সংঘাতের ভয়ে চালু হচ্ছে না ৭ হল by সুজন ঘোষ ও তাসনীম হাসান
- • চট্টগ্রামের তিন সরকারি কলেজ।
- • ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের পর বন্ধ হয়েছিল হলগুলো।
- • কমার্স কলেজের ছাত্রাবাস বন্ধ হয় ৩০ বছর আগে।
চালু
হলে সংঘাত হবে—এই ভয়ে চট্টগ্রাম নগরের তিন সরকারি কলেজের সাতটি হল খুলে
দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের পর হলগুলো বন্ধ করে
দেওয়া হয়েছিল। এতে আবাসন-সুবিধাথেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা
শিক্ষার্থীরা। তাঁদের বাড়তি অর্থ দিয়ে বাইরের মেস ও হোস্টেলে থাকতে হচ্ছে।
তবে রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি চায়, তাহলে হল চালু করতে সমস্যা নেই বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি।
সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন ছাত্রের মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালের মে মাসে একমাত্র ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির। ওই দিনই চট্টগ্রাম কলেজের তিনটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীনিবাস এবং পাশের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দুটি ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী আছেন ৩৮ হাজার ৩৯৩ জন। আর বন্ধ হয়ে যাওয়া হলগুলোতে আসন আছে ১ হাজার ৩৪টি। তিন কলেজেই উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। হলগুলোতে কেউ না থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এখন সরকারি কমার্স কলেজের একমাত্র ছাত্রীনিবাস চালু আছে।
সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আইয়ুব ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রাবাস কী কারণে বন্ধ হয়েছে, তা সবাই জানেন। তাই চালু করলে আবার হয়তো হানাহানি হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ছাত্রাবাসটি জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই চাইলেও এই মুহূর্তে হল চালু করা সম্ভব নয়। ভবনটি ভেঙে নতুন করে করতে হবে।
চট্টগ্রাম কলেজের তিন ছাত্রাবাসে ৫১৬ এবং একমাত্র ছাত্রীনিবাসে ১০৮টি আসন রয়েছে। এই হলগুলো খুলে দিতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানান কলেজ অধ্যক্ষ মো. আবুল হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেলে হলগুলো খুলে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম কলেজের পাশে অবস্থিত হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দুটি ছাত্রাবাসে আসন রয়েছে ১৬০টি।
মূলত সংঘাতের আশঙ্কার কারণেই ছাত্রাবাসগুলো চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের উপাধ্যক্ষ জোবেদা মাহমুদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হল বন্ধ থাকায় গরিব ছেলেমেয়েদের কষ্ট হচ্ছে। তাই খুলে দিতে পারলে ভালো লাগত।
যোগাযোগ করা হলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রাবাস চালুর ব্যাপারে কলেজগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয়কে কিছু জানায়নি। কর্তৃপক্ষ যদি জানায়, তাহলে সার্বিক পরিস্থিতি চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেননা, একসময় সেখানে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম হতো। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্রাবাসটি ব্যবহার–অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের হলগুলো সংস্কারের পর ব্যবহার করা যাবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি হলগুলো চালু করার উদ্যোগ নেয়, তাহলে সংস্কারকাজ অধিদপ্তর করে দেবে।
সরেজমিন
সম্প্রতি চট্টগ্রাম কলেজের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা ছাত্রাবাসে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলাবিশিষ্ট এই দুটি হলের চারটি ফটকেই তালা ঝুলছে। হলের বাইরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। প্রায় সব জানালাই ভাঙাচোরা। খসে পড়ছে পলেস্তারাও।
কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে আসা চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান নাজির কলেজের পাশের এলাকায় একটি মেসে থাকেন। থাকা ও খাওয়া মিলিয়ে মাসে চার হাজার টাকা খরচ হয়। হলে থাকলে অন্তত থাকার খরচটা বেঁচে যেত। পরিবারের ওপরও চাপ কমত।
কলেজের একমাত্র ছাত্রীনিবাস বন্ধ থাকায় বেসরকারি হোস্টেলে থাকতে হয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী নওমা আফরিনকে। তিনি বলেন, হোস্টেলে নিরাপত্তা নিয়ে সব সময় শঙ্কায় থাকতে হয়। পানির সমস্যাও লেগে থাকে। খাবারের মানও ভালো নয়। কলেজের ছাত্রীনিবাসে থাকলে সবকিছু নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যেত।
অন্যদিকে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসটিতে দেখা যায়, হলের সামনের জানালার লোহার গ্রিল দেবে গেছে। কার্নিশ আর কক্ষের দরজাগুলোও ভেঙে পড়েছে। কক্ষের ভেতরে খাট, চেয়ার, টেবিল থাকলেও তা সংস্কারের অভাবে ভেঙে যেতে বসেছে। তবে নতুন ছাত্রাবাসটির অবস্থা ভালো।
সরকারি কমার্স কলেজের বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসের অবস্থা আরও খারাপ। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, হলের ছাদ লাগোয়া বিমগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ে লোহা বেরিয়ে এসেছে। ভেঙে পড়েছে দোতলার নিরাপত্তাদেয়ালের একাংশ। হলের পাঁচটি কক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকছে হলের কয়েকজন কর্মচারীর পরিবার।
সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র সালাউদ্দিন বলেন, ছাত্রাবাসে পড়াশোনার যে পরিবেশ থাকে, তা মেসে নেই।
চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হল চালুর পক্ষে। তবে তা সুষ্ঠু ও সুন্দর ব্যবস্থাপনায় হতে হবে। আর হল পরিচালনায় কোনো প্রতিক্রিয়াশীল ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী থাকতে পারবে না।
তবে রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি চায়, তাহলে হল চালু করতে সমস্যা নেই বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি।
সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন ছাত্রের মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালের মে মাসে একমাত্র ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির। ওই দিনই চট্টগ্রাম কলেজের তিনটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীনিবাস এবং পাশের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দুটি ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী আছেন ৩৮ হাজার ৩৯৩ জন। আর বন্ধ হয়ে যাওয়া হলগুলোতে আসন আছে ১ হাজার ৩৪টি। তিন কলেজেই উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। হলগুলোতে কেউ না থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এখন সরকারি কমার্স কলেজের একমাত্র ছাত্রীনিবাস চালু আছে।
সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আইয়ুব ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রাবাস কী কারণে বন্ধ হয়েছে, তা সবাই জানেন। তাই চালু করলে আবার হয়তো হানাহানি হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ছাত্রাবাসটি জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই চাইলেও এই মুহূর্তে হল চালু করা সম্ভব নয়। ভবনটি ভেঙে নতুন করে করতে হবে।
চট্টগ্রাম কলেজের তিন ছাত্রাবাসে ৫১৬ এবং একমাত্র ছাত্রীনিবাসে ১০৮টি আসন রয়েছে। এই হলগুলো খুলে দিতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানান কলেজ অধ্যক্ষ মো. আবুল হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেলে হলগুলো খুলে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম কলেজের পাশে অবস্থিত হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দুটি ছাত্রাবাসে আসন রয়েছে ১৬০টি।
মূলত সংঘাতের আশঙ্কার কারণেই ছাত্রাবাসগুলো চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের উপাধ্যক্ষ জোবেদা মাহমুদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হল বন্ধ থাকায় গরিব ছেলেমেয়েদের কষ্ট হচ্ছে। তাই খুলে দিতে পারলে ভালো লাগত।
যোগাযোগ করা হলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রাবাস চালুর ব্যাপারে কলেজগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয়কে কিছু জানায়নি। কর্তৃপক্ষ যদি জানায়, তাহলে সার্বিক পরিস্থিতি চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেননা, একসময় সেখানে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম হতো। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্রাবাসটি ব্যবহার–অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের হলগুলো সংস্কারের পর ব্যবহার করা যাবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি হলগুলো চালু করার উদ্যোগ নেয়, তাহলে সংস্কারকাজ অধিদপ্তর করে দেবে।
সরেজমিন
সম্প্রতি চট্টগ্রাম কলেজের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা ছাত্রাবাসে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলাবিশিষ্ট এই দুটি হলের চারটি ফটকেই তালা ঝুলছে। হলের বাইরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। প্রায় সব জানালাই ভাঙাচোরা। খসে পড়ছে পলেস্তারাও।
কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে আসা চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান নাজির কলেজের পাশের এলাকায় একটি মেসে থাকেন। থাকা ও খাওয়া মিলিয়ে মাসে চার হাজার টাকা খরচ হয়। হলে থাকলে অন্তত থাকার খরচটা বেঁচে যেত। পরিবারের ওপরও চাপ কমত।
কলেজের একমাত্র ছাত্রীনিবাস বন্ধ থাকায় বেসরকারি হোস্টেলে থাকতে হয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী নওমা আফরিনকে। তিনি বলেন, হোস্টেলে নিরাপত্তা নিয়ে সব সময় শঙ্কায় থাকতে হয়। পানির সমস্যাও লেগে থাকে। খাবারের মানও ভালো নয়। কলেজের ছাত্রীনিবাসে থাকলে সবকিছু নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যেত।
অন্যদিকে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসটিতে দেখা যায়, হলের সামনের জানালার লোহার গ্রিল দেবে গেছে। কার্নিশ আর কক্ষের দরজাগুলোও ভেঙে পড়েছে। কক্ষের ভেতরে খাট, চেয়ার, টেবিল থাকলেও তা সংস্কারের অভাবে ভেঙে যেতে বসেছে। তবে নতুন ছাত্রাবাসটির অবস্থা ভালো।
সরকারি কমার্স কলেজের বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসের অবস্থা আরও খারাপ। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, হলের ছাদ লাগোয়া বিমগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ে লোহা বেরিয়ে এসেছে। ভেঙে পড়েছে দোতলার নিরাপত্তাদেয়ালের একাংশ। হলের পাঁচটি কক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকছে হলের কয়েকজন কর্মচারীর পরিবার।
সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র সালাউদ্দিন বলেন, ছাত্রাবাসে পড়াশোনার যে পরিবেশ থাকে, তা মেসে নেই।
চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হল চালুর পক্ষে। তবে তা সুষ্ঠু ও সুন্দর ব্যবস্থাপনায় হতে হবে। আর হল পরিচালনায় কোনো প্রতিক্রিয়াশীল ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী থাকতে পারবে না।
No comments