ইরানে ২ কোটি বিনিয়োগে ৬ কোটি আসে : অনন্ত জলিল
ক্যারিয়ারের
শুরু থেকেই হলিউড-বলিউডের খ্যাতিমান তারকাদের সাথে নিজের তুলনা করে
আলোচনায় আসা অনন্ত জলিল এখন নতুন মিশন নিয়ে এগোচ্ছেন। তার ভাষায় দেশের
মৃতপ্রায় চলচ্চিত্র বাজারে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে নতুন উদ্যেগ্যের বিকল্প নেই।
একারণেই ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বুধবার রাতে অনন্ত জলিল বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র বাজারে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হলে আন্তর্জাতিকভাবে নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। যাদের সাথে কাজ করলে আমরা লাভবান হবো তাদের সাথে কাজের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। দেশে এখন যৌথ প্রযোজনার সিনেমা বলতেই কলকাতার সাথে মিলেমিশে সিনেমা করাকে বুঝায়। এই চিন্তা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। যারা এই অবস্থার উত্তরণ চায় তাদের উৎসাহ দিতে হবে। তবেই দেশের চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসবে।
বর্তমানে তিনি ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনায় ‘দ্বীন-দ্য ডে’নামের একটি ছবি করছেন। এই ছবির অনুমোদন নিতে গিয়ে তার অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে উল্লেখ করে অনন্ত বলেন, ‘আমি বিএফডিসিতে দুই দফা মিটিং করেও এই ছবির অনুমোদন পাচ্ছিলাম না। এক পর্যায়ে ইরান থেকে ২০ জনের একটি টিম বাংলাদেশে এসে দুই সপ্তাহ থেকে আবার ফিরে গেছে। কোন সিদ্ধান্ত না নিয়েই। পরে প্রযোজক সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু এবং পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ভাইয়ের সহযোগিতায় আমি ছবিটি করার অনুমতি পাই। আমরা প্রশ্ন হলো, একটা ভালো কাজ করতে হলে, এতো বাঁধা কেনো অতিক্রম করতে হবে?’
ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে বিনিয়োগে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি লাভ উল্লেখ করে অনন্ত বলেন, ইরানের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা। ওখানে ফেসবুক-ইউটিউবের কোন অনুমোদন নেই। তাই সিনেমা দেখতে হলে প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার কোন বিকল্প নাই। ওই দেশের হিসেব অনুযায়ী ইরানে ৭হাজার প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। তাই যে কোন মানের ছবিই বিনিয়োগকৃত অর্থের দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ব্যবসা করতে পারে। আমাদের দেশীয় সিনেমায় এখন টাকা লগ্নি করলে ফেরত আসবে কিনা সেই শঙ্কায় থাকতে হয়। অথচ আমরা যদি ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে ২কোটি টাকা বিনিয়োগ করি তাহলে অনায়াশে ৬ কোটি টাকা ব্যবসা করা সম্ভব। এই সম্ভাবনাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
প্রায় ৫বছর ধরে তিনি সিনেমা থেকে দূরে আছেন উল্লেখ করে অনন্ত বলেন, অনেকদিন ধরে ব্যবসার ব্যস্ততা এবং চলচ্চিত্র বাজারের নাজুক অবস্থার কারণে আমি চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলাম। তবে এখন আবার উদ্যেগী হয়ে কাজ করবো।
প্রযোজকদের মাঝে ঐক্য তৈরীতে নিজের এক ব্যর্থ প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে অনন্ত বলেন, কয়েক বছর আগে হোটেল সেভেন্টি ওয়ানে প্রযোজকদের সম্মানে একটি দিনার পার্টির আয়োজন করেছিলাম। প্রায় ৩০০’র কাছাকাছি প্রযোজক সেখানে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তারা মারামারি করে বের হয়ে এসেছিলেন। আমার প্রশ্ন, এই মারামারি কেন? এখানে কি সরকারি কোনো বরাদ্ধ আসে যে এটা নিয়ে আমাদের মারামারি করতে হবে? নিজের টাকায় সিনেমা বানাবো এখানে দলা-দলী আর মারামারির কি আছ?
উল্লেখ্য অনন্ত জলিল এখন তেহরানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করছেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বুধবার রাতে অনন্ত জলিল বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র বাজারে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হলে আন্তর্জাতিকভাবে নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। যাদের সাথে কাজ করলে আমরা লাভবান হবো তাদের সাথে কাজের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। দেশে এখন যৌথ প্রযোজনার সিনেমা বলতেই কলকাতার সাথে মিলেমিশে সিনেমা করাকে বুঝায়। এই চিন্তা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। যারা এই অবস্থার উত্তরণ চায় তাদের উৎসাহ দিতে হবে। তবেই দেশের চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসবে।
বর্তমানে তিনি ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনায় ‘দ্বীন-দ্য ডে’নামের একটি ছবি করছেন। এই ছবির অনুমোদন নিতে গিয়ে তার অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে উল্লেখ করে অনন্ত বলেন, ‘আমি বিএফডিসিতে দুই দফা মিটিং করেও এই ছবির অনুমোদন পাচ্ছিলাম না। এক পর্যায়ে ইরান থেকে ২০ জনের একটি টিম বাংলাদেশে এসে দুই সপ্তাহ থেকে আবার ফিরে গেছে। কোন সিদ্ধান্ত না নিয়েই। পরে প্রযোজক সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু এবং পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ভাইয়ের সহযোগিতায় আমি ছবিটি করার অনুমতি পাই। আমরা প্রশ্ন হলো, একটা ভালো কাজ করতে হলে, এতো বাঁধা কেনো অতিক্রম করতে হবে?’
ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে বিনিয়োগে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি লাভ উল্লেখ করে অনন্ত বলেন, ইরানের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা। ওখানে ফেসবুক-ইউটিউবের কোন অনুমোদন নেই। তাই সিনেমা দেখতে হলে প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার কোন বিকল্প নাই। ওই দেশের হিসেব অনুযায়ী ইরানে ৭হাজার প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। তাই যে কোন মানের ছবিই বিনিয়োগকৃত অর্থের দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ব্যবসা করতে পারে। আমাদের দেশীয় সিনেমায় এখন টাকা লগ্নি করলে ফেরত আসবে কিনা সেই শঙ্কায় থাকতে হয়। অথচ আমরা যদি ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে ২কোটি টাকা বিনিয়োগ করি তাহলে অনায়াশে ৬ কোটি টাকা ব্যবসা করা সম্ভব। এই সম্ভাবনাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
প্রায় ৫বছর ধরে তিনি সিনেমা থেকে দূরে আছেন উল্লেখ করে অনন্ত বলেন, অনেকদিন ধরে ব্যবসার ব্যস্ততা এবং চলচ্চিত্র বাজারের নাজুক অবস্থার কারণে আমি চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলাম। তবে এখন আবার উদ্যেগী হয়ে কাজ করবো।
প্রযোজকদের মাঝে ঐক্য তৈরীতে নিজের এক ব্যর্থ প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে অনন্ত বলেন, কয়েক বছর আগে হোটেল সেভেন্টি ওয়ানে প্রযোজকদের সম্মানে একটি দিনার পার্টির আয়োজন করেছিলাম। প্রায় ৩০০’র কাছাকাছি প্রযোজক সেখানে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তারা মারামারি করে বের হয়ে এসেছিলেন। আমার প্রশ্ন, এই মারামারি কেন? এখানে কি সরকারি কোনো বরাদ্ধ আসে যে এটা নিয়ে আমাদের মারামারি করতে হবে? নিজের টাকায় সিনেমা বানাবো এখানে দলা-দলী আর মারামারির কি আছ?
উল্লেখ্য অনন্ত জলিল এখন তেহরানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করছেন।
No comments