কাশ্মিরে ঈদ আছে, নেই উৎসব
সারাবিশ্বের
মুসলিম সম্প্রদায় যখন ঈদের আনন্দ করছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ঈদের রং
যেন ততটা রঙিন নয়। শনিবার ভারতজুড়ে পালন করা হচ্ছে মুসলিমদের সবচেয়ে বড়
ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। অথচ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মিরেই নেই ঈদের
চিরাচরিত আমেজ। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ঈদের দিনেও। সঙ্গে
যুক্ত হয়েছে সাংবাদিক সুজাত বুখারির মৃত্যুজনিত শোক। সবমিলে কাশ্মিরবাসীর
ঈদ যেন তাদের জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবির লড়াই।
কাশ্মিরের স্বাধীনতার দাবিতে লড়াইরত সমস্ত মানুষকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা সন্ত্রাসী হিসেবেই দেখে ভারত রাষ্ট্র। যদিও কাশ্মিরে পাকিস্তানপন্থীদের তৎপরতা থাকলেও সেখানে সরাসরি কাশ্মিরের স্বাধীনতার দাবিতে লড়াইকারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে ভারতের দাবি, কাশ্মিরে যারা লড়াই করছেন তারা আসলে জঙ্গি। বিচ্ছিন্নতাবাদী। কাশ্মির প্রশ্নে সমগ্র ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সেখানকার সমস্যাকে ‘বিচ্ছিন্নতা আর জঙ্গিবাদের’ সমস্যা আকারে দেখা হয়ে থাকে। বিপরীতে কাশ্মিরিদের কাছে সেখানকার লড়াই আদতে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের লড়াই। কাশ্মিরের স্বাধীনতার প্রশ্নে সরব খোদ ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরাও। ভূবনখ্যাত বুদ্ধিজীবী অরুন্ধতি রায় স্পষ্ট করে বলেন, সেখানে আসলে ভারতীয় বাহিনীর আগ্রাসন চলছে। অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কাশ্মিরবাসীকে। কাশ্মির সমস্যার একমাত্র সমাধান স্বাধীনতা।
বৃহস্পতিবার ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরে বুখারীকে তার কার্যালয়ের বাইরে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এখনও কেউ এই হত্যার দায় স্বীকার না করলেও পুলিশের ধারণা, জঙ্গিরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় শ্রীনগরে নিজের অফিসের বাইরেই গুলিবিদ্ধ হন ‘রাইজিং কাশ্মির’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সুজাত আর তার দেহরক্ষী। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা সুজাত ও তার এক দেহরক্ষীকে মৃত ঘোষণা করেন। খবরে বলা হয়, লাল চকের প্রেসক্লাবের বাইরে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুজাত। আচমকা বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সুজাত বুখারির মৃত্যুর পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এর পরদিন শুক্রবার জুমার নামাজের পরই কাশ্মিরে সংহিসতার ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে পাথড় ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শনিবার ঈদের নামাজের পর আবারও একই ঘটনা ঘটে।পাথর ও টিয়ারশেল ছোঁড়া হয় দুই পক্ষ থেকে। কাশ্মিরের দক্ষিণাঞ্চলের শোপিয়ান শহরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৭ তরুণ। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের দমনে ছররা গুলি ব্যবহার করেছেন তারা।
বুখারি খুন হওয়ার পর সেখানকার সংবাদমাধ্যমগুলোতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শোক ও একাত্মতা প্রকাশ করছেন কাশ্মিরবাসী। এই হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মন্ত্রীরা। নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলসহ অন্যান্য নেতারাও। টুইটারেও চলছে সমালোচনার ঝড়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় একদল কাশ্মিরবাসীর। তারা পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। তবে সেদিন হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষ বড় আকার ধারণ করে ঈদের দিন সকালে। ঈদের নামাজের পর পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে বিক্ষুব্ধ জনতা। টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। শোপিয়ান শহরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৭ তরুণ। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের দমনে ছররা গুলি ব্যবহার করেছেন তারা। ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট কমপ্লেক্সে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ পুলিশ।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অবশ্য ১১৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, বড় অপরাধ না করা বন্দিদের যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে করে তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবে।
কাশ্মিরের স্বাধীনতার দাবিতে লড়াইরত সমস্ত মানুষকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা সন্ত্রাসী হিসেবেই দেখে ভারত রাষ্ট্র। যদিও কাশ্মিরে পাকিস্তানপন্থীদের তৎপরতা থাকলেও সেখানে সরাসরি কাশ্মিরের স্বাধীনতার দাবিতে লড়াইকারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে ভারতের দাবি, কাশ্মিরে যারা লড়াই করছেন তারা আসলে জঙ্গি। বিচ্ছিন্নতাবাদী। কাশ্মির প্রশ্নে সমগ্র ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সেখানকার সমস্যাকে ‘বিচ্ছিন্নতা আর জঙ্গিবাদের’ সমস্যা আকারে দেখা হয়ে থাকে। বিপরীতে কাশ্মিরিদের কাছে সেখানকার লড়াই আদতে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের লড়াই। কাশ্মিরের স্বাধীনতার প্রশ্নে সরব খোদ ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরাও। ভূবনখ্যাত বুদ্ধিজীবী অরুন্ধতি রায় স্পষ্ট করে বলেন, সেখানে আসলে ভারতীয় বাহিনীর আগ্রাসন চলছে। অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কাশ্মিরবাসীকে। কাশ্মির সমস্যার একমাত্র সমাধান স্বাধীনতা।
বৃহস্পতিবার ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরে বুখারীকে তার কার্যালয়ের বাইরে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এখনও কেউ এই হত্যার দায় স্বীকার না করলেও পুলিশের ধারণা, জঙ্গিরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় শ্রীনগরে নিজের অফিসের বাইরেই গুলিবিদ্ধ হন ‘রাইজিং কাশ্মির’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সুজাত আর তার দেহরক্ষী। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা সুজাত ও তার এক দেহরক্ষীকে মৃত ঘোষণা করেন। খবরে বলা হয়, লাল চকের প্রেসক্লাবের বাইরে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুজাত। আচমকা বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সুজাত বুখারির মৃত্যুর পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এর পরদিন শুক্রবার জুমার নামাজের পরই কাশ্মিরে সংহিসতার ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে পাথড় ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শনিবার ঈদের নামাজের পর আবারও একই ঘটনা ঘটে।পাথর ও টিয়ারশেল ছোঁড়া হয় দুই পক্ষ থেকে। কাশ্মিরের দক্ষিণাঞ্চলের শোপিয়ান শহরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৭ তরুণ। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের দমনে ছররা গুলি ব্যবহার করেছেন তারা।
বুখারি খুন হওয়ার পর সেখানকার সংবাদমাধ্যমগুলোতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শোক ও একাত্মতা প্রকাশ করছেন কাশ্মিরবাসী। এই হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মন্ত্রীরা। নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলসহ অন্যান্য নেতারাও। টুইটারেও চলছে সমালোচনার ঝড়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় একদল কাশ্মিরবাসীর। তারা পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। তবে সেদিন হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষ বড় আকার ধারণ করে ঈদের দিন সকালে। ঈদের নামাজের পর পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে বিক্ষুব্ধ জনতা। টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। শোপিয়ান শহরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৭ তরুণ। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের দমনে ছররা গুলি ব্যবহার করেছেন তারা। ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট কমপ্লেক্সে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ পুলিশ।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অবশ্য ১১৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, বড় অপরাধ না করা বন্দিদের যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে করে তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবে।
No comments