আসাদ সরকারের ওপর দোষ চাপাতে সন্ত্রাসীরা আবারও রাসায়নিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে: রাশিয়া
রাশিয়া
বলেছে, বিদেশী মদদপুষ্ট তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসীরা সিরিয়ার
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাসায়নিক হামলার পরিকল্পনা করছে যাতে আসাদ সরকারের ওপর
এর দোষ চাপিয়ে দিয়ে ওই অজুহাতে আরব এই দেশটির ওপর পশ্চিমা আগ্রাসনের পথ
খুলে দেয়া যায়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত বুধবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাসায়নিক হামলা চালাতে সিরিয়ার মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ 'হামা'র একটি এলাকায় একটি ভাসমান হাসপাতাল ও কথিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা গ্রুপ 'হোয়াইট হেলমেট' সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।ওই এলাকায় গ্যাস মাস্ক, ফিল্টার ও রাসায়নিক তৎপরতার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ পোশাক এবং যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা-সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
জাখারোভা এই অঞ্চলে সিরিয়ার আসাদ সরকারের নামে রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে হামা, ইদলিব ও লাতাকিয়া প্রদেশে সন্ত্রাসীদের বিপজ্জনক ও উস্কানিমূলক তৎপরতার কথা তুলে ধরে বলেন, এসব তৎপরতা সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিক, সেনাবাহিনী ও রাশিয়ার পরিচালিত হুমাইমিম বিমানঘাঁটির ওপর হুমকি সৃষ্টি করেছে, তাই এসব তৎপরতা সহ্য করা হবে না।
গত বছরের ১৪ এপ্রিল দামেস্কের কাছে দ্যুমা শহরে সন্দেহজনক এক রাসায়নিক হামলা চলার অজুহাতে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও মার্কিন সরকার সিরিয়ার ওপর বিমান হামলা চালায়। সিরিয়ার সরকারি সেনারা ওই রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে বলে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা দাবি করলেও সিরিয়া সরকার তা নাকচ করে দেয়। আন্তর্জাতিক তদন্তেও পশ্চিমা ওই দাবি প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও এবং নিরপেক্ষ তদন্ত অনুষ্ঠানের আগেই পাশ্চাত্য সিরিয়ার ওপর ওই আগ্রাসন চালায়।
এর আগে সিরিয়ার খান শাইখুন অঞ্চলেও একই ধরনের রহস্যজনক রাসায়নিক হামলার ঘটনার জন্য সিরিয়ার আসাদ সরকারকে দায়ী করেছিল পশ্চিমা শক্তিগুলো। সিরিয়ার আসাদ সরকার ইসরাইলি-বিরোধী হওয়ায় এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লেলিয়ে দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো ও তাদের সেবাদাস এবং অনুগত কয়েকটি সরকার।
সিরিয়া বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা প্রায়ই রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বা ওই ধরনের হামলার কৃত্রিশ দৃশ্য সাজিয়ে তা আসাদ সরকারের সেনাদের কাজ বলে সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে। ব্রিটেন সরকারের নিয়ন্ত্রিত বিবিসি একবার ইরাকে ২০০৩ সালে মার্কিন হামলায় নিহত বহু লাশের ছবিকে সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক হামলা বলে চালিয়ে দিয়েছিল।
সিরিয়া ২০১৪ সালে তার সব রাসায়নিক অস্ত্র মার্কিন সরকার এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকারী সংস্থা ওপিসিডাবলিও'র পরিচালিত যৌথ মিশনের কাছে তুলে দেয়। সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা সব সময়ই জোরালোভাবে অস্বীকার করে এসেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত বুধবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাসায়নিক হামলা চালাতে সিরিয়ার মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ 'হামা'র একটি এলাকায় একটি ভাসমান হাসপাতাল ও কথিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা গ্রুপ 'হোয়াইট হেলমেট' সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।ওই এলাকায় গ্যাস মাস্ক, ফিল্টার ও রাসায়নিক তৎপরতার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ পোশাক এবং যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা-সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
জাখারোভা এই অঞ্চলে সিরিয়ার আসাদ সরকারের নামে রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে হামা, ইদলিব ও লাতাকিয়া প্রদেশে সন্ত্রাসীদের বিপজ্জনক ও উস্কানিমূলক তৎপরতার কথা তুলে ধরে বলেন, এসব তৎপরতা সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিক, সেনাবাহিনী ও রাশিয়ার পরিচালিত হুমাইমিম বিমানঘাঁটির ওপর হুমকি সৃষ্টি করেছে, তাই এসব তৎপরতা সহ্য করা হবে না।
গত বছরের ১৪ এপ্রিল দামেস্কের কাছে দ্যুমা শহরে সন্দেহজনক এক রাসায়নিক হামলা চলার অজুহাতে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও মার্কিন সরকার সিরিয়ার ওপর বিমান হামলা চালায়। সিরিয়ার সরকারি সেনারা ওই রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে বলে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা দাবি করলেও সিরিয়া সরকার তা নাকচ করে দেয়। আন্তর্জাতিক তদন্তেও পশ্চিমা ওই দাবি প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও এবং নিরপেক্ষ তদন্ত অনুষ্ঠানের আগেই পাশ্চাত্য সিরিয়ার ওপর ওই আগ্রাসন চালায়।
এর আগে সিরিয়ার খান শাইখুন অঞ্চলেও একই ধরনের রহস্যজনক রাসায়নিক হামলার ঘটনার জন্য সিরিয়ার আসাদ সরকারকে দায়ী করেছিল পশ্চিমা শক্তিগুলো। সিরিয়ার আসাদ সরকার ইসরাইলি-বিরোধী হওয়ায় এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লেলিয়ে দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো ও তাদের সেবাদাস এবং অনুগত কয়েকটি সরকার।
সিরিয়া বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা প্রায়ই রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বা ওই ধরনের হামলার কৃত্রিশ দৃশ্য সাজিয়ে তা আসাদ সরকারের সেনাদের কাজ বলে সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে। ব্রিটেন সরকারের নিয়ন্ত্রিত বিবিসি একবার ইরাকে ২০০৩ সালে মার্কিন হামলায় নিহত বহু লাশের ছবিকে সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক হামলা বলে চালিয়ে দিয়েছিল।
সিরিয়া ২০১৪ সালে তার সব রাসায়নিক অস্ত্র মার্কিন সরকার এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকারী সংস্থা ওপিসিডাবলিও'র পরিচালিত যৌথ মিশনের কাছে তুলে দেয়। সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা সব সময়ই জোরালোভাবে অস্বীকার করে এসেছে।
No comments