৫ কারণে ইমরান খানের যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিল পাকিস্তানের জন্য জয় by উমাইর জামাল
পাকিস্তানে
ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের যুক্তরাষ্ট্র সফরটি ব্যাপকভাবে সফল
বলে অভিহিত করা হয়েছে। মাত্র কয়েক মাস আগেও যে সফরের কোনো সম্ভাবনা ছিল না,
সেটিই পাকিস্তানের কূটনীতিকে ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছে।
ইমরান খানের যুক্তরাষ্ট্র সফরে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
প্রথমত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান নীতিতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ইমরান খানের বৈঠকের মূল বিষয়ই ছিল আফগানিস্তান। গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের ভূমিকা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রশংসিত হচ্ছিল। এতে প্রমাণিত হয় যে আফগানিস্তান নিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহকারী ও দলের কাছে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক প্রয়াস যথার্থ ছিল। সম্ভবত ইমরান খানের সফরের পর পাকিস্তান হবে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান আলোচনার প্রধান খেলোয়াড়।
দ্বিতীয়ত, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের প্রতি আর কোনো মারাত্মক অভিযোগ দেখা যায়নি। এমনকি দুই দেশের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈঠকেও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি তেমনভাবে দেখা যায়নি। বিভিন্ন ফোরামে বক্তৃতাকালে ইমরান খান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দেশের অবস্থান ব্যাপকভাবে বদলে গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক পর্যায়ে একমত প্রতিষ্ঠা হয়েছে যে মিলিশিয়াদের দেশের মধ্যে কাজ করতে দেয়াটা দেশের স্বার্থের জন্য অনুকূল নয়। যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পাকিস্তানের নীতিকে অনুমোদন করেছে বলেই মনে হয়েছে।
তৃতীয়ত, কাশ্মির সঙ্কট নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য বের করাটাও পাকিস্তানের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত অর্জন। এমনকি তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্ততা পর্যন্ত করতে চেয়েছেন। এটা দারুণ একটি সাফল্য পাকিস্তানের জন্য। ভারতের জন্য আরো খারাপ বিষয় হলো, ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদিই তাকে কাশ্মির সমস্যা নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্ততা করতে বলেছেন। অবশ্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত জানায়, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেয়নি, কাশ্মির প্রশ্নে তারা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা চায় না। নয়া দিল্লি অস্বীকার করলেও ট্রাম্পের মুখ দিয়ে ওই কথা বের করতে পারাটাও যথেষ্ট সাফল্য।
চতুর্থত, দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা ও সামরিক বাহিনী পর্যায়ে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই সফরে। গত বছর পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি স্থগিত করেন ট্রাম্প। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইমরান খানের সাথে বৈঠকের একপর্যায়ে ট্রাম্প উল্লেখ করেন যে আফগানিস্তানের ব্যাপারে দুই দেশের অর্জনের ওপর নির্ভর করছে পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহায়তা আবার শুরু হওয়া। তাছাড়া জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের পরবর্তী চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলে মাত্র কয়েক দিন আগে বলেছেন যে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সাথে জোরালো সামরিক সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমেই মার্কিন স্বার্থ সর্বোত্তমভাবে সংরক্ষিত হতে পারে। ফলে খুবই সম্ভব যে আফগান ইস্যুতে বড় ধরনের মতপার্থক্যগুলো নিরসন করার পর গত বছর স্থগিত হওয়া পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আবার শুরু করবেন ট্রাম্প।
পঞ্চমত, ট্রাম্পের সাথে ইমরান খানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করাটা ছিল পাকিস্তানের জন্য আরেকটি বড় অর্জন। ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অধিকন্তু, ট্রাম্পের সাথে ইমরানের এই বৈঠকের পর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে দুই নেতার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। দু্ই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় যে জটিলতা ছিল, সেগুলোর অবসানে এটি বেশ সহায়ক হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে ইমরান ও ট্রাম্প পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন। আর পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে পারবে।
সর্বোপরি ওয়াশিংটনের সাথে সম্পর্ক বিবেচনায় ইমরান খানের সফরটি পাকিস্তানের কূটনীতিতে বড় ধরনের আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে। ইসলামাবাদ এখন এর পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার সময় এখনো আসেনি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বলা যায়, পাকিস্তান বড় ধরনের জয় পেয়েছে।
ইমরান খানের যুক্তরাষ্ট্র সফরে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
প্রথমত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান নীতিতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ইমরান খানের বৈঠকের মূল বিষয়ই ছিল আফগানিস্তান। গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের ভূমিকা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রশংসিত হচ্ছিল। এতে প্রমাণিত হয় যে আফগানিস্তান নিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহকারী ও দলের কাছে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক প্রয়াস যথার্থ ছিল। সম্ভবত ইমরান খানের সফরের পর পাকিস্তান হবে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান আলোচনার প্রধান খেলোয়াড়।
দ্বিতীয়ত, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের প্রতি আর কোনো মারাত্মক অভিযোগ দেখা যায়নি। এমনকি দুই দেশের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈঠকেও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি তেমনভাবে দেখা যায়নি। বিভিন্ন ফোরামে বক্তৃতাকালে ইমরান খান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দেশের অবস্থান ব্যাপকভাবে বদলে গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক পর্যায়ে একমত প্রতিষ্ঠা হয়েছে যে মিলিশিয়াদের দেশের মধ্যে কাজ করতে দেয়াটা দেশের স্বার্থের জন্য অনুকূল নয়। যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পাকিস্তানের নীতিকে অনুমোদন করেছে বলেই মনে হয়েছে।
তৃতীয়ত, কাশ্মির সঙ্কট নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য বের করাটাও পাকিস্তানের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত অর্জন। এমনকি তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্ততা পর্যন্ত করতে চেয়েছেন। এটা দারুণ একটি সাফল্য পাকিস্তানের জন্য। ভারতের জন্য আরো খারাপ বিষয় হলো, ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদিই তাকে কাশ্মির সমস্যা নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্ততা করতে বলেছেন। অবশ্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত জানায়, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেয়নি, কাশ্মির প্রশ্নে তারা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা চায় না। নয়া দিল্লি অস্বীকার করলেও ট্রাম্পের মুখ দিয়ে ওই কথা বের করতে পারাটাও যথেষ্ট সাফল্য।
চতুর্থত, দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা ও সামরিক বাহিনী পর্যায়ে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই সফরে। গত বছর পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি স্থগিত করেন ট্রাম্প। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইমরান খানের সাথে বৈঠকের একপর্যায়ে ট্রাম্প উল্লেখ করেন যে আফগানিস্তানের ব্যাপারে দুই দেশের অর্জনের ওপর নির্ভর করছে পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহায়তা আবার শুরু হওয়া। তাছাড়া জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের পরবর্তী চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলে মাত্র কয়েক দিন আগে বলেছেন যে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সাথে জোরালো সামরিক সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমেই মার্কিন স্বার্থ সর্বোত্তমভাবে সংরক্ষিত হতে পারে। ফলে খুবই সম্ভব যে আফগান ইস্যুতে বড় ধরনের মতপার্থক্যগুলো নিরসন করার পর গত বছর স্থগিত হওয়া পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আবার শুরু করবেন ট্রাম্প।
পঞ্চমত, ট্রাম্পের সাথে ইমরান খানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করাটা ছিল পাকিস্তানের জন্য আরেকটি বড় অর্জন। ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অধিকন্তু, ট্রাম্পের সাথে ইমরানের এই বৈঠকের পর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে দুই নেতার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। দু্ই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় যে জটিলতা ছিল, সেগুলোর অবসানে এটি বেশ সহায়ক হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে ইমরান ও ট্রাম্প পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন। আর পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে পারবে।
সর্বোপরি ওয়াশিংটনের সাথে সম্পর্ক বিবেচনায় ইমরান খানের সফরটি পাকিস্তানের কূটনীতিতে বড় ধরনের আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে। ইসলামাবাদ এখন এর পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার সময় এখনো আসেনি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বলা যায়, পাকিস্তান বড় ধরনের জয় পেয়েছে।
No comments