সবুজ খেতের মধ্যে বেগুনি ধান
চারপাশে
সবুজ ধানখেত। মধ্যে এক ফালি জমিতে বেগুনি রঙের ধানগাছ। রঙিন এই ধানের আবাদ
দেখতে প্রায়ই আশপাশের লোকজন এসে ভিড় করছেন। অনেকে নতুন ধরনের এই ধানের চাষ
করতে উৎসাহের কথাও জানাচ্ছেন।
বেগুনি ধানের এই আবাদ করেছেন কৃষক আক্তারুজ্জামান পাটওয়ারী। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর গ্রামে। চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে ১৫ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধানের চাষ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, চাঁদপুরে তিনিই এই জাতের ধানের প্রথম আবাদকারী।
জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুর রশিদ বলেন, এটি বিশেষ কোনো জাত নয়, অন্য ধানের মতোই। কেউ এর নাম বেগুনি সুন্দরী, কেউ দুলালি সুন্দরী নামে ডাকছেন। এটি ধানখেতের সীমানা নির্ধারণের জন্য উদ্ভাবন করা হয়। পরে দেশের দু-একটি জায়গায় এই ধান চাষ করা হয়। কিন্তু ফলন তেমন ভালো না হওয়ায় এটির আবাদ বাড়ানো হয়নি।
এর আগে গত মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে দুলালি বেগম ও কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার মনাগ্রামের কৃষক মনজুর হোসেন বেগুনি রঙের ধানের চাষ করেছেন। এ বছর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভেদিকুড়া গ্রামের শাহিনুর আলম এই জাতের ধানের চাষ করেন।
গাইবান্ধার কিষানি দুলালি বেগম জানান, তিনি অন্যবারের মতো স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করেন। এর মধ্যে তিনি কিছু বেগুনি রঙের গাছ দেখতে পান। পরে সেসব গাছ থেকে আলাদা করে বীজ সংগ্রহ করেন। পরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের পরামর্শমতো তিনি এই ধানের আবাদ করেন।
অপরদিকে কুমিল্লার কৃষক মনজুর হোসেন বলেন, তিনি ২০১৭ সালে সুন্দরবন এলাকায় বেড়াতে যান। পথে সাতক্ষীরায় এক কৃষকের জমিতে তিনি বেগুনি রঙের ধান দেখেন। সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে এনে তিনি আবাদ করেন।
সম্প্রতি ফরিদগঞ্জের শাহাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ ধানখেত। মধ্যে একচিলতে জমিতে বেগুনি রঙের ধানের আবাদ। যেন সবুজের বুকে বেগুনি বিছানা। কিছু গাছে ধানের ছড়া বেরিয়েছে।
এই গ্রামের কৃষক আক্তারুজ্জামান বলেন, তাঁর এক আত্মীয় গাজীপুর থেকে এই ধানের বীজ এনেছেন। সেই আত্মীয় এক কেজি বীজ তাঁকে দিয়েছেন। সেই বীজ বুনে চারা তৈরি করে তিনি সাড়ে ১৫ শতক জমিতে রোপণ করেছেন। অন্য অনেকেও তাঁর কাছ থেকে এই ধানের বীজ চাইছেন। আর মাসখানেক পর এই ধান পাকবে। যদি ফলন ভালো হয়, তবে অন্যান্য কৃষককেও এর বীজ দেবেন তিনি।
একই গ্রামের আতাউর রহমান বলেন, ফরিদগঞ্জ ধান চাষের জন্য অন্যতম উৎকৃষ্ট এলাকা। সারা বছর এখানকার কৃষকেরা ধান চাষ করে থাকেন। তাঁর এলাকায় এবার রঙিন ধানের আবাদ হয়েছে জেনে আশপাশের অনেকে দেখতে আসছেন।
জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নূরে আলম বলেন, ‘বেগুনি রঙের এই ধানের চাষ চাঁদপুরে এই প্রথম। এই ধানের পাতা ও কাণ্ডের রং বেগুনি। শুধু গাছ নয়, এর চালের রংও বেগুনি। তাই এখানকার কৃষকদের কাছে এটি বেগুনি ধান হিসেবে পরিচিত। কৃষক আক্তারুজ্জামান নিজ উদ্যোগে বীজ সংগ্রহ করে এর আবাদ করেন। পরে আমরা জানার পর সরকারিভাবে খেতটি পর্যবেক্ষণ করছি। এর ফলন কী রকম হয়, তা দেখার পর ভবিষ্যতে এর আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বিদেশি কোনো জাত নয়।’
বেগুনি ধানের এই আবাদ করেছেন কৃষক আক্তারুজ্জামান পাটওয়ারী। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর গ্রামে। চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে ১৫ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধানের চাষ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, চাঁদপুরে তিনিই এই জাতের ধানের প্রথম আবাদকারী।
জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুর রশিদ বলেন, এটি বিশেষ কোনো জাত নয়, অন্য ধানের মতোই। কেউ এর নাম বেগুনি সুন্দরী, কেউ দুলালি সুন্দরী নামে ডাকছেন। এটি ধানখেতের সীমানা নির্ধারণের জন্য উদ্ভাবন করা হয়। পরে দেশের দু-একটি জায়গায় এই ধান চাষ করা হয়। কিন্তু ফলন তেমন ভালো না হওয়ায় এটির আবাদ বাড়ানো হয়নি।
এর আগে গত মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে দুলালি বেগম ও কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার মনাগ্রামের কৃষক মনজুর হোসেন বেগুনি রঙের ধানের চাষ করেছেন। এ বছর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভেদিকুড়া গ্রামের শাহিনুর আলম এই জাতের ধানের চাষ করেন।
গাইবান্ধার কিষানি দুলালি বেগম জানান, তিনি অন্যবারের মতো স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করেন। এর মধ্যে তিনি কিছু বেগুনি রঙের গাছ দেখতে পান। পরে সেসব গাছ থেকে আলাদা করে বীজ সংগ্রহ করেন। পরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের পরামর্শমতো তিনি এই ধানের আবাদ করেন।
অপরদিকে কুমিল্লার কৃষক মনজুর হোসেন বলেন, তিনি ২০১৭ সালে সুন্দরবন এলাকায় বেড়াতে যান। পথে সাতক্ষীরায় এক কৃষকের জমিতে তিনি বেগুনি রঙের ধান দেখেন। সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে এনে তিনি আবাদ করেন।
সম্প্রতি ফরিদগঞ্জের শাহাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ ধানখেত। মধ্যে একচিলতে জমিতে বেগুনি রঙের ধানের আবাদ। যেন সবুজের বুকে বেগুনি বিছানা। কিছু গাছে ধানের ছড়া বেরিয়েছে।
এই গ্রামের কৃষক আক্তারুজ্জামান বলেন, তাঁর এক আত্মীয় গাজীপুর থেকে এই ধানের বীজ এনেছেন। সেই আত্মীয় এক কেজি বীজ তাঁকে দিয়েছেন। সেই বীজ বুনে চারা তৈরি করে তিনি সাড়ে ১৫ শতক জমিতে রোপণ করেছেন। অন্য অনেকেও তাঁর কাছ থেকে এই ধানের বীজ চাইছেন। আর মাসখানেক পর এই ধান পাকবে। যদি ফলন ভালো হয়, তবে অন্যান্য কৃষককেও এর বীজ দেবেন তিনি।
একই গ্রামের আতাউর রহমান বলেন, ফরিদগঞ্জ ধান চাষের জন্য অন্যতম উৎকৃষ্ট এলাকা। সারা বছর এখানকার কৃষকেরা ধান চাষ করে থাকেন। তাঁর এলাকায় এবার রঙিন ধানের আবাদ হয়েছে জেনে আশপাশের অনেকে দেখতে আসছেন।
জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নূরে আলম বলেন, ‘বেগুনি রঙের এই ধানের চাষ চাঁদপুরে এই প্রথম। এই ধানের পাতা ও কাণ্ডের রং বেগুনি। শুধু গাছ নয়, এর চালের রংও বেগুনি। তাই এখানকার কৃষকদের কাছে এটি বেগুনি ধান হিসেবে পরিচিত। কৃষক আক্তারুজ্জামান নিজ উদ্যোগে বীজ সংগ্রহ করে এর আবাদ করেন। পরে আমরা জানার পর সরকারিভাবে খেতটি পর্যবেক্ষণ করছি। এর ফলন কী রকম হয়, তা দেখার পর ভবিষ্যতে এর আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বিদেশি কোনো জাত নয়।’
No comments