যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে
ঢাকাস্থ
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, মার্কিন ব্যবসায়ীরা সেই সব
দেশেই বিনিয়োগ করতে চান যারা স্বচ্ছতা মেনে চলে, আইনের শাসন সমুন্নত রাখে ও
ব্যক্তিগত অধিকারের সুরক্ষা দেয়। অবশ্যই ওই সব দেশে আমলাতান্ত্রিক
জটিলতাকে ‘না’ বলার সংস্কৃতি থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এমন নীতি ও
পরিবেশ থাকতে হবে যেখানে আইনের শাসন, সম্পত্তির অধিকার, শ্রম অধিকার,
স্বচ্ছতা, দুর্নীতি-বিরোধী যুদ্ধ ও টেকসই বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পাবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিপস) এবং ডেইলি স্টারের যৌথ আয়োজনে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বিষয়ক এক সেমিনারে মার্কিন দূত এসব কথা বলেন। সেমিনারের মূল ফোকাস ছিল এশিয়া অঞ্চলে মার্কিন ওই রূপকল্পের প্রভাব কী হবে? ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত ওই সেমিনারে দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, স্কলার, গবেষক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নেন। বিপস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মুনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে দেয়া বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও অভ্যন্তরীণভাবে সংযুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য প্রায় অভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র আশা করে কৌশলগত অবস্থান ও দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীতির কারণে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা সহায়তা কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করে জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে।
গত এক দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের আলোচনায় বাংলাদেশের গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, অর্থনৈতিক উন্নতি, গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মানবাধিকার একে অন্যের পরিপূরক। এগুলো পরস্পরকে শক্তিশালী করে, তা প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিষয় নয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকার প্রকল্প ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্যাট্রেজি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই রূপকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো সুষ্ঠু, ন্যায্য ও ক্রিয়াশীল শাসনকে উৎসাহিত করা।
এই অঞ্চলের অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশে শুধু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা সহযোগিতা সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহারের ক্ষমতাই বৃদ্ধি পাবে না, একই সঙ্গে দেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতাও সুরক্ষিত হবে। রাষ্ট্রদূত তার দীর্ঘ বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রকল্পের বিভিন্ন প্রেক্ষিত তুলে ধরেন। বলেন, অভিন্ন ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছতা অপরিহার্য। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ’ ঘোষণা করেছে।
প্রকল্পটিতে এই অঞ্চলের নাগরিকদের ক্ষমতায়ন, দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধ ও দেশগুলোর স্বায়ত্তশাসন জোরদার করতে সুষ্ঠু, ন্যায্য ও ক্রিয়াশীল শাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মিত্র দেশ, অংশীদার ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত এই প্রকল্পে দুই বছরে ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রায়ই আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর এই গুরুত্ব আরোপ কি চীনকে দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রচেষ্টা।
আমরা বলি, যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্পে কোনো দেশকে (কাউকেই) বাদ দেয়া হয়নি। আমরা কোনো দেশকেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি দেশকে বেছে নিতে বলিনি। চীনের ‘ডলার ফর ডলার’ নীতির সঙ্গে মানিয়ে চলা বা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মতো আরেকটি প্রকল্প তৈরি আমাদের উদ্দেশ্য না। রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, স্পষ্ট ও স্বচ্ছ নীতিমালা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো আমরাও চীনের গঠনমূলক অংশগ্রহণকে স্বাগত জানাই। আমরা সব দেশের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক আইনসম্মত বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।
বিশ্বব্যাংক বা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) যেমনটি করেছে। তিনি বলেন, ধারণা করা হয়, এই অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৬ ট্রিলিয়ন ডলার দরকার হবে। কোনো একক দেশের পক্ষে এই বিনিয়োগ করা সম্ভব না। এর বেশির ভাগই আসবে বেসরকারি খাত থেকে। যুক্তরাষ্ট্র মুক্তবাজার নীতি ও উদ্ভাবনে বিশ্বাস করে। তারা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে বেসরকারি খাতকে সর্বোত্তম উপায় বলে মনে করে। এই দৃষ্টিভঙ্গি কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেক দেশে নজিরবিহীন সমৃদ্ধি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বয়ে এনেছে। মার্কিন সরকারের টার্গেটকৃত ব্যয়ের উদ্দেশ্য হলো বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবসাকে আরো গতিশীল করা। এর মাধ্যমে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, সব দেশের উচিত বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানোর পরিবেশ তৈরি করা। যা নিজস্ব অর্থনীতিতে তাদের উৎপাদনশীল তৎপরতা চালানোর সুযোগ নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিপস) এবং ডেইলি স্টারের যৌথ আয়োজনে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বিষয়ক এক সেমিনারে মার্কিন দূত এসব কথা বলেন। সেমিনারের মূল ফোকাস ছিল এশিয়া অঞ্চলে মার্কিন ওই রূপকল্পের প্রভাব কী হবে? ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত ওই সেমিনারে দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, স্কলার, গবেষক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নেন। বিপস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মুনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে দেয়া বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও অভ্যন্তরীণভাবে সংযুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য প্রায় অভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র আশা করে কৌশলগত অবস্থান ও দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীতির কারণে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা সহায়তা কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করে জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে।
গত এক দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের আলোচনায় বাংলাদেশের গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, অর্থনৈতিক উন্নতি, গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মানবাধিকার একে অন্যের পরিপূরক। এগুলো পরস্পরকে শক্তিশালী করে, তা প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিষয় নয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকার প্রকল্প ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্যাট্রেজি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই রূপকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো সুষ্ঠু, ন্যায্য ও ক্রিয়াশীল শাসনকে উৎসাহিত করা।
এই অঞ্চলের অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশে শুধু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা সহযোগিতা সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহারের ক্ষমতাই বৃদ্ধি পাবে না, একই সঙ্গে দেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতাও সুরক্ষিত হবে। রাষ্ট্রদূত তার দীর্ঘ বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রকল্পের বিভিন্ন প্রেক্ষিত তুলে ধরেন। বলেন, অভিন্ন ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছতা অপরিহার্য। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ’ ঘোষণা করেছে।
প্রকল্পটিতে এই অঞ্চলের নাগরিকদের ক্ষমতায়ন, দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধ ও দেশগুলোর স্বায়ত্তশাসন জোরদার করতে সুষ্ঠু, ন্যায্য ও ক্রিয়াশীল শাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মিত্র দেশ, অংশীদার ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত এই প্রকল্পে দুই বছরে ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রায়ই আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর এই গুরুত্ব আরোপ কি চীনকে দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রচেষ্টা।
আমরা বলি, যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্পে কোনো দেশকে (কাউকেই) বাদ দেয়া হয়নি। আমরা কোনো দেশকেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি দেশকে বেছে নিতে বলিনি। চীনের ‘ডলার ফর ডলার’ নীতির সঙ্গে মানিয়ে চলা বা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মতো আরেকটি প্রকল্প তৈরি আমাদের উদ্দেশ্য না। রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, স্পষ্ট ও স্বচ্ছ নীতিমালা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো আমরাও চীনের গঠনমূলক অংশগ্রহণকে স্বাগত জানাই। আমরা সব দেশের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক আইনসম্মত বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।
বিশ্বব্যাংক বা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) যেমনটি করেছে। তিনি বলেন, ধারণা করা হয়, এই অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৬ ট্রিলিয়ন ডলার দরকার হবে। কোনো একক দেশের পক্ষে এই বিনিয়োগ করা সম্ভব না। এর বেশির ভাগই আসবে বেসরকারি খাত থেকে। যুক্তরাষ্ট্র মুক্তবাজার নীতি ও উদ্ভাবনে বিশ্বাস করে। তারা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে বেসরকারি খাতকে সর্বোত্তম উপায় বলে মনে করে। এই দৃষ্টিভঙ্গি কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেক দেশে নজিরবিহীন সমৃদ্ধি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বয়ে এনেছে। মার্কিন সরকারের টার্গেটকৃত ব্যয়ের উদ্দেশ্য হলো বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবসাকে আরো গতিশীল করা। এর মাধ্যমে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, সব দেশের উচিত বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানোর পরিবেশ তৈরি করা। যা নিজস্ব অর্থনীতিতে তাদের উৎপাদনশীল তৎপরতা চালানোর সুযোগ নিশ্চিত করবে।
No comments