খাগড়াছড়িতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে আম্রপালি by জসিম মজুমদার
আর
কয়েকদিন পরেই বাজারে আসবে পাহাড়ের সুস্বাদু আম আম্রপালি। গত বছর বৈরী
আবহাওয়ার কারণে আম্রপালি ফলন বিপর্যয় হয়েছিল। এবছর আবহাওয়া অনকূলে থাকায়
খাগড়াছড়িতে আম্রপালি চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেশিরভাগ কৃষকের আম্রপালি আম গুটিতেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করে কৃষকেরা মাত্র ১৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন আম পায়। যেখানে ২০১৬ সালে ২ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে আমের ফলন ছিল ২৭ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমিতে আমের ফলন ছিল ২০ হাজার ৮৬ মেট্রিক টন।
চলতি বছর আমের ফলন আরও বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছে, চলতি বছর আবাদি জমির পরিমাণ ৩০০০ হেক্টর। তারা আশা করছে এই পরিমাণ জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন আম্রপালি উৎপাদন হবে শুধু খাগড়াছড়ি জেলাতে। কেজি প্রতি গড়ে ১০০ টাকা করে ধরলেও যার আর্থিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হবে।
জেলা শহরের তেতুলতলা এলাকার আম্রপালি চাষি অনিমেষ চাকমা রিংকু জানান, তিনি প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আম্রপালি চাষ করেছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও রোগ-বালাইয়ের বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে তারা সব সময় নির্দেশনা মেনে কাজ করায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সব মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিক টন আম পাবেন তিনি। যা গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেশি। তিনি আগামী ১০ জুন থেকে আম্রপালি বিক্রি শুরু করবেন বলে জানান।
গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকার কৃষক মো. শাহাজ উদ্দিন জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হেক্টরের আম্রপালি বাগান আছে তার। তিনি চলতি বছর ৭ থেকে ১০ মেট্রিক টন আম পাবার আশা করছেন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
তিনি আরও জানান, আম্রপালি আম সুস্বাদু হওয়ায় ঢাকাসহ সারাদেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু খাগড়াছড়ি থেকে আম জেলার বাইরে যেতে তাদেরকে বিভিন্ন গ্রুপকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয়।
দিঘীনালা উপজেলার মধ্য আশ্রম এলাকার কৃষক তুষার বসু জানান, তার ১০-১২ হেক্টর জমিতে বাগান আছে। এখানে বিভিন্ন ফলদ গাছের পাশাপাশি আম্রপালিও আছে। আম্রপালি এবার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তার বাগানের আম্রপালি কিনতে ইতোমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পার্টি এসেছে।
পুরো বাগানের আম ঠিক কত টাকায় বিক্রি করতে পারবেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আম সাধারণত তিন ক্যাটাগরিতে বিক্রি হয়। ভালো মানের আমগুলো কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, এর থেকে একটু নিম্নমানের আম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এবং তৃতীয় ধাপের আমগুলো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা যায়। সারা বছরের খরচ বাদ দিলে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা থাকবে।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সফর উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে আম্রপালি বিক্রি শুরু হবে। এবার প্রথম থেকেই ধারণা ছিল ফলন ভালো হবে। পাহাড়ের মাটি এবং আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করেই এই প্রজাতির আম প্রচলন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। চলতি বছর আগাম বৃষ্টি পাওয়ায় ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে কৃষকদের।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেশিরভাগ কৃষকের আম্রপালি আম গুটিতেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করে কৃষকেরা মাত্র ১৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন আম পায়। যেখানে ২০১৬ সালে ২ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে আমের ফলন ছিল ২৭ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমিতে আমের ফলন ছিল ২০ হাজার ৮৬ মেট্রিক টন।
চলতি বছর আমের ফলন আরও বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছে, চলতি বছর আবাদি জমির পরিমাণ ৩০০০ হেক্টর। তারা আশা করছে এই পরিমাণ জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন আম্রপালি উৎপাদন হবে শুধু খাগড়াছড়ি জেলাতে। কেজি প্রতি গড়ে ১০০ টাকা করে ধরলেও যার আর্থিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হবে।
জেলা শহরের তেতুলতলা এলাকার আম্রপালি চাষি অনিমেষ চাকমা রিংকু জানান, তিনি প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আম্রপালি চাষ করেছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও রোগ-বালাইয়ের বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে তারা সব সময় নির্দেশনা মেনে কাজ করায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সব মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিক টন আম পাবেন তিনি। যা গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেশি। তিনি আগামী ১০ জুন থেকে আম্রপালি বিক্রি শুরু করবেন বলে জানান।
গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকার কৃষক মো. শাহাজ উদ্দিন জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হেক্টরের আম্রপালি বাগান আছে তার। তিনি চলতি বছর ৭ থেকে ১০ মেট্রিক টন আম পাবার আশা করছেন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
তিনি আরও জানান, আম্রপালি আম সুস্বাদু হওয়ায় ঢাকাসহ সারাদেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু খাগড়াছড়ি থেকে আম জেলার বাইরে যেতে তাদেরকে বিভিন্ন গ্রুপকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয়।
দিঘীনালা উপজেলার মধ্য আশ্রম এলাকার কৃষক তুষার বসু জানান, তার ১০-১২ হেক্টর জমিতে বাগান আছে। এখানে বিভিন্ন ফলদ গাছের পাশাপাশি আম্রপালিও আছে। আম্রপালি এবার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তার বাগানের আম্রপালি কিনতে ইতোমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পার্টি এসেছে।
পুরো বাগানের আম ঠিক কত টাকায় বিক্রি করতে পারবেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আম সাধারণত তিন ক্যাটাগরিতে বিক্রি হয়। ভালো মানের আমগুলো কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, এর থেকে একটু নিম্নমানের আম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এবং তৃতীয় ধাপের আমগুলো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা যায়। সারা বছরের খরচ বাদ দিলে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা থাকবে।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সফর উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে আম্রপালি বিক্রি শুরু হবে। এবার প্রথম থেকেই ধারণা ছিল ফলন ভালো হবে। পাহাড়ের মাটি এবং আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করেই এই প্রজাতির আম প্রচলন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। চলতি বছর আগাম বৃষ্টি পাওয়ায় ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে কৃষকদের।
No comments