প্রধানমন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তা সতর্কতা প্রত্যাহার চাইবে ঢাকা by মিজানুর রহমান
প্রায়
৩ বছর ধরে বহাল রয়েছে জাপানের নিরাপত্তা সতর্কতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার আসন্ন টোকিও সফরে এটি প্রত্যাহার চাইবে ঢাকা। আগামী ২৯শে মে
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক
হবে। ওই বৈঠককেই ‘নিরাপত্তা’র মত স্পর্শকাতর বিষয়ের আলোচনার উপযুক্ত ফোরাম
মনে করছে বাংলাদেশ। সরকার প্রধানের সফর প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত
সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ২০১৬ সালের ১লা জুলাই হলি
আর্টিজান বেকারীতে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম জঙ্গী হামলার ঘটনায় সাত জাপানি
নাগরিক নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভ্রমণে দেশটির নাগরিকদের জন্য
‘নিরাপত্তা সতর্কতা’ জারি করেছিল টোকিও। এটি এখনও বলবৎ আছে।
বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর মন্তব্য করে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। গুলশান অ্যাটাকের পুনরাবৃত্তি তো নয়ই বরং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উগ্রপন্থিদের সংঘঠিত হওয়ার সব ধরণের চেষ্টা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে ঢাকা। কিন্তু জাপান আজ অবধি বাংলাদেশ ভ্রমণে তাদের নাগরিকদের জন্য জারি করা নিরাপত্তা সতর্কতা শিথিল বা প্রত্যাহার করেনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনার পর পশ্চিমা দুনিয়াও নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত রাষ্ট্রগুলো পর্যায়ক্রমে তা শিথিল করে এবং উঠিয়ে নেয়। সমপ্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হলেও ওই দেশের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেনি জাপান। কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়ে তারা এখনও উদ্বিগ্ন। ফলে এই যুক্তিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উত্থাপন করা হবে এবং বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হবে। জাপানের সবচেয়ে বড় মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিকেই প্রতি বছরের মতো এবারও আগামী ৩০ ও ৩১শে মে টোকিওতে ফিউচার অব এশিয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ওই অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে। তার আমন্ত্রণ রক্ষায় আগামী ২৮শে মে জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানের আগের দিনে দুই দেশের সরকার প্রধান পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে। জাপান প্রস্তাবিত বিগ-বি প্ল্যানের আওতায় জাপান মাতারবাড়িতে একটি সমুদ্র বন্দর, বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি করছে। এখানে কিভাবে একটি শিল্পাঞ্চল তৈরি করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।
এ অঞ্চলে টোকিও প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। এ ক্ষেত্রে যোগাযোগের যাবতীয় সুবিধাসহ বাংলাদেশে জাপানীদের জন্য একটি শিল্পাঞ্চল তৈরির আলোচনায় আগ্রহী ঢাকা। শুধু জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাবও আলোচনায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ও জাপান ৪০তম ওডিএ প্যাকেজ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে। এই প্যাকেজের আওতায় জাপান বাংলাদেশকে ২২০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে যা মাতারবাড়ি বন্দর ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ব্যবহার হবে। এছাড়া ম্যাস র?্যাপিড ট্রান্সপোর্ট-এর একটি অংশ বাস্তবায়নে এখান থেকে অর্থ ব্যয় করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। সরকার প্রধান পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠকেও সংকট সমাধানে জাপানের আরও সক্রিয় সহযোগিতা চাওয়া ছাড়াও টোকিও সম্মেলনে এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষের দিকে একসঙ্গে ৩ দেশ সফরে বের হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮-৯ দিনের প্রস্তাবিত ওই সফর শুরু হবে জাপান দিয়ে। মধ্যখানে সৌদি আরব আর সমাপ্তি ঘটবে ফিনল্যান্ড সফরের মধ্য দিয়ে। কূটনৈতিক সূত্র প্রধানমন্ত্রীর টোকিও এবং মক্কা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে সরকার প্রধানের হেলসিঙ্কি সফরের বিষয়ের কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একান্ত সরকারি সফরটিতে দ্বিপক্ষীয় উপাদান যুক্ত করতে কাজ করছেন ঢাকা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অবশ্য মানবজমিনকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ফিনল্যান্ড সফরে দ্বিপক্ষীয় কমূসূচি মুখ্য নয়। রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান যে কোন দেশ সফরে গেলে হোস্ট কান্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা-সাক্ষাৎ তথা ভাবের আদান-প্রদান হয়।
হেলসিঙ্কিতেও সেটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাপান সফর শেষে ৩০শে মে টোকিও থেকে সরাসরি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১শে মে মক্কায় অনুষ্ঠেয় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে (ওআইসির) অংশ নেবেন। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ১৪তম ওআইসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলন ছাড়াও সরকার প্রধানের ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর মন্তব্য করে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। গুলশান অ্যাটাকের পুনরাবৃত্তি তো নয়ই বরং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উগ্রপন্থিদের সংঘঠিত হওয়ার সব ধরণের চেষ্টা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে ঢাকা। কিন্তু জাপান আজ অবধি বাংলাদেশ ভ্রমণে তাদের নাগরিকদের জন্য জারি করা নিরাপত্তা সতর্কতা শিথিল বা প্রত্যাহার করেনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনার পর পশ্চিমা দুনিয়াও নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত রাষ্ট্রগুলো পর্যায়ক্রমে তা শিথিল করে এবং উঠিয়ে নেয়। সমপ্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হলেও ওই দেশের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেনি জাপান। কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়ে তারা এখনও উদ্বিগ্ন। ফলে এই যুক্তিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উত্থাপন করা হবে এবং বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হবে। জাপানের সবচেয়ে বড় মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিকেই প্রতি বছরের মতো এবারও আগামী ৩০ ও ৩১শে মে টোকিওতে ফিউচার অব এশিয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ওই অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে। তার আমন্ত্রণ রক্ষায় আগামী ২৮শে মে জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানের আগের দিনে দুই দেশের সরকার প্রধান পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে। জাপান প্রস্তাবিত বিগ-বি প্ল্যানের আওতায় জাপান মাতারবাড়িতে একটি সমুদ্র বন্দর, বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি করছে। এখানে কিভাবে একটি শিল্পাঞ্চল তৈরি করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।
এ অঞ্চলে টোকিও প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। এ ক্ষেত্রে যোগাযোগের যাবতীয় সুবিধাসহ বাংলাদেশে জাপানীদের জন্য একটি শিল্পাঞ্চল তৈরির আলোচনায় আগ্রহী ঢাকা। শুধু জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাবও আলোচনায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ও জাপান ৪০তম ওডিএ প্যাকেজ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে। এই প্যাকেজের আওতায় জাপান বাংলাদেশকে ২২০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে যা মাতারবাড়ি বন্দর ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ব্যবহার হবে। এছাড়া ম্যাস র?্যাপিড ট্রান্সপোর্ট-এর একটি অংশ বাস্তবায়নে এখান থেকে অর্থ ব্যয় করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। সরকার প্রধান পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠকেও সংকট সমাধানে জাপানের আরও সক্রিয় সহযোগিতা চাওয়া ছাড়াও টোকিও সম্মেলনে এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষের দিকে একসঙ্গে ৩ দেশ সফরে বের হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮-৯ দিনের প্রস্তাবিত ওই সফর শুরু হবে জাপান দিয়ে। মধ্যখানে সৌদি আরব আর সমাপ্তি ঘটবে ফিনল্যান্ড সফরের মধ্য দিয়ে। কূটনৈতিক সূত্র প্রধানমন্ত্রীর টোকিও এবং মক্কা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে সরকার প্রধানের হেলসিঙ্কি সফরের বিষয়ের কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একান্ত সরকারি সফরটিতে দ্বিপক্ষীয় উপাদান যুক্ত করতে কাজ করছেন ঢাকা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অবশ্য মানবজমিনকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ফিনল্যান্ড সফরে দ্বিপক্ষীয় কমূসূচি মুখ্য নয়। রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান যে কোন দেশ সফরে গেলে হোস্ট কান্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা-সাক্ষাৎ তথা ভাবের আদান-প্রদান হয়।
হেলসিঙ্কিতেও সেটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাপান সফর শেষে ৩০শে মে টোকিও থেকে সরাসরি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১শে মে মক্কায় অনুষ্ঠেয় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে (ওআইসির) অংশ নেবেন। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ১৪তম ওআইসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলন ছাড়াও সরকার প্রধানের ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা রয়েছে।
No comments