চট্টগ্রামে থাকছে না মৃত্যুকূপ ‘সেপটিক ট্যাঙ্ক’
শুধু বর্জ্যের ভাগাড় নয়, মৃত্যুকূপও ‘সেপটিক ট্যাঙ্ক’। তাই বর্জ্যের দূষণ কমাতে এবং মানুষ বাঁচাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও থাকছে না সেপটিক ট্যাঙ্ক। সেপটিক ট্যাঙ্ক তুলে নেয়ার এমন উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এমনটাই বললেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ। তিনি জানান, মানুষ ও গৃহস্থালির সব বর্জ্য আর সেপটিক ট্যাঙ্কে নয়। পাইপলাইনের মাধ্যমে সব বর্জ্য চলে যাবে সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে।
ফলে বাসা-বাড়ির কোনো পয়োঃবর্জ্য নালা ও খালে যাবে না, হবে না ভরাট। আর কর্ণফুলী ও হালদা নদীও হবে না বর্জ্যের ভাগাড়। দূষণমুক্ত হবে নালা, খাল, নদী। নির্মল ও দুর্গন্ধমুক্ত হবে পরিবেশ। নষ্ট হবে না প্রাকৃতিক ভারসাম্য। এমনকি সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে আর ঘটবে না প্রাণহানিও। আর সেপটিক ট্যাঙ্কমুক্ত চট্টগ্রাম মহানগরী দেখা যাবে ২০২৩ সালেই। তিনি বলেন, রান্নাঘরের ও গোসলখানার ব্যবহার্য পানি এবং টয়লেটের লাইনের পানি ও বর্জ্য ধারণে চট্টগ্রাম মহানগরীতে গড়ে তোলা সেপটিক ট্যাঙ্কগুলো এখন মৃত্যুকূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বর্ষায় পানির তোড়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা উঠে গিয়ে সেখানে চলাচলরত মানুষ ডুবে মরছে।
ফলে সেপটিক ট্যাঙ্ক নয়; প্রায় তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাসটার প্ল্যানের আওতায় স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনও পেয়েছে। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের বাস্তবায়ন কাজ নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার এলাকায় ১৬৫ একর জায়গার ওপর চলছে। তিনি বলেন, পানি প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে পুরো চট্টগ্রাম মহানগরীকে ১১টি জোনে ভাগ করে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জোনগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি, বাটালিহিল, মাঝিরঘাট, মাদারবাড়ী, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, আমবাগান, নয়াবাজার, চৌমুহনী, উত্তর হালিশহর, হালিশহর আনন্দবাজার এলাকা। এরমধ্যে প্রাথমিক প্রকল্পের আওতায় ছয়টি জোনে ছয়টি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হবে এবং পুরো নগরীতে দুটি ফিকেল স্ল্যাজ শোধনাগার নির্মাণ করা হবে। প্রথম প্রকল্পের আওতায় নগরীর ২০ লাখ মানুষ সবার আগে এই সুবিধা পাবে। দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ৫টি জোনে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করা হবে। ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, সুয়্যারেজ প্রকল্পের আওতায় বৃষ্টির পানি চলে যাবে ড্রেনে, আর বাকি সব পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে স্যুয়ারেজ লাইনে যাবে।
এজন্য পুরো নগরীতে সর্বোচ্চ ২০ ইঞ্চি ও সর্বনিম্ন ৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসানো হবে। এসব পাইপ দিয়ে বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে যাবে। তিনি বলেন, দুর্গন্ধমুক্ত চট্টগ্রাম নগরীর পরিকল্পনা বহুদিনের। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কবিহীন নগরে পরিণত করা হবে চট্টগ্রামকে। যেসব এলাকায় স্যুয়ারেজ প্রকল্পের পাইপলাইন বসানো যাবে না, সেসব এলাকায় দুটি খালের মাধ্যমে স্ল্যাজগুলো প্রবাহিত করে পাইপলাইনে প্রবেশ করানো হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ শামীম বলেন, বর্তমানে আমরা ভবন নির্মাণের অনুমোদনের ক্ষেত্রে সেপটিক ট্যাঙ্কের ডিজাইন দেখি এবং তা নিশ্চিত করা হয়। ওয়াসা যদি স্যুয়ারেজ প্রকল্প চালু করে তাহলে আর সেপটিক ট্যাঙ্কের প্রয়োজন হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, গত বছরের মার্চে ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্যুয়ারেজ নিয়ে প্রকল্পের জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এরপর থেকেই ওয়াসা সক্রিয় হয়। অথচ আরও অনেক আগে নগরীতে স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে দেরিতে হলেও সুয়্যারেজ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কিছু এলাকাতো দূষণ থেকে মুক্তি পাবে।
তিনি বলেন, নগরীর পয়ঃবর্জ্য নালা ও খালের মাধ্যমে কর্ণফুলী ও হালদায় গিয়ে পড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ৩৩ কোটি লিটার বর্জ্য কর্ণফুলী ও হালদা হজম করছে। এতে নদী দুটি ক্রমশ দূষিত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ। ভরাট হয়ে মারমুখী হয়ে উঠছে নদী দুটি।
ওয়াসার তথ্যমতে, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়্যারেজ অথরিটি (ওয়াসা) নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য কাজ করলেও সুয়্যারেজের বিষয়ে তাদের কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না। প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছর পর এসে ওয়াসা সুয়্যারেজ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন প্রকল্প হাতে নেয়।
এ প্রসঙ্গে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, এতদিন নগরীতে পানির ঘাটতি ছিল। এখন আমরা অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানির ঘাটতি কাটিয়ে উঠছি। তাই এখন স্যুয়ারেজের দিকে নজর দিয়েছি।
ফলে বাসা-বাড়ির কোনো পয়োঃবর্জ্য নালা ও খালে যাবে না, হবে না ভরাট। আর কর্ণফুলী ও হালদা নদীও হবে না বর্জ্যের ভাগাড়। দূষণমুক্ত হবে নালা, খাল, নদী। নির্মল ও দুর্গন্ধমুক্ত হবে পরিবেশ। নষ্ট হবে না প্রাকৃতিক ভারসাম্য। এমনকি সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে আর ঘটবে না প্রাণহানিও। আর সেপটিক ট্যাঙ্কমুক্ত চট্টগ্রাম মহানগরী দেখা যাবে ২০২৩ সালেই। তিনি বলেন, রান্নাঘরের ও গোসলখানার ব্যবহার্য পানি এবং টয়লেটের লাইনের পানি ও বর্জ্য ধারণে চট্টগ্রাম মহানগরীতে গড়ে তোলা সেপটিক ট্যাঙ্কগুলো এখন মৃত্যুকূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বর্ষায় পানির তোড়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা উঠে গিয়ে সেখানে চলাচলরত মানুষ ডুবে মরছে।
ফলে সেপটিক ট্যাঙ্ক নয়; প্রায় তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাসটার প্ল্যানের আওতায় স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনও পেয়েছে। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের বাস্তবায়ন কাজ নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার এলাকায় ১৬৫ একর জায়গার ওপর চলছে। তিনি বলেন, পানি প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে পুরো চট্টগ্রাম মহানগরীকে ১১টি জোনে ভাগ করে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জোনগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি, বাটালিহিল, মাঝিরঘাট, মাদারবাড়ী, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, আমবাগান, নয়াবাজার, চৌমুহনী, উত্তর হালিশহর, হালিশহর আনন্দবাজার এলাকা। এরমধ্যে প্রাথমিক প্রকল্পের আওতায় ছয়টি জোনে ছয়টি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হবে এবং পুরো নগরীতে দুটি ফিকেল স্ল্যাজ শোধনাগার নির্মাণ করা হবে। প্রথম প্রকল্পের আওতায় নগরীর ২০ লাখ মানুষ সবার আগে এই সুবিধা পাবে। দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ৫টি জোনে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করা হবে। ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, সুয়্যারেজ প্রকল্পের আওতায় বৃষ্টির পানি চলে যাবে ড্রেনে, আর বাকি সব পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে স্যুয়ারেজ লাইনে যাবে।
এজন্য পুরো নগরীতে সর্বোচ্চ ২০ ইঞ্চি ও সর্বনিম্ন ৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসানো হবে। এসব পাইপ দিয়ে বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে যাবে। তিনি বলেন, দুর্গন্ধমুক্ত চট্টগ্রাম নগরীর পরিকল্পনা বহুদিনের। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কবিহীন নগরে পরিণত করা হবে চট্টগ্রামকে। যেসব এলাকায় স্যুয়ারেজ প্রকল্পের পাইপলাইন বসানো যাবে না, সেসব এলাকায় দুটি খালের মাধ্যমে স্ল্যাজগুলো প্রবাহিত করে পাইপলাইনে প্রবেশ করানো হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ শামীম বলেন, বর্তমানে আমরা ভবন নির্মাণের অনুমোদনের ক্ষেত্রে সেপটিক ট্যাঙ্কের ডিজাইন দেখি এবং তা নিশ্চিত করা হয়। ওয়াসা যদি স্যুয়ারেজ প্রকল্প চালু করে তাহলে আর সেপটিক ট্যাঙ্কের প্রয়োজন হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, গত বছরের মার্চে ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্যুয়ারেজ নিয়ে প্রকল্পের জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এরপর থেকেই ওয়াসা সক্রিয় হয়। অথচ আরও অনেক আগে নগরীতে স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে দেরিতে হলেও সুয়্যারেজ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কিছু এলাকাতো দূষণ থেকে মুক্তি পাবে।
তিনি বলেন, নগরীর পয়ঃবর্জ্য নালা ও খালের মাধ্যমে কর্ণফুলী ও হালদায় গিয়ে পড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ৩৩ কোটি লিটার বর্জ্য কর্ণফুলী ও হালদা হজম করছে। এতে নদী দুটি ক্রমশ দূষিত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ। ভরাট হয়ে মারমুখী হয়ে উঠছে নদী দুটি।
ওয়াসার তথ্যমতে, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়্যারেজ অথরিটি (ওয়াসা) নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য কাজ করলেও সুয়্যারেজের বিষয়ে তাদের কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না। প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছর পর এসে ওয়াসা সুয়্যারেজ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন প্রকল্প হাতে নেয়।
এ প্রসঙ্গে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, এতদিন নগরীতে পানির ঘাটতি ছিল। এখন আমরা অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানির ঘাটতি কাটিয়ে উঠছি। তাই এখন স্যুয়ারেজের দিকে নজর দিয়েছি।
No comments