পল্লী দই: বাণিজ্য নয়, লক্ষ্য নতুন উদ্যোক্তা তৈরি by প্রতীক ওমর
বাণিজ্য
নয় নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে বগুড়ার পল্লী
দই। দুটির উদ্ভাবক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি-আরডিএ। শুরুটা নিজেদের ব্যবসায়িক
চিন্তা থেকে না হলেও, বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় মোটা অঙ্কের ব্যবসাও হচ্ছে
এখন। সেই সঙ্গে দিন দিন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিও হচ্ছে। পল্লী দই
বগুড়ার স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এখন রাজধানী ঢাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে।
চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির গবেষণায়
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে উৎপাদিত পল্লী দই
ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিমিত মিষ্টি, সুস্বাদু ও দামেও বাজারের
অন্যান্য দইয়ের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় পল্লী দইয়ের প্রতি অনেকেই আকৃষ্ট
হচ্ছেন।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের জন্য ইতোমধ্যেই একটি ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। লালমনিরহাট থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত বিভিন্ন চরে ১ লাখ ৩৩ হাজার পরিবারকে ১ লাখ ৩৩ হাজার গরু বিনামূল্যে দেয় আরডিএ। যা এখন ১০ লাখ গরুর বেশি হয়েছে। এসব গরু প্রতিদিন এখন দুধ দিচ্ছে। চরের এসব মানুষ তাদের গরুর দুধ বিক্রির সঠিক বাজার ও মূল্য বেশিরভাগ সময় পান না। ফলে তারা অনেক সময় দুধ কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। খামারিদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে দুধ প্রক্রিয়াজাত করে দই উৎপাদনে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে দুধ থেকে দই উৎপাদন করতে পারেন। এতে তারা সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
এ ছাড়া গবেষণা করে ইনকিউবিটরে দই জমানোর পদ্ধতি আবিস্কার করা হয়েছে। ফলে দই প্রস্তুত করতে হাতের কোন প্রকার স্পর্শ লাগে না এবং বাইরের কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা দইকে স্পর্শ করতে পারে না। ফলে এ পদ্ধতিতে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত দই পেতে পারি। ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোক্তা একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত দই উৎপন্ন করতে ইনকিউবিটর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বগুড়া শহরের লাবানন দইঘর ইনকিউবিটর তৈরি করছেন। আর খুব শীঘ্রই তিনি ইনকিউবিটরে জমানো স্বাস্থ্যসম্মত দই তারা বাজারজাত করবেন। এ ছাড়া ঢাকায় দই এর চাহিদা বেশি থাকায় সেখানে কয়েকজন উদ্যোক্তা দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। খুব শীঘ্র ঢাকায় দ্বিতীয় পল্লী দই এর ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
রাজধানীর বনশ্রীর বিডি গার্ডেনার্স লিমিটেড ও ইস্কাটনের ফ্যান্টাসিয়া নামের দু’টি প্রতিষ্ঠান ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পল্লী দই ইতোমধ্যেই সরবরাহ শুরু করেছে। বর্তমানে তার মাধ্যমে প্রায় ৭ থেকে ৮টি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পল্লী দই সরবরাহ নিয়ে থাকে। বাজারের অন্যান্য দই থেকে পল্লী দই এর একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য হলো স্বাভাবিক মিষ্টি ও দামে সস্তা। বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের সড়ার দইয়ের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা হলেও পল্লী দইয়ের দাম ১৩০ টাকা। তাছাড়া ইনকিউবিটরে জমানো এবং গ্যাসের চুলায় তৈরি করার কারণে এ দই ছাই বা ময়লা এবং মাছি বসার সুযোগ না থাকায় এটি স্বাস্থ্যসম্মত।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ইউনিটের (ফার্ম টেকনোলজি) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরডিএ’র সহকারী পরিচালক আব্দুল আলিম বলেন, কৃষকদের খামারে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের সময়োপযোগী প্রক্রিয়াজাতকরণ, সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকল্পে পরচালিত একটি ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি। দই ছাড়াও এ ইউনিট থেকে প্রায় ৪০ প্রকার কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। যাতে কৃষক ও উদ্যোক্তাগণ নিজেরাই এসব প্রক্রিয়াজাত করে উদ্যোক্তা হতে পারেন। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য ও বাজার এর নিশ্চয়তা পেতে পারেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোক্তা নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকে। ফুড প্রসেসিংয়ের উপর ৩০ জন করে ইতোমধ্যেই ১৫টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক এম এ মতিন বলেন, বাণিজ্য নয় নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে বগুড়ার পল্লী দই। এছাড়া কৃষকদের পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতেই আরডিএ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ইউনিট স্থাপন করেছে। ফলে এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের থেকে সংগৃহীত দুধ থেকে পল্লী ঘোল, বরফি, মিষ্টি তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করে বাজারজাত করা হবে।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের জন্য ইতোমধ্যেই একটি ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। লালমনিরহাট থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত বিভিন্ন চরে ১ লাখ ৩৩ হাজার পরিবারকে ১ লাখ ৩৩ হাজার গরু বিনামূল্যে দেয় আরডিএ। যা এখন ১০ লাখ গরুর বেশি হয়েছে। এসব গরু প্রতিদিন এখন দুধ দিচ্ছে। চরের এসব মানুষ তাদের গরুর দুধ বিক্রির সঠিক বাজার ও মূল্য বেশিরভাগ সময় পান না। ফলে তারা অনেক সময় দুধ কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। খামারিদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে দুধ প্রক্রিয়াজাত করে দই উৎপাদনে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে দুধ থেকে দই উৎপাদন করতে পারেন। এতে তারা সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
এ ছাড়া গবেষণা করে ইনকিউবিটরে দই জমানোর পদ্ধতি আবিস্কার করা হয়েছে। ফলে দই প্রস্তুত করতে হাতের কোন প্রকার স্পর্শ লাগে না এবং বাইরের কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা দইকে স্পর্শ করতে পারে না। ফলে এ পদ্ধতিতে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত দই পেতে পারি। ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোক্তা একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত দই উৎপন্ন করতে ইনকিউবিটর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বগুড়া শহরের লাবানন দইঘর ইনকিউবিটর তৈরি করছেন। আর খুব শীঘ্রই তিনি ইনকিউবিটরে জমানো স্বাস্থ্যসম্মত দই তারা বাজারজাত করবেন। এ ছাড়া ঢাকায় দই এর চাহিদা বেশি থাকায় সেখানে কয়েকজন উদ্যোক্তা দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। খুব শীঘ্র ঢাকায় দ্বিতীয় পল্লী দই এর ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
রাজধানীর বনশ্রীর বিডি গার্ডেনার্স লিমিটেড ও ইস্কাটনের ফ্যান্টাসিয়া নামের দু’টি প্রতিষ্ঠান ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পল্লী দই ইতোমধ্যেই সরবরাহ শুরু করেছে। বর্তমানে তার মাধ্যমে প্রায় ৭ থেকে ৮টি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পল্লী দই সরবরাহ নিয়ে থাকে। বাজারের অন্যান্য দই থেকে পল্লী দই এর একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য হলো স্বাভাবিক মিষ্টি ও দামে সস্তা। বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের সড়ার দইয়ের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা হলেও পল্লী দইয়ের দাম ১৩০ টাকা। তাছাড়া ইনকিউবিটরে জমানো এবং গ্যাসের চুলায় তৈরি করার কারণে এ দই ছাই বা ময়লা এবং মাছি বসার সুযোগ না থাকায় এটি স্বাস্থ্যসম্মত।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ইউনিটের (ফার্ম টেকনোলজি) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরডিএ’র সহকারী পরিচালক আব্দুল আলিম বলেন, কৃষকদের খামারে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের সময়োপযোগী প্রক্রিয়াজাতকরণ, সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকল্পে পরচালিত একটি ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি। দই ছাড়াও এ ইউনিট থেকে প্রায় ৪০ প্রকার কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। যাতে কৃষক ও উদ্যোক্তাগণ নিজেরাই এসব প্রক্রিয়াজাত করে উদ্যোক্তা হতে পারেন। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য ও বাজার এর নিশ্চয়তা পেতে পারেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোক্তা নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকে। ফুড প্রসেসিংয়ের উপর ৩০ জন করে ইতোমধ্যেই ১৫টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক এম এ মতিন বলেন, বাণিজ্য নয় নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে বগুড়ার পল্লী দই। এছাড়া কৃষকদের পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতেই আরডিএ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ইউনিট স্থাপন করেছে। ফলে এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের থেকে সংগৃহীত দুধ থেকে পল্লী ঘোল, বরফি, মিষ্টি তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করে বাজারজাত করা হবে।
No comments