হুমকির মুখে খাগড়াছড়ির মহামুনি বিহার
খাগড়াছড়ির
মানিকছড়িতে শতবর্ষী বিশ্বশান্তি রাজ মহামুনি বৌদ্ধ চৈত্য মন্দির ধ্বংসের
পথে। সংরক্ষণের অভাবে ঐতিহাসিক এই মন্দিরটি কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে।
একই সঙ্গে মং সার্কেলের রাজপরিবারের স্মৃতি হিসেবে গড়ে তোলা মিনারগুলো
ক্ষয়ে যাচ্ছে। কালের সাক্ষী এই বিহার ও মিনারের রক্ষার দাবি জানিয়েছেন
এলাকাবাসী।
স্থানীয় লোকজন ও মং রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৮৮৩ সালে তৎকালীন মংরাজা নিপ্রু সাইন বাহাদুর (পঞ্চম) বিশ্বশান্তি রাজ মহামুনি বৌদ্ধ চৈত্য নামে রাজবাড়ির অদূরে মানিকছড়ি ছড়ার পাড়ে এই বিহারটি নির্মাণ করেন। বিহারের নাম অনুসারে ওই এলাকাটির নাম হয় মহামুনি। বিহারটি নির্মাণের পর থেকে প্রতিবছর পয়লা বৈশাখে বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৌদ্ধমেলা বসে। সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় হাজার প্রদীপ। মেলায় জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সমাগম হয়। তা ছাড়া এই বিহারের চারপাশে রয়েছে মংরাজা নিপ্রু সাইন বাহাদুর, রানি নিহার দেবীসহ রাজপরিবারের মৃতদের উদ্দেশে তৈরি মিনার।
সম্প্রতি মানিকছড়ি উপজেলা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে মহামুনি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শত বছর বয়সের বট, পাকুড়গাছ, কাঠগোলাপ, বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছ-গাছালির ঘেরা শতবর্ষী এই বিহার। বিহারের চারপাশে বাগানের ভেতরেই রয়েছে রাজপরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের তৈরি মিনার। মিনারগুলোর বেশির ভাগেই দেখা দিয়েছে ভাঙন। কয়েকটি ভাঙা মিনারে মাঝে বটের চারাও গজিয়েছে। দেয়ালঘেরা একতলা তিন কক্ষবিশিষ্ট বিহারের প্রবেশদ্বারে রয়েছে দুটি সিংহের মূর্তি। বিহারের ভেতরে প্রথম কক্ষে রয়েছে শত বছরের ছোট–বড় বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মূর্তি। আর বাকি দুটি কক্ষে বসবাস করেন কয়েকজন শ্রমণ।
বসবাসরত শ্রমণেরা বলেন, সংস্কার না করায় বৃষ্টি হলে বিহারে দেয়াল বেয়ে পানি পড়ে। দেয়ালে ফাটলও দেখা দিয়েছে। কয়েক বছর পর হয়তো দেয়াল ধসে পড়বে।
মনিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা বলেন, কালের সাক্ষী ঐতিহ্যবাহী এই বিহারটি রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজপরিবারের সদস্যদের মাঝে কোনো ঐক্য না থাকায় এটি রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় সাংবাদিক মিন্টু মারমা বলেন, পুরাকীর্তি ও স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে বিহার ও মিনার রক্ষা জরুরি। রাজপরিবারের মিনারগুলো আজ ধ্বংসের পথে। এটি মংরাজার ইতিহাস বহন করেছে।
মংরাজা নিপ্রু সাইন বাহাদুরের বংশধর পার্সিয়েল সাইন বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী বিহারটি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। জেলা পরিষদ কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যদি এগিয়ে আসে তাহলে বিহারটি রক্ষা পাবে।’
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, কেউ যদি এই ব্যাপারে জেলা পরিষদে আবেদন করে তাহলে জেলা পরিষদ থেকে বিহার ও মিনারগুলো রক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন ও মং রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৮৮৩ সালে তৎকালীন মংরাজা নিপ্রু সাইন বাহাদুর (পঞ্চম) বিশ্বশান্তি রাজ মহামুনি বৌদ্ধ চৈত্য নামে রাজবাড়ির অদূরে মানিকছড়ি ছড়ার পাড়ে এই বিহারটি নির্মাণ করেন। বিহারের নাম অনুসারে ওই এলাকাটির নাম হয় মহামুনি। বিহারটি নির্মাণের পর থেকে প্রতিবছর পয়লা বৈশাখে বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৌদ্ধমেলা বসে। সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় হাজার প্রদীপ। মেলায় জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সমাগম হয়। তা ছাড়া এই বিহারের চারপাশে রয়েছে মংরাজা নিপ্রু সাইন বাহাদুর, রানি নিহার দেবীসহ রাজপরিবারের মৃতদের উদ্দেশে তৈরি মিনার।
সম্প্রতি মানিকছড়ি উপজেলা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে মহামুনি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শত বছর বয়সের বট, পাকুড়গাছ, কাঠগোলাপ, বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছ-গাছালির ঘেরা শতবর্ষী এই বিহার। বিহারের চারপাশে বাগানের ভেতরেই রয়েছে রাজপরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের তৈরি মিনার। মিনারগুলোর বেশির ভাগেই দেখা দিয়েছে ভাঙন। কয়েকটি ভাঙা মিনারে মাঝে বটের চারাও গজিয়েছে। দেয়ালঘেরা একতলা তিন কক্ষবিশিষ্ট বিহারের প্রবেশদ্বারে রয়েছে দুটি সিংহের মূর্তি। বিহারের ভেতরে প্রথম কক্ষে রয়েছে শত বছরের ছোট–বড় বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মূর্তি। আর বাকি দুটি কক্ষে বসবাস করেন কয়েকজন শ্রমণ।
বসবাসরত শ্রমণেরা বলেন, সংস্কার না করায় বৃষ্টি হলে বিহারে দেয়াল বেয়ে পানি পড়ে। দেয়ালে ফাটলও দেখা দিয়েছে। কয়েক বছর পর হয়তো দেয়াল ধসে পড়বে।
মনিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা বলেন, কালের সাক্ষী ঐতিহ্যবাহী এই বিহারটি রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজপরিবারের সদস্যদের মাঝে কোনো ঐক্য না থাকায় এটি রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় সাংবাদিক মিন্টু মারমা বলেন, পুরাকীর্তি ও স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে বিহার ও মিনার রক্ষা জরুরি। রাজপরিবারের মিনারগুলো আজ ধ্বংসের পথে। এটি মংরাজার ইতিহাস বহন করেছে।
মংরাজা নিপ্রু সাইন বাহাদুরের বংশধর পার্সিয়েল সাইন বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী বিহারটি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। জেলা পরিষদ কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যদি এগিয়ে আসে তাহলে বিহারটি রক্ষা পাবে।’
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, কেউ যদি এই ব্যাপারে জেলা পরিষদে আবেদন করে তাহলে জেলা পরিষদ থেকে বিহার ও মিনারগুলো রক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments