মৃত্যুমুখী ইরানের পরমাণু সমঝোতা! একে বাঁচান!: চীন ও রশিয়া
রাশিয়া ও চীন আবারও ইরানের পরমাণু বিষয়ক সমঝোতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে এবং ইরানের ওপর একতরফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে।
মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাদের এই অবস্থানের কথা ঘোষণা করেন। তারা পরমাণু সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান। পরমাণু বিষয়ক জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থা আইএইএ'র সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ইরান এখনও পরমাণু সমঝোতা মেনে চলছে বলে পুতিন ও পিং উল্লেখ করেছেন।
ইরানের পরমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সমঝোতার ব্যাপারে ইউরোপও কিছুটা চীন ও রাশিয়ার মতই উদ্বিগ্ন। ইউরোপের তিন শক্তি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এবং ইউরোপীয় জোট মনে করে এই সমঝোতা বাতিল বা বানচাল হয়ে গেলে তা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চীনা প্রেসিডেন্ট এই সমঝোতা রক্ষা করাকে পশ্চিম এশিয়ার শান্তি রক্ষা এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির জন্য খুব জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন।
আন্তর্জাতিক নানা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে ইরানের পরমাণু সমঝোতাটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক মডেল হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত এই সমঝোতা থেকে গত বছরের মে মাসে একতরফাভাবে বের হয়ে যায়। অবশ্য মার্কিন সরকারসহ পাশ্চাত্য ওই সমঝোতার খুব কম দিকই বাস্তবায়ন করছিল এবং ওবামার শাসনামলে স্বাক্ষরিত ওই সমঝোতা লঙ্ঘন করে ওয়াশিংটন ইরানের ওপর নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করছিল। কিন্তু ট্রাম্পের ওই পদক্ষেপ এই সমঝোতাকে প্রায় পুরোপুরি অচল করে দিয়েছে।
চীন ও রাশিয়ার নেতৃবৃন্দ সেই থেকে নানা সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষে মার্কিন সরকারে ইরান-বিদ্বেষী এই পদক্ষেপের নিন্দা ও বিরোধিতা করে আসছে। মস্কো ও চীন মার্কিন সরকারের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে ওই সমঝোতা রক্ষা করাকে খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করছে।
পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে মার্কিন সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের জবাবে ইউরোপ দায়সারা গোছের চেয়েও কম মাত্রার কিছু মৌখিক নিন্দাবাদ জানানো ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে গত ১৫ মে থেকে ইরানও ওই সমঝোতারই ধারা মোতাবেক কিছু কিছু বাড়তি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে। তাই এই সমঝোতা ক্রমেই ধসে পড়তে পারে বলে মস্কো হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকোভ বলেছেন, ইরানের পরমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সমঝোতা এখন আইসিইউ বা বিশেষ কেয়ার ইউনিটে রয়েছে!
অন্য কথায় চীন ও রাশিয়ার মত ইউরোপও যদি ইরানের পরমাণু সমঝোতা রক্ষার জন্য কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে না আসে তাহলে আন্তর্জাতিক এই সমঝোতার অকাল মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠবে।
মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাদের এই অবস্থানের কথা ঘোষণা করেন। তারা পরমাণু সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান। পরমাণু বিষয়ক জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থা আইএইএ'র সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ইরান এখনও পরমাণু সমঝোতা মেনে চলছে বলে পুতিন ও পিং উল্লেখ করেছেন।
ইরানের পরমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সমঝোতার ব্যাপারে ইউরোপও কিছুটা চীন ও রাশিয়ার মতই উদ্বিগ্ন। ইউরোপের তিন শক্তি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এবং ইউরোপীয় জোট মনে করে এই সমঝোতা বাতিল বা বানচাল হয়ে গেলে তা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চীনা প্রেসিডেন্ট এই সমঝোতা রক্ষা করাকে পশ্চিম এশিয়ার শান্তি রক্ষা এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির জন্য খুব জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন।
আন্তর্জাতিক নানা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে ইরানের পরমাণু সমঝোতাটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক মডেল হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত এই সমঝোতা থেকে গত বছরের মে মাসে একতরফাভাবে বের হয়ে যায়। অবশ্য মার্কিন সরকারসহ পাশ্চাত্য ওই সমঝোতার খুব কম দিকই বাস্তবায়ন করছিল এবং ওবামার শাসনামলে স্বাক্ষরিত ওই সমঝোতা লঙ্ঘন করে ওয়াশিংটন ইরানের ওপর নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করছিল। কিন্তু ট্রাম্পের ওই পদক্ষেপ এই সমঝোতাকে প্রায় পুরোপুরি অচল করে দিয়েছে।
চীন ও রাশিয়ার নেতৃবৃন্দ সেই থেকে নানা সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষে মার্কিন সরকারে ইরান-বিদ্বেষী এই পদক্ষেপের নিন্দা ও বিরোধিতা করে আসছে। মস্কো ও চীন মার্কিন সরকারের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে ওই সমঝোতা রক্ষা করাকে খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করছে।
পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে মার্কিন সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের জবাবে ইউরোপ দায়সারা গোছের চেয়েও কম মাত্রার কিছু মৌখিক নিন্দাবাদ জানানো ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে গত ১৫ মে থেকে ইরানও ওই সমঝোতারই ধারা মোতাবেক কিছু কিছু বাড়তি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে। তাই এই সমঝোতা ক্রমেই ধসে পড়তে পারে বলে মস্কো হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকোভ বলেছেন, ইরানের পরমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সমঝোতা এখন আইসিইউ বা বিশেষ কেয়ার ইউনিটে রয়েছে!
অন্য কথায় চীন ও রাশিয়ার মত ইউরোপও যদি ইরানের পরমাণু সমঝোতা রক্ষার জন্য কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে না আসে তাহলে আন্তর্জাতিক এই সমঝোতার অকাল মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠবে।
No comments