‘জ্বলন্ত ঘুড়ি’র ভয়ে গাজায় হিলিয়াম সরবরাহ সীমিত করছে ইসরায়েল
অবরুদ্ধ
গাজা উপত্যকায় হিলিয়াম গ্যাসের সরবরাহ সীমিত করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল।
তেল আবিবের দাবি, ফিলিস্তিনিদের ‘ঘুড়ি সন্ত্রাস’ বন্ধের স্বার্থেই এই
উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে তারা। হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করে নিজেদের আওতাধীন
ভূখণ্ড থেকে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে জ্বলন্ত ঘুড়ি পাঠিয়ে দেয়।
একে ঘুড়ি সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে ইসরায়েল দাবি করে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দাবানল
সৃষ্টি ও বিপুল পরিমাণ ফসলের ক্ষতির জন্য দায়ী। হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহ সীমিত
করার পেছনে ইসরায়েল ঘুড়ি সন্ত্রাস বন্ধের যুক্তি দিলেও এর কারণে গাজা
উপত্যকার চিকিৎসা ব্যবস্থায় আরও বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা
হচ্ছে।
টাইমস অব ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডলইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ জুন) ইসরায়েলের সরকারি কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত সমন্বয়কারী (সিওজিএটি) মেজর জেনারেল কামিল আবু রোকন গাজায় হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেছেন।
ইসরায়েলি সেনাদের ভারী মারণাস্ত্রের বিপরীতে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা ঘুড়িকে তাদের লড়াইয়ের অস্ত্র বানিয়েছে। ইসরায়েল অভিযোগ করে আসছে, সাম্প্রতিক গ্রেট রিটার্ন মার্চের সময় গাজা থেকে উড়ে আসা জ্বলন্ত ঘুড়ি থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে দাবানল দেখা দিয়েছে। ঘুড়ির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৪ লাখ মার্কিন ডলার দাবি করেছে দেশটি। মঙ্গলবার ইসরায়েলের সরকারি কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত সমন্বয়কারী (সিওজিএটি) মেজর জেনারেল কামিল আবু রোকন দাবি করেন, গাজার বিক্ষোভকারীরা বেলুনে হিলিয়াম গ্যাস ভরে সেগুলো সীমান্তের ওপারে পাঠাচ্ছে এবং এর ফলে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে গাজায় কোনও হিলিয়াম গ্যাস প্রবেশ করবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
নতুন কড়াকড়ির আওতায় গাজায় ঠিক কী পরিমাণ হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি রোকন। তবে এই গ্যাসের ওপর গাজাবাসীর চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকাংশে নির্ভরশীল। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে প্রাত্যহিক বিদ্যুৎ সরবরাহে সীমাবদ্ধতা থাকায় এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে আগে থেকে বিপর্যয়পূর্ণ অবস্থায় আছে গাজার হাসপাতালগুলো। জ্বালানি না থাকায় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে গাজা উপত্যকার সাতটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জেনারেটরগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া গত ৩০ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিদের গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রচুর মানুষ হতাহত হয়। এসব আহতকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। আর এর মধ্যে যদি হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তবে গাজার হাসপাতালগুলো প্রচণ্ড রকমের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে। কারণ, এমআরআই মেশিনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি চালাতে হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩০ মার্চ ভূমি দিবসের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ১৪ মে। ফিলিস্তিনিদের ‘গ্রেট রিটার্স মার্চ’র বিক্ষোভ কমর্সূচি চলমান থাকা অবস্থায় এদিন ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা তাদের বিক্ষোভ জোরালো করলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। এই কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ঘুড়ি পাঠানো বাড়িয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
ফিলিস্তিন থেকে যাওয়া জ্বলন্ত ঘুড়ির কারণে যাদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সন্ত্রাসের ভুক্তভোগী হিসেবে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি ইসরায়েলের জননিরাপত্তা মন্ত্রী গিলাদ এরদান বলেন, ‘ঘুড়ি সন্ত্রাস’ খুবই মারাত্মক। যারা এসব পাঠায় তাদের জীবন নিয়ে ভয়ে থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিরোধমূলক গুপ্তহত্যা চালানো উচিত। এসব ঘুড়ির প্রেরক ও হামাস নেতাদের অবশ্যই এই প্রতিরোধমূলক হত্যার লক্ষ্য করতে হবে।’
অন্যান্য ইসরায়েলি রাজনীতিকরাও এই বিতর্কে হাওয়া দিয়ে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যানও এরদানের কথার পুরনাবৃত্তি করেন। আই টোয়েন্টিফোর নিউজের খবরে লিবারম্যানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘এটা অবশ্যই পরিষ্কার হওয়া উচিত যে আমরা ঘুড়ি হামলা, সীমান্ত বেষ্টনীর কাছে দাঙ্গা, বেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা বা ইসরায়েলি এলাকার সার্বভৌমত্বের কোনও ক্ষতি মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নই’।
টাইমস অব ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডলইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ জুন) ইসরায়েলের সরকারি কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত সমন্বয়কারী (সিওজিএটি) মেজর জেনারেল কামিল আবু রোকন গাজায় হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেছেন।
ইসরায়েলি সেনাদের ভারী মারণাস্ত্রের বিপরীতে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা ঘুড়িকে তাদের লড়াইয়ের অস্ত্র বানিয়েছে। ইসরায়েল অভিযোগ করে আসছে, সাম্প্রতিক গ্রেট রিটার্ন মার্চের সময় গাজা থেকে উড়ে আসা জ্বলন্ত ঘুড়ি থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে দাবানল দেখা দিয়েছে। ঘুড়ির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৪ লাখ মার্কিন ডলার দাবি করেছে দেশটি। মঙ্গলবার ইসরায়েলের সরকারি কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত সমন্বয়কারী (সিওজিএটি) মেজর জেনারেল কামিল আবু রোকন দাবি করেন, গাজার বিক্ষোভকারীরা বেলুনে হিলিয়াম গ্যাস ভরে সেগুলো সীমান্তের ওপারে পাঠাচ্ছে এবং এর ফলে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে গাজায় কোনও হিলিয়াম গ্যাস প্রবেশ করবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
নতুন কড়াকড়ির আওতায় গাজায় ঠিক কী পরিমাণ হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি রোকন। তবে এই গ্যাসের ওপর গাজাবাসীর চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকাংশে নির্ভরশীল। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে প্রাত্যহিক বিদ্যুৎ সরবরাহে সীমাবদ্ধতা থাকায় এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে আগে থেকে বিপর্যয়পূর্ণ অবস্থায় আছে গাজার হাসপাতালগুলো। জ্বালানি না থাকায় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে গাজা উপত্যকার সাতটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জেনারেটরগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া গত ৩০ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিদের গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রচুর মানুষ হতাহত হয়। এসব আহতকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। আর এর মধ্যে যদি হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তবে গাজার হাসপাতালগুলো প্রচণ্ড রকমের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে। কারণ, এমআরআই মেশিনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি চালাতে হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩০ মার্চ ভূমি দিবসের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ১৪ মে। ফিলিস্তিনিদের ‘গ্রেট রিটার্স মার্চ’র বিক্ষোভ কমর্সূচি চলমান থাকা অবস্থায় এদিন ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা তাদের বিক্ষোভ জোরালো করলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। এই কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ঘুড়ি পাঠানো বাড়িয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
ফিলিস্তিন থেকে যাওয়া জ্বলন্ত ঘুড়ির কারণে যাদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সন্ত্রাসের ভুক্তভোগী হিসেবে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি ইসরায়েলের জননিরাপত্তা মন্ত্রী গিলাদ এরদান বলেন, ‘ঘুড়ি সন্ত্রাস’ খুবই মারাত্মক। যারা এসব পাঠায় তাদের জীবন নিয়ে ভয়ে থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিরোধমূলক গুপ্তহত্যা চালানো উচিত। এসব ঘুড়ির প্রেরক ও হামাস নেতাদের অবশ্যই এই প্রতিরোধমূলক হত্যার লক্ষ্য করতে হবে।’
অন্যান্য ইসরায়েলি রাজনীতিকরাও এই বিতর্কে হাওয়া দিয়ে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যানও এরদানের কথার পুরনাবৃত্তি করেন। আই টোয়েন্টিফোর নিউজের খবরে লিবারম্যানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘এটা অবশ্যই পরিষ্কার হওয়া উচিত যে আমরা ঘুড়ি হামলা, সীমান্ত বেষ্টনীর কাছে দাঙ্গা, বেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা বা ইসরায়েলি এলাকার সার্বভৌমত্বের কোনও ক্ষতি মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নই’।
No comments