয়ড পরিচালনা করেন। বাকি ৬০ শতাংশ শিক্ষক সপ্তাহে ১৯-২৭টি পিরিয়ড পরিচালনা করেন। এতোগুলো পিরিয়ড পরিচালনা করাকে শিক্ষকরা কাজের চাপ হিসেবে দেখছেন। ২১ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষক কাজের চাপ কমানোর পক্ষে প্রস্তাব দেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষক বলেন, তারা নিজেরাই প্রশ্ন তৈরি করেন। শিক্ষক সমিতি থেকে প্রশ্ন ক্রয় করেন ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষক। খোলা বাজার থেকে প্রশ্ন ক্রয় করেন ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষক। আর দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অতিরিক্ত পাঠদান। ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ ও তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব। সরকারি বিদ্যালয়ে ৬৬ শতাংশ, বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ, স্কুল ও কলেজে ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ, দাখিল মাদ্রাসা ২৩ দশমিক ২ শতাংশ উচ্চতর মাদ্রাসা ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করেন শিক্ষকরা। যার মোট পরিমাণ শতকরা ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
স্বনির্ধারণী পদ্ধতির শিক্ষকদের মধ্যে ১৫ শতাংশ দক্ষ, ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ পরিমিত দক্ষ, ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ গড়পড়তা দক্ষ, ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ নিজেদের সীমিত পরিমাণে দক্ষ হিসেবে মূল্যায়ণ করেছেন। সামগ্রিকভাকে ২২ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষক গৃহ শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। তারা গড়ে ২৩ দশমিক ৩ জন শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে থাকেন। এদের মধ্যে একেকজন শিক্ষক ১ জন থেকে শুরু করে ২৩০ জনকে পর্যন্ত পড়িয়ে থাকেন। এই শিক্ষকদের ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে পড়ান। এরমাঝে ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষক গাইডবই ব্যবহার করেন।
এই গবেষণার আলোকে তারা একটি সুপারিশমালা প্রদান করেছেন। যাতে বলা হয়, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের একটি উপযোগী মাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থী ৪০ ঃ ১ শিক্ষক এমন অনুপাতের বেশি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক বেশি তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাৎসরিক পাঠদানের মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির প্রতি অধিকতর গুরুত্বারোপ করতে হবে। মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কক্ষে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে। শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা সংক্রান্ত যেসব পার্থক্য রয়েছে সেগুলো দুর করার জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তনের সঙ্গে পদবীর পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষক সমিতির ভূমিকা পর্যালোচনা করার বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষক সমাজের গুরত্বসহকারে ভাবা জরুরি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রণীত পাঠ্যবইয়ে সমস্যা শিক্ষার্থীর নিজের পক্ষে ৫ থেকে ৭ শতাংশের বেশি সমাধান করা সম্ভব নয়। যার ফলে তাদের শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীল হতে হয় তাদের। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ানো ও সহায়ক গ্রন্থ বাণিজ্য শুরু করেন তারা। গণসাক্ষরকতা ও ব্র্যাকের উদ্যোগে এই গবেষণায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের সীমবদ্ধতা আছে তারপরেও তারা চাইলে তারা আন্তরিকতা প্রদর্শন করলে আরো ভালোভাবে শিক্ষা দান করতে পারেন।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ।
গবেষণায় দেখা যায়, মাত্র ৮ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষক আয়ে খুবই সন্তুষ্ট ও ২০ দশমিক ৯ শতাংশ আয়ে সন্তুষ্ট। অর্থাৎ ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষক তাদের আয়ে অসন্তুষ্ট। গবেষণায় আরো দেখা যায়, পেশা, ও প্রাপ্ত সম্মানী নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষক।
পেশা ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে সন্তুষ্ট কিন্তু সম্মানী নিয়ে সন্তুষ্ট নন এমন শিক্ষক রয়েছেন ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের মাসিক আয় গড়ে ৪৪ হাজার ৮১৭ টাকা। অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়েরর শিক্ষকের আয় ২৩ হাজার ৮৩৬ টাকা ও অনুদানপ্রাপ্ত নয় এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আয় ১১ হাজার ৭৫২ টাকা। অর্থ্যাৎ এতে আয় বৈষম্য প্রবল।
গবেষণায় অংশ নেয়া ৬৭ শতাংশ শিক্ষক দ্বিতীয় কোন পেশার সঙ্গে জড়িত। ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক কৃষিকাজ, ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষক গৃহকর্ম, ১১ দশমিক দশমিক ৩ শতাংশ গৃহশিক্ষকতা ও অন্যান্য পেশায় ১২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষক জড়িত।
রুটিন অনুসারে শিক্ষকদের সপ্তাহে গড়ে ২৩ দশমিক ৭ টি পিরিয়ডে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। যাতে মোট সময় লাগে ১৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট। এক পঞ্চমাংশ শিক্ষক সপ্তাহে ১৮ বা তার চেয়ে কম সংখ্যক পিরিয়ড পরিচালনা করেন। আরেক পঞ্চমাংশ শিক্ষক সপ্তাহে ২৮টির বেশি পিরিয়ড পরিচালনা করেন। বাকি ৬০ শতাংশ শিক্ষক সপ্তাহে ১৯-২৭টি পিরিয়ড পরিচালনা করেন। এতোগুলো পিরিয়ড পরিচালনা করাকে শিক্ষকরা কাজের চাপ হিসেবে দেখছেন। ২১ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষক কাজের চাপ কমানোর পক্ষে প্রস্তাব দেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষক বলেন, তারা নিজেরাই প্রশ্ন তৈরি করেন। শিক্ষক সমিতি থেকে প্রশ্ন ক্রয় করেন ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষক। খোলা বাজার থেকে প্রশ্ন ক্রয় করেন ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষক। আর দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অতিরিক্ত পাঠদান। ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ ও তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব। সরকারি বিদ্যালয়ে ৬৬ শতাংশ, বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ, স্কুল ও কলেজে ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ, দাখিল মাদ্রাসা ২৩ দশমিক ২ শতাংশ উচ্চতর মাদ্রাসা ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করেন শিক্ষকরা। যার মোট পরিমাণ শতকরা ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
স্বনির্ধারণী পদ্ধতির শিক্ষকদের মধ্যে ১৫ শতাংশ দক্ষ, ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ পরিমিত দক্ষ, ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ গড়পড়তা দক্ষ, ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ নিজেদের সীমিত পরিমাণে দক্ষ হিসেবে মূল্যায়ণ করেছেন। সামগ্রিকভাকে ২২ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষক গৃহ শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। তারা গড়ে ২৩ দশমিক ৩ জন শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে থাকেন। এদের মধ্যে একেকজন শিক্ষক ১ জন থেকে শুরু করে ২৩০ জনকে পর্যন্ত পড়িয়ে থাকেন। এই শিক্ষকদের ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে পড়ান। এরমাঝে ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষক গাইডবই ব্যবহার করেন।
এই গবেষণার আলোকে তারা একটি সুপারিশমালা প্রদান করেছেন। যাতে বলা হয়, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের একটি উপযোগী মাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থী ৪০ ঃ ১ শিক্ষক এমন অনুপাতের বেশি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক বেশি তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাৎসরিক পাঠদানের মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির প্রতি অধিকতর গুরুত্বারোপ করতে হবে। মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কক্ষে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে। শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা সংক্রান্ত যেসব পার্থক্য রয়েছে সেগুলো দুর করার জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তনের সঙ্গে পদবীর পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষক সমিতির ভূমিকা পর্যালোচনা করার বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষক সমাজের গুরত্বসহকারে ভাবা জরুরি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রণীত পাঠ্যবইয়ে সমস্যা শিক্ষার্থীর নিজের পক্ষে ৫ থেকে ৭ শতাংশের বেশি সমাধান করা সম্ভব নয়। যার ফলে তাদের শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীল হতে হয় তাদের। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ানো ও সহায়ক গ্রন্থ বাণিজ্য শুরু করেন তারা। গণসাক্ষরকতা ও ব্র্যাকের উদ্যোগে এই গবেষণায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের সীমবদ্ধতা আছে তারপরেও তারা চাইলে তারা আন্তরিকতা প্রদর্শন করলে আরো ভালোভাবে শিক্ষা দান করতে পারেন।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ।
No comments