জিতে গেছেন মোদি ও ইমরান
একটি
উদ্বেগজনক সংঘর্ষের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরাজমান অবস্থা শান্ত
হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর ফলে দুই দেশের নেতা শক্তিশালী হয়ে আবির্ভূত
হয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর জাতীয়তাবাদী তকমার ভিত
মজবুত করেছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শান্তির বাহক হিসেবে
আবির্ভূত হয়েছেন।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রায় চার লাখ মানুষ অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। এদিকে ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানভিত্তিক একটি জঙ্গিগোষ্ঠী কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) বহরে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ওই হামলায় সিআরপিএফের ৪০ জওয়ান নিহত হন। ওই আত্মঘাতী হামলার পর ভারতের যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরে হামলা চালায়। নয়াদিল্লির ভাষ্য, সেখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। এই বিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় বাহিনীর অন্তত একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এ ছাড়া ওই বিমানের পাইলটকেও আটক করে পাকিস্তান। ভারত বলেছিল, তারাও পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যদিও ভারতের এই দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে ওই বৈমানিককে ছেড়ে দেওয়ার এক চমকপ্রদ ঘোষণা দেন ইমরান খান। ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ’ নেওয়ার জন্য এ ঘোষণা দেন তিনি। পরে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাবর্ষণের মধ্যেই গত শুক্রবার ওই বৈমানিককে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান। ইমরান খানের এ উদ্যোগ দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধীদের এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নিরস্ত্র করে ফেলে। দ্য নিউজ ডেইলিতে লেখা হয়, ‘অনন্য অমায়িকতা...সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে।’
বিশ্লেষক মোশারফ জাইদি বলেন, এর মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি একজন যুদ্ধবাজ ক্ষুদ্র নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ইমরান হয়ে উঠেছেন রাষ্ট্রনায়ক। পাকিস্তানের পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন–এর নির্বাহী পরিচালক ফাহদ হুসাইন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমারনের এ উদ্যোগ ছিল ‘খুব সুখকর চমকপ্রদ’ ঘোষণা। তিনি বলেন, নৃশংস পথে হাঁটা তাঁর জন্য খুব সহজ ছিল। মানুষ তাঁর প্রশংসাও করত।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের হুমা ইউসুফ বলেন, ওই ঘটনা ইমরান খান সুকৌশলে সামলেছেন। তবে তিনি এ ঘটনা যেভাবেই সামলে থাকেন না কেন, এ সংঘর্ষের কারণে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কে আরও অবনমন হয়েছে।
এদিকে কেউ হয়তো মোদির জন্য নোবেল পুরস্কার দাবি করেননি। কিন্তু রাজনীতির মাঠে তিনি বেশ কিছু পয়েন্ট অর্জন করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পয়েন্ট তাঁর জন্য বেশ দরকার ছিল।
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখমন্ত্রী মোদির সমালোচক ওমর আবদুল্লাহও নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন। ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক তাভলিন মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস–এর কলামে তিনি লিখেছেন, ‘পুলওয়ামার ঘটনা পর ভারত যদি কোনো পদক্ষেপ না নিত, তবে আমি হয়তো খেপে যেতাম এবং লজ্জিত হতাম।’
অনেক নির্বাচন বিশ্লেষক বলেছেন, নির্বাচনের আগে মোদির যা দরকার ছিল, এই বিমান হামলার মাধ্যমে তিনি তাই পেয়েছেন।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রায় চার লাখ মানুষ অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। এদিকে ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানভিত্তিক একটি জঙ্গিগোষ্ঠী কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) বহরে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ওই হামলায় সিআরপিএফের ৪০ জওয়ান নিহত হন। ওই আত্মঘাতী হামলার পর ভারতের যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরে হামলা চালায়। নয়াদিল্লির ভাষ্য, সেখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। এই বিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় বাহিনীর অন্তত একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এ ছাড়া ওই বিমানের পাইলটকেও আটক করে পাকিস্তান। ভারত বলেছিল, তারাও পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যদিও ভারতের এই দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে ওই বৈমানিককে ছেড়ে দেওয়ার এক চমকপ্রদ ঘোষণা দেন ইমরান খান। ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ’ নেওয়ার জন্য এ ঘোষণা দেন তিনি। পরে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাবর্ষণের মধ্যেই গত শুক্রবার ওই বৈমানিককে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান। ইমরান খানের এ উদ্যোগ দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধীদের এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নিরস্ত্র করে ফেলে। দ্য নিউজ ডেইলিতে লেখা হয়, ‘অনন্য অমায়িকতা...সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে।’
বিশ্লেষক মোশারফ জাইদি বলেন, এর মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি একজন যুদ্ধবাজ ক্ষুদ্র নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ইমরান হয়ে উঠেছেন রাষ্ট্রনায়ক। পাকিস্তানের পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন–এর নির্বাহী পরিচালক ফাহদ হুসাইন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমারনের এ উদ্যোগ ছিল ‘খুব সুখকর চমকপ্রদ’ ঘোষণা। তিনি বলেন, নৃশংস পথে হাঁটা তাঁর জন্য খুব সহজ ছিল। মানুষ তাঁর প্রশংসাও করত।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের হুমা ইউসুফ বলেন, ওই ঘটনা ইমরান খান সুকৌশলে সামলেছেন। তবে তিনি এ ঘটনা যেভাবেই সামলে থাকেন না কেন, এ সংঘর্ষের কারণে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কে আরও অবনমন হয়েছে।
এদিকে কেউ হয়তো মোদির জন্য নোবেল পুরস্কার দাবি করেননি। কিন্তু রাজনীতির মাঠে তিনি বেশ কিছু পয়েন্ট অর্জন করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পয়েন্ট তাঁর জন্য বেশ দরকার ছিল।
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখমন্ত্রী মোদির সমালোচক ওমর আবদুল্লাহও নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন। ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক তাভলিন মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস–এর কলামে তিনি লিখেছেন, ‘পুলওয়ামার ঘটনা পর ভারত যদি কোনো পদক্ষেপ না নিত, তবে আমি হয়তো খেপে যেতাম এবং লজ্জিত হতাম।’
অনেক নির্বাচন বিশ্লেষক বলেছেন, নির্বাচনের আগে মোদির যা দরকার ছিল, এই বিমান হামলার মাধ্যমে তিনি তাই পেয়েছেন।
No comments