ঐক্যের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করছে আওয়ামী লীগ by কাজী সোহাগ
চলমান
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, তফসিলের আগে সংসদ
ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যে দাবি তুলেছে
তা মানা সম্ভব নয় বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে, এ পর্যন্ত জাতীয়
ঐক্য প্রক্রিয়ার কর্মসূচিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন দলটির নেতারা। তারা
বলছেন, দেশে যে একটি নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার
কর্মসূচিতেই তা প্রমাণ হয়। তবে, তারা যেসব দাবি তুলেছে নির্বাচনের ঠিক আগ
মুহূর্তে এসব দাবি অযৌক্তিক। দলটির নেতারা বলছেন নতুন এ রাজনৈতিক জোটের
কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তারা কি ধরনের কর্মসূচি দেয় সেটা
এখন দেখার বিষয়। বিরোধী জোট যদি সহিংস আন্দোলনের দিকে যায় তাহলে জনগণ ও
সরকার তার ব্যবস্থা নেবে। জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে বিএনপি থাকায় তাদের মূল
উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, দেশের
অন্যতম বড় দল আওয়ামী লীগ। অথচ জাতীয় ঐক্যে আওয়ামী লীগ নেই।
তাহলে এটা কিসের জাতীয় ঐক্য হলো। দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচন সামনে রেখে নতুন জোটের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিতে কেন্দ্র থেকেই বলা হয়েছে। তবে, নতুন এ জোট গঠনের প্রক্রিয়া সামনে নির্বাচন বিষয়ে আওয়ামী লীগের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন নেতারা। আর তাই নির্বাচন সামনে রেখে ১৪ দলের বাইরে আরো কিছু রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতাসীন জোটে নিয়ে আসার চিন্তা চলছে। বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে মিলে নির্বাচনে আসলে এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলও বড় জোট নিয়েই নির্বাচনের মাঠে নামতে চায়। এদিকে, এই মুুহূর্তে জোট মহাজোটের চেয়ে দলীয় প্রচার প্রচারণার ওপর জোর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী সভা সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে কেন্দ্রীয় নেতারা সারা দেশে সফর শুরু করেছেন। নির্বাচন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
শনিবার ডান-বাম-মধ্যপন্থি সব ধারার দলের নেতাদেরই দেখা গেছে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে। ওই সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি সাত দিনের একটি আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য। বলা হয়েছে দাবি মানা না হলে ১লা অক্টোবর থেকে সারা দেশে সভা সমাবেশের কর্মসূচি দেয়া হবে। নির্বাচন আর রাজবন্দিদের মুক্তির ইস্যুতে অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সমাবেশ থেকে।
এদিকে, জাতীয় ঐক্যের গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে যে ঐক্য হবে, তা হবে জাতীয়তাবাদী সামপ্রদায়িক ঐক্য। এই ধরনের ঐক্য জনগণের মধ্যে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এতদিন জোট গঠন প্রক্রিয়ার রাজনীতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সূচনাতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই প্ল্যাটফর্মে বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি ও নাগরিক সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি উঠে আসায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ষড়যন্ত্র দেখছে তারা।
দলটির নেতারা মনে করছেন, নাগরিক সমাবেশে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তুলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে জাতির কাছে। তাই এই ঐক্য প্রক্রিয়া জাতির কাছে তার আবেদন হারিয়ে ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান গতকাল মানবজমিনকে বলেন, আওয়ামী লীগকে ছাড়া তো আর জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। আগামী কয়েক দিন তাদের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তখন স্পষ্ট হবে এটা কি সন্ত্রাসীদের ঐক্য হলো, যুদ্ধাপরাধীদের ঐক্য হলো, বিরোধী দলের ঐক্য হলো না কি সংবিধান বিরোধীদের ঐক্য হলো।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে যুক্তফ্রন্টকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। যদি যুক্তফ্রন্টের উদ্দেশ্য হয় আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক করার তাহলে আমরা তাকে সমর্থন করি। আর যদি যুক্তফ্রন্ট বা জাতীয় ঐক্য নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে, ষড়যন্ত্র করে, সংবিধান নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাহলে দেশের জনগণ ও সরকার সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। তাদের কর্মসূচি প্রসঙ্গে ফারুক খান বলেন, আন্দোলন হচ্ছে গণতন্ত্রের অংশ। জনগণকে নিয়ে তো আন্দোলন করতে হবে। তারা অতীতে যে সহিংস আন্দোলন করেছে তা আমরা দেখেছি। ওই ধরনের সহিংস আন্দোলনও তারা করতে পারে। তাহলে আওয়ামী লীগের করার কিছু নেই। সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্রাচার্য মানবজমিনকে বলেন, সবচেয়ে বড় দল আওয়ামী লীগ। সেই দলকে বাদ দিয়ে তো জাতীয় ঐক্য হবে না।
যেটা হয়েছে ওটাকে জাতীয় ঐক্য বলে না। ওই ঐক্যে যারা আছেন তাদের বেশিরভাগেরই কোনো দলই নেই। ড. কামাল হোসেনের মতো অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি তার কোনো দল নেই। ৫-৭ জন কেউ নির্বাচনে পাস করে না। বিএনপির আমলে যিনি প্রেসিডেন্ট (ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী) ছিলেন উনার অবস্থাও তাই। এর বাইরে যারা আছেন তারা কেউই কোনো সময় পাস করার মতো নন। তাই এটাকে জাতীয় ঐক্য বলা যায় না। জাতীয় ঐক্যের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা যেসব দাবি জানিয়েছেন বিশেষ করে ৩০ তারিখের মধ্যে এটা করতে হবে, সেটা করতে হবে- এগুলো আসলে মানা সম্ভব না। কারণ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সেখানে তাদের ওই শর্ত আমরা মানতে রাজি না। তিনি বলেন, যে আলোচনাই হোক আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় রয়েছে এবং তাকে (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় রেখেই নির্বাচন হবে। এর বাইরে আমাদের সংবিধানের বহির্ভূত কোনো জিনিস আমরা মেনে নেব না।
তাহলে এটা কিসের জাতীয় ঐক্য হলো। দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচন সামনে রেখে নতুন জোটের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিতে কেন্দ্র থেকেই বলা হয়েছে। তবে, নতুন এ জোট গঠনের প্রক্রিয়া সামনে নির্বাচন বিষয়ে আওয়ামী লীগের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন নেতারা। আর তাই নির্বাচন সামনে রেখে ১৪ দলের বাইরে আরো কিছু রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতাসীন জোটে নিয়ে আসার চিন্তা চলছে। বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে মিলে নির্বাচনে আসলে এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলও বড় জোট নিয়েই নির্বাচনের মাঠে নামতে চায়। এদিকে, এই মুুহূর্তে জোট মহাজোটের চেয়ে দলীয় প্রচার প্রচারণার ওপর জোর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী সভা সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে কেন্দ্রীয় নেতারা সারা দেশে সফর শুরু করেছেন। নির্বাচন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
শনিবার ডান-বাম-মধ্যপন্থি সব ধারার দলের নেতাদেরই দেখা গেছে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে। ওই সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি সাত দিনের একটি আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য। বলা হয়েছে দাবি মানা না হলে ১লা অক্টোবর থেকে সারা দেশে সভা সমাবেশের কর্মসূচি দেয়া হবে। নির্বাচন আর রাজবন্দিদের মুক্তির ইস্যুতে অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সমাবেশ থেকে।
এদিকে, জাতীয় ঐক্যের গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে যে ঐক্য হবে, তা হবে জাতীয়তাবাদী সামপ্রদায়িক ঐক্য। এই ধরনের ঐক্য জনগণের মধ্যে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এতদিন জোট গঠন প্রক্রিয়ার রাজনীতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সূচনাতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই প্ল্যাটফর্মে বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি ও নাগরিক সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি উঠে আসায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ষড়যন্ত্র দেখছে তারা।
দলটির নেতারা মনে করছেন, নাগরিক সমাবেশে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তুলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে জাতির কাছে। তাই এই ঐক্য প্রক্রিয়া জাতির কাছে তার আবেদন হারিয়ে ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান গতকাল মানবজমিনকে বলেন, আওয়ামী লীগকে ছাড়া তো আর জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। আগামী কয়েক দিন তাদের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তখন স্পষ্ট হবে এটা কি সন্ত্রাসীদের ঐক্য হলো, যুদ্ধাপরাধীদের ঐক্য হলো, বিরোধী দলের ঐক্য হলো না কি সংবিধান বিরোধীদের ঐক্য হলো।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে যুক্তফ্রন্টকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। যদি যুক্তফ্রন্টের উদ্দেশ্য হয় আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক করার তাহলে আমরা তাকে সমর্থন করি। আর যদি যুক্তফ্রন্ট বা জাতীয় ঐক্য নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে, ষড়যন্ত্র করে, সংবিধান নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাহলে দেশের জনগণ ও সরকার সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। তাদের কর্মসূচি প্রসঙ্গে ফারুক খান বলেন, আন্দোলন হচ্ছে গণতন্ত্রের অংশ। জনগণকে নিয়ে তো আন্দোলন করতে হবে। তারা অতীতে যে সহিংস আন্দোলন করেছে তা আমরা দেখেছি। ওই ধরনের সহিংস আন্দোলনও তারা করতে পারে। তাহলে আওয়ামী লীগের করার কিছু নেই। সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্রাচার্য মানবজমিনকে বলেন, সবচেয়ে বড় দল আওয়ামী লীগ। সেই দলকে বাদ দিয়ে তো জাতীয় ঐক্য হবে না।
যেটা হয়েছে ওটাকে জাতীয় ঐক্য বলে না। ওই ঐক্যে যারা আছেন তাদের বেশিরভাগেরই কোনো দলই নেই। ড. কামাল হোসেনের মতো অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি তার কোনো দল নেই। ৫-৭ জন কেউ নির্বাচনে পাস করে না। বিএনপির আমলে যিনি প্রেসিডেন্ট (ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী) ছিলেন উনার অবস্থাও তাই। এর বাইরে যারা আছেন তারা কেউই কোনো সময় পাস করার মতো নন। তাই এটাকে জাতীয় ঐক্য বলা যায় না। জাতীয় ঐক্যের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা যেসব দাবি জানিয়েছেন বিশেষ করে ৩০ তারিখের মধ্যে এটা করতে হবে, সেটা করতে হবে- এগুলো আসলে মানা সম্ভব না। কারণ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সেখানে তাদের ওই শর্ত আমরা মানতে রাজি না। তিনি বলেন, যে আলোচনাই হোক আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় রয়েছে এবং তাকে (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় রেখেই নির্বাচন হবে। এর বাইরে আমাদের সংবিধানের বহির্ভূত কোনো জিনিস আমরা মেনে নেব না।
No comments