‘দিল্লির দাওয়াতে’ এসে কী করেন বাংলাদেশের নেতারা? by রঞ্জন বসু
বাংলাদেশে
নির্বাচনের বছর এটা। আর ভোটের কয়েক মাস আগে থেকেই ভারতে আসতে শুরু করেছেন
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতারা। তুলনায় বড় দলগুলো যেমন আসছে,
তেমনি তরিকত ফেডারেশন বা জাকের পার্টির মতো ছোট দলগুলোও বাদ পড়ছে না।
কিন্তু দিল্লিতে ঠিক কী ধরনের কর্মসূচি নিয়ে আসছেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা? ভোটের বছরে ভারতের রাজধানীতে এসে ভারতীয় নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের আদৌ কি কোনও লাভ হচ্ছে?
প্রথম কথা হলো, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের এই নেতারা দিল্লি আসছেন ভারতেরই আমন্ত্রণে। কখনও আমন্ত্রণটা জানাচ্ছে ভারত সরকার নিজে (যেমন জেনারেল এরশাদের বাড়িতে গিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা), কখনও বা ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা আইসিসিআর (সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বা জাকের পার্টির নেতৃত্বকে তারাই দাওয়াত দিয়েছিল।)
আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধিদলটি দিল্লি ঘুরে গেল, তারা এসেছিলেন ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে। গত জুনের গোড়ায় বিএনপির তিন নেতার বহুচর্চিত ভারত সফর ছিল সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে।
দিল্লিতে পা রাখার পর এই নেতাদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক একরকম অবধারিত। বাংলাদেশের নেতাদের ওজন বুঝে কখনও সেই বৈঠক হয় ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সঙ্গে, আবার কখনও বা প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে।
অর্থাৎ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে এইচ এম এরশাদ কিংবা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে এইচ টি ইমামরা যখন সুষমা স্বরাজ-রাজনাথ সিংদের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় বসছেন, তখন তরিকত ফেডারেশনের নেতৃত্বকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে অথবা জাকের পার্টির নেতাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের সঙ্গে বৈঠকে বসতে দেখা যাচ্ছে।
এম জে আকবর বহুদিন ধরেই অবশ্য সরকারের হয়ে বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স দেখাশুনো করছেন। পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার এই বাংলাভাষী রাজনীতিবিদ আগে কলকাতার ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা এলে তাদের সঙ্গে খোলাখুলি বাংলায় কথা বলতে পারেন তিনি। কাজেই সাউথ ব্লকে তার দফতর ঢাকার রাজনীতিবিদদের কাছে প্রায় একটা ‘মাস্ট ভিজিট’।
এইচ এম এরশাদ, এইচ টি ইমাম বা ওবায়দুল কাদেরের মতো ওজনদার নেতারা দিল্লি এলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও তাদের বৈঠক হচ্ছেই ধরে নেওয়া যায়।
অন্য দিকে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার কাজটা যিনি করে থাকেন, তিনি আর কেউ নন; দলের অতি প্রভাবশালী সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। অন্ধ্রের এই তেলুগুভাষী নেতা বহুদিন আরএসএসের মুখপাত্র ছিলেন, এখন আরএসএস থেকেই তাকে বিজেপিতে ‘ডেপুটেশনে’ পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে যে দলের নেতারাই আসুন, রাম মাধবের সঙ্গে বৈঠক ছাড়া তাদের ভারত সফর কার্যত অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
সাম্প্রতিক অতীতে বারে বারেই দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে যে নেতারাই আসুন না কেন, তারা হয় রাম মাধবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন, কিংবা দিল্লিতে তার থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে’র মতবিনিময়ে যোগ দিচ্ছেন। অথবা দুটোই।
বিজেপির অন্যান্য নেতাদের মধ্যে দলের সহ-সভাপতি বিনয় সহস্রবুদ্ধে (যিনি আইসিসিআরের প্রেসিডেন্টও বটে), রাম লাল কিংবা বিজেপি পলিসি রিসার্চ সেলের অনির্বাণ গাঙ্গুলিও বাংলাদেশি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
দিল্লির আরও একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, সেটি হলো অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ)। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি; এমনকী দিল্লিতে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামে যে কূটনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সরকারের সঙ্গে— সেটিরও যৌথ আয়োজক এই ওআরএফ।
গত কয়েক মাসের মধ্যে সেখানেও আসতে দেখা গেছে হাসানুল হক ইনু, এইচ টি ইমাম, তরিকত ফেডারেশনের নেতা নাজবুল বাশার মাইজভান্ডারী কিংবা জাকের পার্টির চেয়ারম্যান আমির ফয়সল মুজাদ্দেদিকে।
আর শুধু দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে বা থিঙ্কট্যাঙ্ক সার্কিটেই নয়, দিল্লিতে এসে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা আজকাল ভারতের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও যাচ্ছেন— সেখানে ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। এই তালিকায় জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বা দিল্লি ইউনিভার্সিটির মতো সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও আছে।
ইসলামপন্থী দলগুলো আবার রাজধানীর লোদী রোডে ‘ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টার’-এর মতো কেন্দ্রেও যাচ্ছেন। তাদের কারও কারও সফরসূচিতে পুণের সিমবাওসিস ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানও থাকছে।
ফলে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের এই রাজনীতিবিদদের সফরে ডিপ্লোম্যাটিক, পলিটিক্যাল বা অ্যাকাডেমিক— সব পর্যায়েই ভারতকে তাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে জানার সুযোগ হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রকৃত ছবিটাও তারা তুলে ধরতে পারছেন।
কিন্তু প্রতিবেশী দেশের এই নেতাদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে ভারতের কী লাভ হচ্ছে?
“প্রথম কথা হল, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত যে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত; আমরা সেই বার্তাটা এর মাধ্যমে দিতে পারছি। তা ছাড়া এই যে নেতারা সানন্দে আসছেন, দিল্লিতে আমাদের নেতা-মন্ত্রী-নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনায় বসছেন— এ থেকেও প্রমাণ হয় যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে ভারত আর কোনও ‘ট্যাবু’ নয়, ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার মধ্যেও নিষিদ্ধ কিছু নেই। এটাও আমাদের জন্য একটা বড় লাভ বৈকি”, দিল্লিতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
সুতরাং ধরেই নেওয়া যেতে পারে, বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যেমন, তেমনি তার পরেও ঢাকা থেকে রাজনীতিবিদদের এই দিল্লিযাত্রার ধারা অব্যাহত থাকবে।
কিন্তু দিল্লিতে ঠিক কী ধরনের কর্মসূচি নিয়ে আসছেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা? ভোটের বছরে ভারতের রাজধানীতে এসে ভারতীয় নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের আদৌ কি কোনও লাভ হচ্ছে?
প্রথম কথা হলো, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের এই নেতারা দিল্লি আসছেন ভারতেরই আমন্ত্রণে। কখনও আমন্ত্রণটা জানাচ্ছে ভারত সরকার নিজে (যেমন জেনারেল এরশাদের বাড়িতে গিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা), কখনও বা ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা আইসিসিআর (সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বা জাকের পার্টির নেতৃত্বকে তারাই দাওয়াত দিয়েছিল।)
আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধিদলটি দিল্লি ঘুরে গেল, তারা এসেছিলেন ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে। গত জুনের গোড়ায় বিএনপির তিন নেতার বহুচর্চিত ভারত সফর ছিল সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে।
দিল্লিতে পা রাখার পর এই নেতাদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক একরকম অবধারিত। বাংলাদেশের নেতাদের ওজন বুঝে কখনও সেই বৈঠক হয় ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সঙ্গে, আবার কখনও বা প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে।
অর্থাৎ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে এইচ এম এরশাদ কিংবা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে এইচ টি ইমামরা যখন সুষমা স্বরাজ-রাজনাথ সিংদের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় বসছেন, তখন তরিকত ফেডারেশনের নেতৃত্বকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে অথবা জাকের পার্টির নেতাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের সঙ্গে বৈঠকে বসতে দেখা যাচ্ছে।
এম জে আকবর বহুদিন ধরেই অবশ্য সরকারের হয়ে বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স দেখাশুনো করছেন। পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার এই বাংলাভাষী রাজনীতিবিদ আগে কলকাতার ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা এলে তাদের সঙ্গে খোলাখুলি বাংলায় কথা বলতে পারেন তিনি। কাজেই সাউথ ব্লকে তার দফতর ঢাকার রাজনীতিবিদদের কাছে প্রায় একটা ‘মাস্ট ভিজিট’।
এইচ এম এরশাদ, এইচ টি ইমাম বা ওবায়দুল কাদেরের মতো ওজনদার নেতারা দিল্লি এলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও তাদের বৈঠক হচ্ছেই ধরে নেওয়া যায়।
অন্য দিকে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার কাজটা যিনি করে থাকেন, তিনি আর কেউ নন; দলের অতি প্রভাবশালী সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। অন্ধ্রের এই তেলুগুভাষী নেতা বহুদিন আরএসএসের মুখপাত্র ছিলেন, এখন আরএসএস থেকেই তাকে বিজেপিতে ‘ডেপুটেশনে’ পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে যে দলের নেতারাই আসুন, রাম মাধবের সঙ্গে বৈঠক ছাড়া তাদের ভারত সফর কার্যত অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
সাম্প্রতিক অতীতে বারে বারেই দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে যে নেতারাই আসুন না কেন, তারা হয় রাম মাধবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন, কিংবা দিল্লিতে তার থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে’র মতবিনিময়ে যোগ দিচ্ছেন। অথবা দুটোই।
বিজেপির অন্যান্য নেতাদের মধ্যে দলের সহ-সভাপতি বিনয় সহস্রবুদ্ধে (যিনি আইসিসিআরের প্রেসিডেন্টও বটে), রাম লাল কিংবা বিজেপি পলিসি রিসার্চ সেলের অনির্বাণ গাঙ্গুলিও বাংলাদেশি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
দিল্লির আরও একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, সেটি হলো অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ)। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি; এমনকী দিল্লিতে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামে যে কূটনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সরকারের সঙ্গে— সেটিরও যৌথ আয়োজক এই ওআরএফ।
গত কয়েক মাসের মধ্যে সেখানেও আসতে দেখা গেছে হাসানুল হক ইনু, এইচ টি ইমাম, তরিকত ফেডারেশনের নেতা নাজবুল বাশার মাইজভান্ডারী কিংবা জাকের পার্টির চেয়ারম্যান আমির ফয়সল মুজাদ্দেদিকে।
আর শুধু দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে বা থিঙ্কট্যাঙ্ক সার্কিটেই নয়, দিল্লিতে এসে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা আজকাল ভারতের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও যাচ্ছেন— সেখানে ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। এই তালিকায় জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বা দিল্লি ইউনিভার্সিটির মতো সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও আছে।
ইসলামপন্থী দলগুলো আবার রাজধানীর লোদী রোডে ‘ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টার’-এর মতো কেন্দ্রেও যাচ্ছেন। তাদের কারও কারও সফরসূচিতে পুণের সিমবাওসিস ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানও থাকছে।
ফলে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের এই রাজনীতিবিদদের সফরে ডিপ্লোম্যাটিক, পলিটিক্যাল বা অ্যাকাডেমিক— সব পর্যায়েই ভারতকে তাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে জানার সুযোগ হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রকৃত ছবিটাও তারা তুলে ধরতে পারছেন।
কিন্তু প্রতিবেশী দেশের এই নেতাদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে ভারতের কী লাভ হচ্ছে?
“প্রথম কথা হল, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত যে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত; আমরা সেই বার্তাটা এর মাধ্যমে দিতে পারছি। তা ছাড়া এই যে নেতারা সানন্দে আসছেন, দিল্লিতে আমাদের নেতা-মন্ত্রী-নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনায় বসছেন— এ থেকেও প্রমাণ হয় যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে ভারত আর কোনও ‘ট্যাবু’ নয়, ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার মধ্যেও নিষিদ্ধ কিছু নেই। এটাও আমাদের জন্য একটা বড় লাভ বৈকি”, দিল্লিতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
সুতরাং ধরেই নেওয়া যেতে পারে, বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যেমন, তেমনি তার পরেও ঢাকা থেকে রাজনীতিবিদদের এই দিল্লিযাত্রার ধারা অব্যাহত থাকবে।
No comments