পাকিস্তানের এফ-১৬ ভূপাতিত করার ভারতীয় দাবি ভুয়া?
কয়েকদিন
আগে কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যদের লক্ষ্য করে ভয়াবহ এক আত্মঘাতি হামলার পর
পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় বিমান। এর একদিন বাদে ভারত ও
পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান আকাশে ‘ডগফাইটে’ লিপ্ত হয়। সেই ঘটনায় পাকিস্তানের
বিমানসেনারা একটি ভারতীয় মিগ-২১ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে ও পাইলটকে আটক
করেছে, এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। কিন্তু তখন ভারতও পালটা দাবি করেছিল যে,
পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভারত ভূপাতিত করেছে এবং পাইলটকে ভারতীয়
ভেবে পাকিস্তানি স্থানীয় জনগণ মেরে ফেলেছে। কিন্তু পাকিস্তান এই দাবি
অস্বীকার করে জানায়, তারা ওই হামলায় কোনো এফ-১৬ বিমানই ব্যবহার করেনি। এই
বাকযুদ্ধে কে যে সত্যি বলছে আর কে মিথ্যা, সেটা বোঝার উপায় ছিল না। কিন্তু
এবার মার্কিন প্রখ্যাত ম্যাগাজিন ফরেইন পলিসিতে প্রকাশিত এক রিপোর্টে
ইঙ্গিত মিলছে যে, ভারতের দাবির সত্যতা না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ম্যাগাজিনটি জানিয়েছে যে, মার্কিন কর্মকর্তারা সম্প্রতি গণনা করে দেখেছেন যে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সংখ্যায় কোনো হেরফের হয়নি। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কোম্পানি প্রস্তুত করে।
বাইরের কোনো দেশ এই যুদ্ধবিমান কিনতে হলে এই শর্ত মেনে নিতে হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত এই বিমান পরিদর্শন করতে পারবে।
এই প্রতিবেদনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এক টুইটে লিখেছেন, ‘সত্য সবসময় বিজয়ী হয়। নিজেদের মিথ্যা দাবি ও প্রকৃত ক্ষতি সম্পর্কে সত্য তথ্য দেওয়ার সময় এসেছে ভারতের।’ এদিকে ভারত ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে ফের বলেছে, একটি এফ-১৬ ভূপাতিত হয়েছে। এক বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, ভারতীয় বাহিনী ওই দিন দুইটি ভিন্ন স্থান থেকে নিশ্চিতভাবে ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি দেখেছে।
এদিকে এর আগে পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গিগোষ্ঠী জৈইশ-ই-মোহাম্মদ-এর কথিত আস্তানা ধ্বংস করার যে দাবি ভারত করেছিল, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে রয়টার্স সহ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। রয়টার্সের প্রতিবেদক দল গিয়ে সেখানে ধ্বংসস্তুপের কোনো নিদর্শন পায়নি। এছাড়া হাই রেজুলেশন স্যাটেলাইট ইমেজ থেকেও বালাকোটের ওই স্থানে তেমন পরিবর্তন পাওয়া যায়নি।
ফরেইন পলিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হওয়ার পর নিজেদের এফ-১৬ বিমানের সংখ্যা গুনতে পাকিস্তান মার্কিন কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ভারতও আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছিল, ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬-এর ব্যবহার ওই যুদ্ধবিমান ক্রয়চুক্তির লঙ্ঘণ কিনা তা যেন যাচাই করা হয়।
বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ম্যাগাজিনটি জানিয়েছে যে, মার্কিন কর্মকর্তারা সম্প্রতি গণনা করে দেখেছেন যে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সংখ্যায় কোনো হেরফের হয়নি। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কোম্পানি প্রস্তুত করে।
বাইরের কোনো দেশ এই যুদ্ধবিমান কিনতে হলে এই শর্ত মেনে নিতে হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত এই বিমান পরিদর্শন করতে পারবে।
এই প্রতিবেদনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এক টুইটে লিখেছেন, ‘সত্য সবসময় বিজয়ী হয়। নিজেদের মিথ্যা দাবি ও প্রকৃত ক্ষতি সম্পর্কে সত্য তথ্য দেওয়ার সময় এসেছে ভারতের।’ এদিকে ভারত ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে ফের বলেছে, একটি এফ-১৬ ভূপাতিত হয়েছে। এক বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, ভারতীয় বাহিনী ওই দিন দুইটি ভিন্ন স্থান থেকে নিশ্চিতভাবে ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি দেখেছে।
এদিকে এর আগে পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গিগোষ্ঠী জৈইশ-ই-মোহাম্মদ-এর কথিত আস্তানা ধ্বংস করার যে দাবি ভারত করেছিল, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে রয়টার্স সহ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। রয়টার্সের প্রতিবেদক দল গিয়ে সেখানে ধ্বংসস্তুপের কোনো নিদর্শন পায়নি। এছাড়া হাই রেজুলেশন স্যাটেলাইট ইমেজ থেকেও বালাকোটের ওই স্থানে তেমন পরিবর্তন পাওয়া যায়নি।
ফরেইন পলিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হওয়ার পর নিজেদের এফ-১৬ বিমানের সংখ্যা গুনতে পাকিস্তান মার্কিন কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ভারতও আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছিল, ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬-এর ব্যবহার ওই যুদ্ধবিমান ক্রয়চুক্তির লঙ্ঘণ কিনা তা যেন যাচাই করা হয়।
No comments