‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড়িয়ে যায়’ মাহমুদুর রহমান মান্না by আব্দুল আলীম
স্বৈরাচার,
গণতন্ত্রহীনতা বা রাজনৈতিক দুরবস্থার জন্য হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলে
মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন,
যুগে যুগে সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ, মানুষের শক্তি, সমাজের শক্তি
দাঁড়িয়ে যায়। এবারও তারা দাঁড়িয়ে যাবে। মাবনবজমিনের সঙ্গে একান্ত
আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি কথা বলেন, সমকালীন রাজনীতি, জাতীয়
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিদের সংসদে যোগ দেয়া, ঐক্যফ্রন্টের বর্তমান ও
ভবিষ্যৎসহ তার ছোট বেলার ঈদ ও বর্তমান ঈদ নিয়ে।
মানবজমিন: অনেকদিন হল ঐক্যফ্রন্টের তেমন কোনো কর্মসূচি নেই। রমজান মাসে সব দল নিজ উদ্যোগে ইফতার আয়োজন করলেও ঐক্যফ্রন্টের কিছু ছিল না। আসলে কোন পথে ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতি?
মান্না: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইফতার পার্টির একটা প্রোগ্রাম নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু সেটা আলোচনার বাইরে চলে গেছে। আমরা আলোচনা করেছি কিন্তু সেটাকে কেউ কিছু মনে করেনি। দিনগুলোও পার হয়ে গেছে। সাড়ে ৪ মাস আগ থেকে এই যে নিরবচ্ছিন্ন নিরবতা, বসে থাকা, এর কোনো রাজনৈতিক ব্যাখ্যা নেই। এর একটাই ব্যাখ্যা হতে পারে যে, আমরা এই সময়টাকে রেস্পন্স করতে পারছি না। অথবা করছি না। আমাদের ঐক্যফ্রন্টে যারা আছেন তারা যে ভাবনাগুলো ভাবেন, সেই ভাবনাগুলোর মধ্যে খুব একটা সমন্বয় নেই। ফলে কেউ হয়তো মনে করছেন ৩০ তারিখ যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন আর খুব বেশি কিছু করা যাবে না। সুতরাং কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে। কেউ হয়তো মনে করছেন যেটুকুই সুযোগ পাওয়া যায় সংসদের মধ্যে সেটা গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। আর অধিকাংশের চিন্তার মধ্যে আছে আন্দোলন ছাড়া এখানে কিছু করা যাবেনা। কিন্তু সেই আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে আমরা মাঠে আসতে পারিনি। এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও আমাদের মধ্যে হয়নি। এই জন্য এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। বিষয়গুলো স্থিত অবস্থায় আছে। ঈদের পরে যদি এটা ভাঙে কোনো করাণে। তখন দেখতে হবে কি হয়।
মানবজমিন: ঈদের পরে বিএনপির পক্ষ থেকে বৃহত্তর জোট করার কথা গণমাধ্যমে আসছে। এবিষয়ে আপনার কিছু জানা আছে কিনা?
মান্না: জোটের বাইরে তো এখন কেউ নেই। বাম গণতান্ত্রিক জোট বা ইসলামী আন্দোলনসহ যারা আছে তাদের নিয়ে বৃহত্তর জোট করতে পারে। তবে আমার সঙ্গে বা আমার দলের সঙ্গে এ ব্যাপারে কারো কোনো আলোচনা হয়নি এখনো।
মানবজমিন: সরকার বিরোধী আন্দোলন কি আগামী ৫ বছর আগের মতোই চলবে? নাকি নতুন কোন খবর আছেÑ
মান্না: ৫ বছর সরকার ক্ষমতায় থাকবে কিনা সেটা বলতে পারিনা। ৫ বছরের মাত্র ৫ মাস গেছে। এখনো অনেক সময় বাকি। কিন্তু এই মুহুর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে খুব নড়াচড়া নেই।
মানবজমিন: গণফোরাম ও বিএনপির নির্বাচিতদের শপথের বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টে সুস্পষ্ট কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা?
মান্না: না। শুধু সুস্পষ্ট আলোচনাই না। এ বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনাই হয়নি।
মানবজমিন: আলোচনা না হওয়া নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ক্ষোভ আছে কিনা?
মান্না: এটা ক্ষোভের ব্যাপার তো না। এই দুটো দলের প্রতিনিধিদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নিয়েছেন। তারা অন্য কারো সঙ্গে আলোচনা করে তো সিদ্ধান্ত নেননি। মনে করেন-জোটের সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচন মানিনা। সংসদ মানিনা। এখান থেকে তাদের সিদ্ধান্ত আলাদা হয়ে গেল তো। এই ফিলিংসটা আছে। এই শপথের ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হলো এই দুটো দল নিজেদের মতো চলবে। এখানে প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়ার বিষয় না। প্রশ্ন হল বিরোধ দেখা দেয়ার ইস্যু আছে কিনা। সেই ইস্যু তো আছে। যে রকম বিএনপির নেতারা সংসদে যোগ দিলেন। তাতে তাদের দলের মধ্য থেকেই কথা বলছেন। আমরা কি বলব? এখানে তাদের প্রতিনিধিত্ব করবে হলো দল। সেই দলই যদি দুই রকম তিন রকম কথা বলে তখন এটার উত্তর আমরা কি দেব? ফলে আমরা অপেক্ষা করছি বিএনপি আলাদা আলাদা না বলে সবাই মিলে একটা কিছু বলুক। সেটা তারা কতদিনে বলবে তা জানিনা। আগে তাদের নিজেদের ঘর সামলাবেন। তার পর তারা কথা বলবেন। এখন যদি প্রশ্ন করেন তাদের ঐক্য নিয়ে, তাহলে তাদের নিজেদেরই যখন ঐক্য থাকবে না। তখন জবাব দেবে কিভাবে?
মানবজমিন: সাম্প্রতিক সময়ে এ কে খন্দকারের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে। এতো বছর পর এমন হল কেন আপনার দৃষ্টিতে?
মান্না: এই ব্যাপারে উনার এখন বলার প্রয়োজন পড়ল কেন? অনেকগুলো বছর চলে গেছে। তিনি মন্ত্রী ছিলেন, সেটা নিয়ে কম্প্রমাইজ করেননি। কিন্তু এখন হঠাৎ বললেন কেন? এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
মানবজমিন: সার্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কি বলবেন?
মান্না: ইতিহাসের এক ধরনের পাক চক্রের মধ্যে, এক ধরনের হতাশা চক্রের মধ্যে এখন সমগ্র জাতি নিমজ্জিত হয়েছে। কিন্তু তারা সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। পৃথিবীতে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাতন্ত্র নতুন কিছু না। অনেকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেছে। তারপরও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই হয়েছে। স্বৈরতন্ত্র বলেন, গণতন্ত্রহীনতা বলেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া বলেন। এগুলো টিকবে না। আমি মনে করি এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করা দরকার। এই ঐক্যবদ্ধতা ফিরে আসবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আশার কথা হল অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ, মানুষের শক্তি, সমাজের শক্তি দাঁড়িয়ে যায়, যাবে।
মানবজমিন: আগেরকার দিনে আপনারা যেমন ঈদ কাটাতেন সেই তুলনায় আপনার দৃষ্টিতে এখনকার ঈদ কেমন?
মান্না: ছোট বেলা তো ছোট বেলাই। এমনকি যৌবন কালটাও আলাদা। তখন জীবনটাই দেখার মতো। উপভোগ করার মতো। সব জায়গায় আনন্দে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু যখন বয়স হয়ে গেল তখন এই আনন্দগুলো অবান্তর মনে হয় না। মূল্যহীন মনে হয় না। কিন্তু ছোট বেলার মতো করে রেসúন্স করা যায় না।
মানবজমিন: অনেকদিন হল ঐক্যফ্রন্টের তেমন কোনো কর্মসূচি নেই। রমজান মাসে সব দল নিজ উদ্যোগে ইফতার আয়োজন করলেও ঐক্যফ্রন্টের কিছু ছিল না। আসলে কোন পথে ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতি?
মান্না: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইফতার পার্টির একটা প্রোগ্রাম নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু সেটা আলোচনার বাইরে চলে গেছে। আমরা আলোচনা করেছি কিন্তু সেটাকে কেউ কিছু মনে করেনি। দিনগুলোও পার হয়ে গেছে। সাড়ে ৪ মাস আগ থেকে এই যে নিরবচ্ছিন্ন নিরবতা, বসে থাকা, এর কোনো রাজনৈতিক ব্যাখ্যা নেই। এর একটাই ব্যাখ্যা হতে পারে যে, আমরা এই সময়টাকে রেস্পন্স করতে পারছি না। অথবা করছি না। আমাদের ঐক্যফ্রন্টে যারা আছেন তারা যে ভাবনাগুলো ভাবেন, সেই ভাবনাগুলোর মধ্যে খুব একটা সমন্বয় নেই। ফলে কেউ হয়তো মনে করছেন ৩০ তারিখ যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন আর খুব বেশি কিছু করা যাবে না। সুতরাং কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে। কেউ হয়তো মনে করছেন যেটুকুই সুযোগ পাওয়া যায় সংসদের মধ্যে সেটা গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। আর অধিকাংশের চিন্তার মধ্যে আছে আন্দোলন ছাড়া এখানে কিছু করা যাবেনা। কিন্তু সেই আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে আমরা মাঠে আসতে পারিনি। এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও আমাদের মধ্যে হয়নি। এই জন্য এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। বিষয়গুলো স্থিত অবস্থায় আছে। ঈদের পরে যদি এটা ভাঙে কোনো করাণে। তখন দেখতে হবে কি হয়।
মানবজমিন: ঈদের পরে বিএনপির পক্ষ থেকে বৃহত্তর জোট করার কথা গণমাধ্যমে আসছে। এবিষয়ে আপনার কিছু জানা আছে কিনা?
মান্না: জোটের বাইরে তো এখন কেউ নেই। বাম গণতান্ত্রিক জোট বা ইসলামী আন্দোলনসহ যারা আছে তাদের নিয়ে বৃহত্তর জোট করতে পারে। তবে আমার সঙ্গে বা আমার দলের সঙ্গে এ ব্যাপারে কারো কোনো আলোচনা হয়নি এখনো।
মানবজমিন: সরকার বিরোধী আন্দোলন কি আগামী ৫ বছর আগের মতোই চলবে? নাকি নতুন কোন খবর আছেÑ
মান্না: ৫ বছর সরকার ক্ষমতায় থাকবে কিনা সেটা বলতে পারিনা। ৫ বছরের মাত্র ৫ মাস গেছে। এখনো অনেক সময় বাকি। কিন্তু এই মুহুর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে খুব নড়াচড়া নেই।
মানবজমিন: গণফোরাম ও বিএনপির নির্বাচিতদের শপথের বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টে সুস্পষ্ট কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা?
মান্না: না। শুধু সুস্পষ্ট আলোচনাই না। এ বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনাই হয়নি।
মানবজমিন: আলোচনা না হওয়া নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ক্ষোভ আছে কিনা?
মান্না: এটা ক্ষোভের ব্যাপার তো না। এই দুটো দলের প্রতিনিধিদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নিয়েছেন। তারা অন্য কারো সঙ্গে আলোচনা করে তো সিদ্ধান্ত নেননি। মনে করেন-জোটের সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচন মানিনা। সংসদ মানিনা। এখান থেকে তাদের সিদ্ধান্ত আলাদা হয়ে গেল তো। এই ফিলিংসটা আছে। এই শপথের ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হলো এই দুটো দল নিজেদের মতো চলবে। এখানে প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়ার বিষয় না। প্রশ্ন হল বিরোধ দেখা দেয়ার ইস্যু আছে কিনা। সেই ইস্যু তো আছে। যে রকম বিএনপির নেতারা সংসদে যোগ দিলেন। তাতে তাদের দলের মধ্য থেকেই কথা বলছেন। আমরা কি বলব? এখানে তাদের প্রতিনিধিত্ব করবে হলো দল। সেই দলই যদি দুই রকম তিন রকম কথা বলে তখন এটার উত্তর আমরা কি দেব? ফলে আমরা অপেক্ষা করছি বিএনপি আলাদা আলাদা না বলে সবাই মিলে একটা কিছু বলুক। সেটা তারা কতদিনে বলবে তা জানিনা। আগে তাদের নিজেদের ঘর সামলাবেন। তার পর তারা কথা বলবেন। এখন যদি প্রশ্ন করেন তাদের ঐক্য নিয়ে, তাহলে তাদের নিজেদেরই যখন ঐক্য থাকবে না। তখন জবাব দেবে কিভাবে?
মানবজমিন: সাম্প্রতিক সময়ে এ কে খন্দকারের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে। এতো বছর পর এমন হল কেন আপনার দৃষ্টিতে?
মান্না: এই ব্যাপারে উনার এখন বলার প্রয়োজন পড়ল কেন? অনেকগুলো বছর চলে গেছে। তিনি মন্ত্রী ছিলেন, সেটা নিয়ে কম্প্রমাইজ করেননি। কিন্তু এখন হঠাৎ বললেন কেন? এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
মানবজমিন: সার্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কি বলবেন?
মান্না: ইতিহাসের এক ধরনের পাক চক্রের মধ্যে, এক ধরনের হতাশা চক্রের মধ্যে এখন সমগ্র জাতি নিমজ্জিত হয়েছে। কিন্তু তারা সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। পৃথিবীতে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাতন্ত্র নতুন কিছু না। অনেকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেছে। তারপরও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই হয়েছে। স্বৈরতন্ত্র বলেন, গণতন্ত্রহীনতা বলেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া বলেন। এগুলো টিকবে না। আমি মনে করি এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করা দরকার। এই ঐক্যবদ্ধতা ফিরে আসবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আশার কথা হল অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ, মানুষের শক্তি, সমাজের শক্তি দাঁড়িয়ে যায়, যাবে।
মানবজমিন: আগেরকার দিনে আপনারা যেমন ঈদ কাটাতেন সেই তুলনায় আপনার দৃষ্টিতে এখনকার ঈদ কেমন?
মান্না: ছোট বেলা তো ছোট বেলাই। এমনকি যৌবন কালটাও আলাদা। তখন জীবনটাই দেখার মতো। উপভোগ করার মতো। সব জায়গায় আনন্দে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু যখন বয়স হয়ে গেল তখন এই আনন্দগুলো অবান্তর মনে হয় না। মূল্যহীন মনে হয় না। কিন্তু ছোট বেলার মতো করে রেসúন্স করা যায় না।
No comments