মেঘালয়ের রাজ্যপালের বিতর্কিত টুইটের প্রতিবাদে তৃণমূলের ধর্না-অবস্থান
তৃণমূলের ধর্না-অবস্থান কর্মসূচি |
ভারতের
মেঘালয়ের রাজ্যপাল ও সাবেক বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের বিতর্কিত টুইটের
প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল বঙ্গজননী ব্রিগেড
ধর্না-অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী
কোলকাতার হাজরা মোড়ে ধর্না-অবস্থানের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের এমপি কাকলি
ঘোষ দস্তিদার ও রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
হিন্দি ভাষার বিরোধীদের সমালোচনা করতে গিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তায় বিতর্কিত টুইট করেন সাবেক বিজেপি নেতা ও মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়।
তথাগত রায়ের বক্তব্য, ‘তামিলনাড়ু বাদে ভারতের সব জায়গার লোকই মোটামুটি হিন্দি বোঝেন। অপরপক্ষে শহুরে বুদ্ধিজীবী ছাড়া ইংরেজি কেউ বুঝবেন না। যাঁরা ঠিক করেছে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এক পাও ফেলবেন না, তারা ছাড়া বাকিদের বাস্তবটা মেনে নিতে হলে হিন্দি শিখতে হবে। না হলে পস্তাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন বাঙালি ছেলেরা হরিয়ানা থেকে কেরালা পর্যন্ত সব জায়গায় ঘর ঝাঁট দেয়, বাঙালি মেয়েরা মুম্বাইতে বার-ডান্স করে, যা আগে অকল্পনীয় ছিল।’
তথাগত বাবু ঘুরিয়ে বাঙালি মেয়েরা মুম্বাইতে বার-ডান্স করতে পারলে, হিন্দি শিখতে আপত্তি কোথায়? এই প্রশ্ন তুলেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এর প্রতিবাদে আজ তৃণমূলের বঙ্গজননী ব্রিগেড প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তার ভাষণে বলেন, ‘যেকোনো মহিলার যেকোনো পেশায় কাজ করার অধিকার আছে। সেই পেশার উপরে যারা এ ধরণের আক্রমণ করেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পুঁথিগত থাকতে পারে। কিন্তু আসল শিক্ষার একটা অংশও তাদের আছে বলে আমরা মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘শুধু বিরুদ্ধাচরণ করাই কী বিজেপির সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে? কারণ উনি (তথাগত বাবু) একটা প্রদেশের রাজ্যপাল হলেও তিনি আসলে আরএএসের সদস্য ছিলেন। এখন আছে কি না জানি না। উনি বিজেপির হয়ে কথা বলেন। একজন যখন রাজ্যপাল হন তখন তিনি কোনও দলের থাকেন না। তা সত্ত্বেও আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে ওনাকে এ ধরণের কথা বলতে। যেজন্য বাধ্য হয়ে এক প্রদেশ থেকে আর এক প্রদেশে স্থানান্তরিত করতে হয়। সেজন্য আমরা তার বিরুদ্ধে বঙ্গজননী প্রতিবাদ সংগঠিত করেছে বলে তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক শিক্ষা নীতির খসড়ায় অহিন্দীভাষী রাজ্যে হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব ওঠায় বিরোধীদের চাপের মুখে সরকার পিছু হটেছে। পশ্চিমবঙ্গও ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু তথাগত বাবু হিন্দির পক্ষে বিতর্কিত মন্তব্যে সাফাই দেয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
হিন্দি ভাষার বিরোধীদের সমালোচনা করতে গিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তায় বিতর্কিত টুইট করেন সাবেক বিজেপি নেতা ও মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়।
তথাগত রায়ের বক্তব্য, ‘তামিলনাড়ু বাদে ভারতের সব জায়গার লোকই মোটামুটি হিন্দি বোঝেন। অপরপক্ষে শহুরে বুদ্ধিজীবী ছাড়া ইংরেজি কেউ বুঝবেন না। যাঁরা ঠিক করেছে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এক পাও ফেলবেন না, তারা ছাড়া বাকিদের বাস্তবটা মেনে নিতে হলে হিন্দি শিখতে হবে। না হলে পস্তাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন বাঙালি ছেলেরা হরিয়ানা থেকে কেরালা পর্যন্ত সব জায়গায় ঘর ঝাঁট দেয়, বাঙালি মেয়েরা মুম্বাইতে বার-ডান্স করে, যা আগে অকল্পনীয় ছিল।’
তথাগত বাবু ঘুরিয়ে বাঙালি মেয়েরা মুম্বাইতে বার-ডান্স করতে পারলে, হিন্দি শিখতে আপত্তি কোথায়? এই প্রশ্ন তুলেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এর প্রতিবাদে আজ তৃণমূলের বঙ্গজননী ব্রিগেড প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তার ভাষণে বলেন, ‘যেকোনো মহিলার যেকোনো পেশায় কাজ করার অধিকার আছে। সেই পেশার উপরে যারা এ ধরণের আক্রমণ করেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পুঁথিগত থাকতে পারে। কিন্তু আসল শিক্ষার একটা অংশও তাদের আছে বলে আমরা মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘শুধু বিরুদ্ধাচরণ করাই কী বিজেপির সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে? কারণ উনি (তথাগত বাবু) একটা প্রদেশের রাজ্যপাল হলেও তিনি আসলে আরএএসের সদস্য ছিলেন। এখন আছে কি না জানি না। উনি বিজেপির হয়ে কথা বলেন। একজন যখন রাজ্যপাল হন তখন তিনি কোনও দলের থাকেন না। তা সত্ত্বেও আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে ওনাকে এ ধরণের কথা বলতে। যেজন্য বাধ্য হয়ে এক প্রদেশ থেকে আর এক প্রদেশে স্থানান্তরিত করতে হয়। সেজন্য আমরা তার বিরুদ্ধে বঙ্গজননী প্রতিবাদ সংগঠিত করেছে বলে তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক শিক্ষা নীতির খসড়ায় অহিন্দীভাষী রাজ্যে হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব ওঠায় বিরোধীদের চাপের মুখে সরকার পিছু হটেছে। পশ্চিমবঙ্গও ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু তথাগত বাবু হিন্দির পক্ষে বিতর্কিত মন্তব্যে সাফাই দেয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
No comments