একদিনে ৫০ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার: কড়াকড়ির মধ্যেও থামছে না কেনা-বেচা by শুভ্র দেব
জিরো
টলারেন্স। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান। ক্রসফায়ার। ইয়াবার কারখানা ধ্বংস।
ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ। আইন সংশোধন। সীমান্তে কড়া নজরদারি। কোন কিছুতেই
থামছে না ইয়াবার কেনা-বেচা।
একের পর এক ইয়াবার চালান দেশে ঢুকছে। পুরাতন রুট পরিবর্তন করে নতুন রুট। আকাশপথ, সড়ক পথ, রেল পথ পরিবর্তন করে এখন নৌ-পথে আনা হচ্ছে চালান। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব চালান পাঠানো হচ্ছে সারাদেশে। গ্রাম থেকে শহরের অলিগলি। সব জায়গায়ই পাওয়া যাচ্ছে মরণনেঁশা ইয়াবা। অতি লাভজনক হওয়াতে এ ব্যবসায় যোগ দিচ্ছেন নতুন নতুন মুখ।
মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বেড়েছিল। গত বছরের ৪ঠা মে থেকে মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করে র্যাব। ১৮ই মে থেকে পুলিশও এই অভিযান শুরু করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী ২০১৮ সালে সারা দেশে সবচেয়ে বেশি মামলা, মাদক উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। সংস্থাটির তথ্যমতে বিগত বছর মাদক আইনে সারাদেশে মোট মামলা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩টি। উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৮ পিস ইয়াবা। র্যাব, পুলিশের পাশপাশি এসব অভিযানে অংশ নিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ড। মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন অন্তত তিন শতাধিক মাদক কারবারী। মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরও বন্ধ করা যায়নি ব্যবসা। অভিযান চলাকালে সাময়িক কিছুদিন গাঁ ঢাকা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
অনেক ব্যবসায়ী দেশের বাইরে পালিয়ে ছিলেন। অভিযান কিছুটা শিথিল হওয়ার পর ফের তারা ঘরে ফেরেন। নতুন করে ব্যবসা শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে তারা নিত্য নতুন কৌঁশল বেছে নেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য পুরাতন ব্যবসায়ীরা আড়ালে থেকে নতুন নতুন ব্যবসায়ীদের যুক্ত করা হয়। পরিচিত ক্রেতা ছাড়া মাদক কেনা-বেচা বন্ধ করে দেয়া হয়। অনলাইনে, মোবাইল ফোনে অর্ডার নিয়ে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে ইয়াবা। শুধু তাই নয় ইয়াবার চালান আনার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। ছোট ছোট শিশুদের পেট ভাড়া করে ইয়াবার চালান আনা হত। এক ধরনের বিশেষ ফলের ভেতরের অংশ ফেলে দিয়ে তার মধ্যে ইয়াবা। ট্রাকের মুল পাটাতনের উপরে নকল পাটাতন দিয়ে তার মধ্যে ইয়াবা, তরমুজ, বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছের চালানে করে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে।
বেসরকারি সংস্থা মানসের প্রতিষ্ঠাতা ডা. অরূপ রতন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, সারাদেশে মাদক অক্টোপাসের মত ছড়িয়ে গেছে। বিগত ১০ বছরে যে পরিমান মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তা এত কম সময়ে নির্মূল করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকে প্রচুর মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্রসফায়ারে মারা গেছে অনেকে। কিন্তু এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রাঘব বোয়ালরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এখনও গডফাদারদের মধ্যে থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কারণ গডফাদাররা মুখোশধারী। তাদের পেছনে বৃহৎ শক্তি কাজ করছে। তাই তাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারলে মাদকের ছড়াছড়ি থামবে না। তিনি বলেন, এছাড়া দেশে বর্তমানে ৭৫ লাখ মাদকসেবী রয়েছে। এদের ফিরিয়ে আনার মত ভালো নিরাময় কেন্দ্র দেশে নেই। সে ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ওই মাদকাসক্তরাই আরো নতুন নতুন মাদকসেবী তৈরি করবে
অপরদিকে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) মঙ্গলবার আট লাখ পিস ইয়াবার একটি চালান আটক করেছে। যার আনুমানিক বাজার দর ৫০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে র্যাব একটি সংঘবদ্ধ চক্রের তিনজনকে আটক করেছে। চক্রের সদস্যরা সাগর পথে ট্রলার দিয়ে ইয়াবার চালানটি পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে নদী পথে এবং স্থল পথে রুট পরিবর্তন করে চালানটি ঢাকায় নিয়ে আসে। তবে তারা চালানটি দুই ভাগে ভাগ করে ঢাকায় আনে। র্যাব সদস্যরা প্রথমে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালের সপ্তবর্ণা-১ থেকে ৫ লাখ ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুজনকে আটক করে। তারা হলেন, তুহিন হোসেন (২৫) ও মো. সবুজ (২৬)। পরে ওই দুজনের দেয়া তথ্যমতে পরে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ চক্রের আরেক সদস্য মো. শাহজাহান (৩৫) কে আটক করে।
র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, আমরা গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি স্থলপথে কড়া নজরদারির কারনে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও বহনকারীরা এখন রুট পরিবর্তন করেছে। তিনি বলেন, আমরা আরও তথ্য পেয়েছি যে ইয়াবার এই বড় চালানে বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে। দেশের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ করানো হচ্ছে। তবে এসব বিনিয়োগের সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার মানবজমিনকে বলেন, মাদক নির্মূলে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকে সারা দেশে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরাও কাজ করে যাচ্ছি। গত বছর আমরা তালিকাভুক্ত অনেক ছোট বড় মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। এবছর নতুন সরকার গঠনের পর থেকে মাদক নির্মুলের জন্য অধিদপ্তরের ওপর চাপ বেড়েছে। ঘন ঘন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অতীতের সব সময়ের চেয়ে বর্তমানে মাদকের মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়েছে। সারা দেশের সকল গোয়েন্দারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাদকের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নতুন আইন নিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আগে আইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় মাদক মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা যেত না। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে যেত। কিন্তু নতুন আইনে শাস্তি বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আশা করছি এই আইনের মাধ্যমে মাদকের ছড়াছড়ি কমানো সম্ভব হবে।
একের পর এক ইয়াবার চালান দেশে ঢুকছে। পুরাতন রুট পরিবর্তন করে নতুন রুট। আকাশপথ, সড়ক পথ, রেল পথ পরিবর্তন করে এখন নৌ-পথে আনা হচ্ছে চালান। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব চালান পাঠানো হচ্ছে সারাদেশে। গ্রাম থেকে শহরের অলিগলি। সব জায়গায়ই পাওয়া যাচ্ছে মরণনেঁশা ইয়াবা। অতি লাভজনক হওয়াতে এ ব্যবসায় যোগ দিচ্ছেন নতুন নতুন মুখ।
মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বেড়েছিল। গত বছরের ৪ঠা মে থেকে মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করে র্যাব। ১৮ই মে থেকে পুলিশও এই অভিযান শুরু করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী ২০১৮ সালে সারা দেশে সবচেয়ে বেশি মামলা, মাদক উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। সংস্থাটির তথ্যমতে বিগত বছর মাদক আইনে সারাদেশে মোট মামলা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩টি। উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৮ পিস ইয়াবা। র্যাব, পুলিশের পাশপাশি এসব অভিযানে অংশ নিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ড। মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন অন্তত তিন শতাধিক মাদক কারবারী। মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরও বন্ধ করা যায়নি ব্যবসা। অভিযান চলাকালে সাময়িক কিছুদিন গাঁ ঢাকা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
অনেক ব্যবসায়ী দেশের বাইরে পালিয়ে ছিলেন। অভিযান কিছুটা শিথিল হওয়ার পর ফের তারা ঘরে ফেরেন। নতুন করে ব্যবসা শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে তারা নিত্য নতুন কৌঁশল বেছে নেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য পুরাতন ব্যবসায়ীরা আড়ালে থেকে নতুন নতুন ব্যবসায়ীদের যুক্ত করা হয়। পরিচিত ক্রেতা ছাড়া মাদক কেনা-বেচা বন্ধ করে দেয়া হয়। অনলাইনে, মোবাইল ফোনে অর্ডার নিয়ে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে ইয়াবা। শুধু তাই নয় ইয়াবার চালান আনার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। ছোট ছোট শিশুদের পেট ভাড়া করে ইয়াবার চালান আনা হত। এক ধরনের বিশেষ ফলের ভেতরের অংশ ফেলে দিয়ে তার মধ্যে ইয়াবা। ট্রাকের মুল পাটাতনের উপরে নকল পাটাতন দিয়ে তার মধ্যে ইয়াবা, তরমুজ, বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছের চালানে করে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে।
বেসরকারি সংস্থা মানসের প্রতিষ্ঠাতা ডা. অরূপ রতন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, সারাদেশে মাদক অক্টোপাসের মত ছড়িয়ে গেছে। বিগত ১০ বছরে যে পরিমান মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তা এত কম সময়ে নির্মূল করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকে প্রচুর মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্রসফায়ারে মারা গেছে অনেকে। কিন্তু এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রাঘব বোয়ালরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এখনও গডফাদারদের মধ্যে থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কারণ গডফাদাররা মুখোশধারী। তাদের পেছনে বৃহৎ শক্তি কাজ করছে। তাই তাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারলে মাদকের ছড়াছড়ি থামবে না। তিনি বলেন, এছাড়া দেশে বর্তমানে ৭৫ লাখ মাদকসেবী রয়েছে। এদের ফিরিয়ে আনার মত ভালো নিরাময় কেন্দ্র দেশে নেই। সে ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ওই মাদকাসক্তরাই আরো নতুন নতুন মাদকসেবী তৈরি করবে
অপরদিকে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) মঙ্গলবার আট লাখ পিস ইয়াবার একটি চালান আটক করেছে। যার আনুমানিক বাজার দর ৫০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে র্যাব একটি সংঘবদ্ধ চক্রের তিনজনকে আটক করেছে। চক্রের সদস্যরা সাগর পথে ট্রলার দিয়ে ইয়াবার চালানটি পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে নদী পথে এবং স্থল পথে রুট পরিবর্তন করে চালানটি ঢাকায় নিয়ে আসে। তবে তারা চালানটি দুই ভাগে ভাগ করে ঢাকায় আনে। র্যাব সদস্যরা প্রথমে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালের সপ্তবর্ণা-১ থেকে ৫ লাখ ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুজনকে আটক করে। তারা হলেন, তুহিন হোসেন (২৫) ও মো. সবুজ (২৬)। পরে ওই দুজনের দেয়া তথ্যমতে পরে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ চক্রের আরেক সদস্য মো. শাহজাহান (৩৫) কে আটক করে।
র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, আমরা গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি স্থলপথে কড়া নজরদারির কারনে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও বহনকারীরা এখন রুট পরিবর্তন করেছে। তিনি বলেন, আমরা আরও তথ্য পেয়েছি যে ইয়াবার এই বড় চালানে বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে। দেশের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ করানো হচ্ছে। তবে এসব বিনিয়োগের সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার মানবজমিনকে বলেন, মাদক নির্মূলে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকে সারা দেশে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরাও কাজ করে যাচ্ছি। গত বছর আমরা তালিকাভুক্ত অনেক ছোট বড় মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। এবছর নতুন সরকার গঠনের পর থেকে মাদক নির্মুলের জন্য অধিদপ্তরের ওপর চাপ বেড়েছে। ঘন ঘন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অতীতের সব সময়ের চেয়ে বর্তমানে মাদকের মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়েছে। সারা দেশের সকল গোয়েন্দারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাদকের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নতুন আইন নিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আগে আইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় মাদক মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা যেত না। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে যেত। কিন্তু নতুন আইনে শাস্তি বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আশা করছি এই আইনের মাধ্যমে মাদকের ছড়াছড়ি কমানো সম্ভব হবে।
No comments