ইরানে সামরিক মহড়ায় হামলা চালালো কে?
ইরানের
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাজে সামরিক মহড়ায় হামলা চালিয়েছে এক
বন্দুকধারী। ওই হামলায় নিহত হয়েছে এক শিশু ও সাংবাদিক সহ ২৫ জন। এর
প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন,
আমেরিকার পুতুল রাষ্ট্রগুলো ইরানে নিরাপত্তাহীনতা তৈরির চেষ্টা করছে। তবে
হামলার দায় স্বীকার করেছে সরকার-বিরোধী আরব সশস্ত্র গোষ্ঠী আহভাজ ন্যাশনাল
রেসিস্ট্যান্স। কিছুক্ষণ পর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার
করে। তবে কোনো গোষ্ঠীই এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখায়নি। এ খবর দিয়েছে
বিবিসি।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেন, একটি বিদেশী রাষ্ট্রের অর্থপুষ্ট সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই হামলার জন্য আঞ্চলিক সন্ত্রাস-পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রসমূহ ও তাদের প্রভু যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে ইরান।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলার পর যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে ইরান। এই দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইরানের সরকার-বিরোধী গোষ্ঠীসমূহকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ করছে দেশটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলা চালায়নি বলে এই সংগঠনগুলোকে এখনও ইউরোপিয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেনি। এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় নিহতদের প্রায় অর্ধেক হলো ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর সদস্য।
এর আগে ইরান দেশটির সংখ্যালঘু আরবদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকান্ডে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের বিরুদ্ধে।
কারা আদতে এই হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে সাংঘর্ষিক দাবি রয়েছে। ইরানের খুজেস্তানে আরব সংখ্যালঘুদের অধিকারের স্বপক্ষে এমন সশস্ত্র কিছু গোষ্ঠীর সংগঠন আহভাজ ন্যাশনাল রেসিস্টেন্স এই হামলার দায় স্বীকার করে প্রথমে। সংগঠনটির মুখপাত্র বলেন, তারাই হামলার নেপথ্যে। কিন্তু এই হামলা তারাই চালিয়েছেন কিনা সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি। পাশাপাশি তাদের সংগঠনের সঙ্গে বিদেশী কোনো রাষ্ট্রের যোগসাজশ রয়েছে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
অপরদিকে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’র আমাক বার্তাসংস্থা দাবি করেছে, হামলা চালিয়েছে আইএস। তবে এই দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি তারা। অবশ্য এর আগে ইরানে আরও একটি বড় হামলা চালিয়েছে আইএস। গত বছরের জুনে ইরানের পার্লামেন্ট ও ইসলামিক রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে আত্মঘাতি হামলা চালায় একাধিক আইএস সদস্য। ওই হামলায় ১৮ জন নিহত হয়।
ইরানের সরকারী ও সামরিক কর্মকর্তারা উপসাগরীয় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দিকে আঙ্গুল তাক করেছেন। এই সবগুলো দেশের সঙ্গেই ইরানের দীর্ঘদিনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর এক মুখপাত্র দাবি করেন, হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ ও সংগঠিত করেছে দু’টি উপসাগরীয় দেশ। এটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
তবে এ নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি যুক্তরাষ্ট্র বা উপসাগরীয় কোনো দেশ। তবে সংঘাত-কবলিত ইয়েমেনে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদেরকে ইরান সমর্থন দিচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের অভিযোগ করে আসছে। ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বুহ মনসুর হাদির সরকারের পক্ষে সামরিকভাবে সক্রিয় আছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেন, একটি বিদেশী রাষ্ট্রের অর্থপুষ্ট সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই হামলার জন্য আঞ্চলিক সন্ত্রাস-পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রসমূহ ও তাদের প্রভু যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে ইরান।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলার পর যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে ইরান। এই দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইরানের সরকার-বিরোধী গোষ্ঠীসমূহকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ করছে দেশটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলা চালায়নি বলে এই সংগঠনগুলোকে এখনও ইউরোপিয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেনি। এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় নিহতদের প্রায় অর্ধেক হলো ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর সদস্য।
এর আগে ইরান দেশটির সংখ্যালঘু আরবদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকান্ডে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের বিরুদ্ধে।
কারা আদতে এই হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে সাংঘর্ষিক দাবি রয়েছে। ইরানের খুজেস্তানে আরব সংখ্যালঘুদের অধিকারের স্বপক্ষে এমন সশস্ত্র কিছু গোষ্ঠীর সংগঠন আহভাজ ন্যাশনাল রেসিস্টেন্স এই হামলার দায় স্বীকার করে প্রথমে। সংগঠনটির মুখপাত্র বলেন, তারাই হামলার নেপথ্যে। কিন্তু এই হামলা তারাই চালিয়েছেন কিনা সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি। পাশাপাশি তাদের সংগঠনের সঙ্গে বিদেশী কোনো রাষ্ট্রের যোগসাজশ রয়েছে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
অপরদিকে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’র আমাক বার্তাসংস্থা দাবি করেছে, হামলা চালিয়েছে আইএস। তবে এই দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি তারা। অবশ্য এর আগে ইরানে আরও একটি বড় হামলা চালিয়েছে আইএস। গত বছরের জুনে ইরানের পার্লামেন্ট ও ইসলামিক রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে আত্মঘাতি হামলা চালায় একাধিক আইএস সদস্য। ওই হামলায় ১৮ জন নিহত হয়।
ইরানের সরকারী ও সামরিক কর্মকর্তারা উপসাগরীয় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দিকে আঙ্গুল তাক করেছেন। এই সবগুলো দেশের সঙ্গেই ইরানের দীর্ঘদিনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর এক মুখপাত্র দাবি করেন, হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ ও সংগঠিত করেছে দু’টি উপসাগরীয় দেশ। এটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
তবে এ নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি যুক্তরাষ্ট্র বা উপসাগরীয় কোনো দেশ। তবে সংঘাত-কবলিত ইয়েমেনে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদেরকে ইরান সমর্থন দিচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের অভিযোগ করে আসছে। ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বুহ মনসুর হাদির সরকারের পক্ষে সামরিকভাবে সক্রিয় আছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
No comments