চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগে বাড়ছে খুনোখুনি by ইব্রাহিম খলিল
চট্টগ্রামে
ছাত্রলীগ-যুবলীগে প্রতি মাসে অন্তত একটি খুনের ঘটনা ঘটছে। গত চার মাসে খুন
হয়েছেন ৪ জন। গত বছর খুন হয়েছেন ১০ জন। ২০১৬ সালে খুন হয়েছেন ৬ জন। এভাবে
গত ৯ বছরে খুন হয়েছেন ৩২ জন। এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে গত শুক্রবার
বিকালে নগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া ডিসি রোডে গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা
ফরিদুল ইসলামের নাম।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কতিপয় নেতাকর্মী বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি, পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ, মাদক-জুয়ার আসর ও বস্তি নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাথের হকার নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল দখল, দখলবাজি এবং এলাকায় চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে গ্রুপিং রাজনীতির কারণে নিজেদের মধ্যে ঘটছে একের পর এক সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা।
তবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, যুবলীগের নাম বিক্রি করে যারা দখলবাজি ও টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত তারা যুবলীগের কেউ নন। যুবলীগ ক্লিন ইমেজে রাজনীতি করছে।
এ দু’নেতাই বলেন, এসব অপকর্ম ও খুনের ঘটনায় দলীয় হাইকমান্ড তালিকা চেয়েছে। এসব তালিকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের যারা খুন হয়েছেন সেসব ব্যক্তিদের নাম অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।
তালিকার তথ্যমতে, গত ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ হালিশহর মেহের আফজল স্কুলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে দিয়ে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিনকে হত্যা করে যুবলীগ নেতা হাজী ইকবালের অনুসারীরা। ওই স্কুলের নেতৃত্ব দখলের দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
তার ঠিক এক মাসের মাথায় ২৭শে এপ্রিল ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ উদ্দিন রাসেলের গুলিতে খুন হন চকবাজার থানার বাকলিয়া ডিসি রোডের যুবলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম। এর আগে গত ১৬ই জানুয়ারি নগরীর জামাল খান আইডিয়াল স্কুলের সামনে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রলীগ নেতা আদনান ইসফারকে। ওই হত্যাকাণ্ডে আদনানের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়েছিল হামলাকারীরা। অস্ত্রটি সরবরাহ করেছিল মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে আরো এক ছাত্রলীগ নেতাকে ধারালো ছুরির আঘাতে খুন করা হয়।
২০১৭ সালের ৩রা ডিসেম্বর নগরীর কদমতলীতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন পরিবহন ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ চৌধুরী। ঘটনার পরপরই অভিযোগ ওঠে, সিআরবি জোড়া খুন মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার অনুসারীরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
২০১৭ সালের ৬ই অক্টোবর সদরঘাটের দক্ষিণ নালাপাড়া বাসার সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সমপাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
১৮ই মে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে খুন হন প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা মো. লোকমান (৩৮)। তিনি ফতেহপুর ইউনিয়নের মুনির আহমেদের পুত্র। যিনি স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সমপাদক। গভীর রাতে হাটহাজারীর ফতেপুর এলাকার হেলাল চৌধুরীপাড়ায় নিজের বাড়ির কাছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
একইদিনে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে গুলিতে হত্যা করা হয় আরেক যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ওরফে বচা বাবলু নামের একজনকে। পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে নিহত বাবলু পুলিশের খাতায় একজন সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ ছিল।
১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণের কাজ বন্ধ করার ঘটনায় শরিফ (২৭) নামের এক যুবলীগ কর্মী খুন হয়েছেন। তার বাড়ি নগরীর লালখান বাজার চানমারি রোডে। তিনি প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক। চট্টগ্রামে সুইমিং পুল নির্মাণের পক্ষে মেয়র আ জ ম নাছির ও তার বিরোধিতা করে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এর আগে ১২ই ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার আমতলী এলাকায় নিজ দলের প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন ইয়াছির আরাফাত তাওরাত নামের ছাত্রলীগের আরেক কর্মী। ইয়াছির চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, কয়েক মাস ধরে নগর ছাত্রলীগের একটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল ইয়াছির আরাফাতের। সেই ঘটনার জের ধরে তার গলার বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে তারা। ওই বছরের ৬ই ফেব্রুয়ারি নগরীর বাকলিয়ায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা তানজিরুলকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের কর্মীরা।
২০১৬ সালের ২০শে নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যামপাসে নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সমপাদক দিয়াজ ইরফানের লাশ। এই ঘটনায় তার মা ও পরিবারের লোকজন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দলটির একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেন।
২০১৬ সালের ২৮শে মার্চ চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয় মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী ও এমবিএ’র ছাত্র নাসিম আহমেদ সোহেলকে। ওই বছর খুন হন ৬ জন।
২০১৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ এলাকায় খুন হয় যুবলীগ নেতা মেহেদি হাসান বাদল। ওই সালের ২রা জুন পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আসাদুল মিয়া নামে একজনের মাথার খুলি উড়ে যায়।
২০১৪ সালের ১৪ই ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয় ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার।
২০১৩ সালের ২৪শে জানুয়ারি সিআরবি এলাকায় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও সাইফুল ইসলাম লিমনের অনুসারীদের প্রকাশ্যে সংঘর্ষে নিহত হয় সাত বছরের শিশু আরমান এবং সাজু পালিত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী।
২০১২ সালের ১২ই জানুয়ারি শাহ আমানত হলে হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে শিবিরের শাহ আমানত হল শাখার সাধারণ সমপাদক মামুন হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনায় চট্টগ্রামে দলের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে। তবে আমি বলবো এসব অপরাধ ব্যক্তিগত কারণে হয়েছে। সাংগঠনিক কারণে হলে তার দায় দল নিতো, ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল কেন নেবে? আমি চাই খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কতিপয় নেতাকর্মী বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি, পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ, মাদক-জুয়ার আসর ও বস্তি নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাথের হকার নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল দখল, দখলবাজি এবং এলাকায় চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে গ্রুপিং রাজনীতির কারণে নিজেদের মধ্যে ঘটছে একের পর এক সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা।
তবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, যুবলীগের নাম বিক্রি করে যারা দখলবাজি ও টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত তারা যুবলীগের কেউ নন। যুবলীগ ক্লিন ইমেজে রাজনীতি করছে।
এ দু’নেতাই বলেন, এসব অপকর্ম ও খুনের ঘটনায় দলীয় হাইকমান্ড তালিকা চেয়েছে। এসব তালিকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের যারা খুন হয়েছেন সেসব ব্যক্তিদের নাম অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।
তালিকার তথ্যমতে, গত ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ হালিশহর মেহের আফজল স্কুলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে দিয়ে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিনকে হত্যা করে যুবলীগ নেতা হাজী ইকবালের অনুসারীরা। ওই স্কুলের নেতৃত্ব দখলের দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
তার ঠিক এক মাসের মাথায় ২৭শে এপ্রিল ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ উদ্দিন রাসেলের গুলিতে খুন হন চকবাজার থানার বাকলিয়া ডিসি রোডের যুবলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম। এর আগে গত ১৬ই জানুয়ারি নগরীর জামাল খান আইডিয়াল স্কুলের সামনে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রলীগ নেতা আদনান ইসফারকে। ওই হত্যাকাণ্ডে আদনানের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়েছিল হামলাকারীরা। অস্ত্রটি সরবরাহ করেছিল মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে আরো এক ছাত্রলীগ নেতাকে ধারালো ছুরির আঘাতে খুন করা হয়।
২০১৭ সালের ৩রা ডিসেম্বর নগরীর কদমতলীতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন পরিবহন ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ চৌধুরী। ঘটনার পরপরই অভিযোগ ওঠে, সিআরবি জোড়া খুন মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার অনুসারীরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
২০১৭ সালের ৬ই অক্টোবর সদরঘাটের দক্ষিণ নালাপাড়া বাসার সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সমপাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
১৮ই মে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে খুন হন প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা মো. লোকমান (৩৮)। তিনি ফতেহপুর ইউনিয়নের মুনির আহমেদের পুত্র। যিনি স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সমপাদক। গভীর রাতে হাটহাজারীর ফতেপুর এলাকার হেলাল চৌধুরীপাড়ায় নিজের বাড়ির কাছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
একইদিনে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে গুলিতে হত্যা করা হয় আরেক যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ওরফে বচা বাবলু নামের একজনকে। পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে নিহত বাবলু পুলিশের খাতায় একজন সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ ছিল।
১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণের কাজ বন্ধ করার ঘটনায় শরিফ (২৭) নামের এক যুবলীগ কর্মী খুন হয়েছেন। তার বাড়ি নগরীর লালখান বাজার চানমারি রোডে। তিনি প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক। চট্টগ্রামে সুইমিং পুল নির্মাণের পক্ষে মেয়র আ জ ম নাছির ও তার বিরোধিতা করে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এর আগে ১২ই ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার আমতলী এলাকায় নিজ দলের প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন ইয়াছির আরাফাত তাওরাত নামের ছাত্রলীগের আরেক কর্মী। ইয়াছির চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, কয়েক মাস ধরে নগর ছাত্রলীগের একটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল ইয়াছির আরাফাতের। সেই ঘটনার জের ধরে তার গলার বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে তারা। ওই বছরের ৬ই ফেব্রুয়ারি নগরীর বাকলিয়ায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা তানজিরুলকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের কর্মীরা।
২০১৬ সালের ২০শে নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যামপাসে নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সমপাদক দিয়াজ ইরফানের লাশ। এই ঘটনায় তার মা ও পরিবারের লোকজন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দলটির একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেন।
২০১৬ সালের ২৮শে মার্চ চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয় মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী ও এমবিএ’র ছাত্র নাসিম আহমেদ সোহেলকে। ওই বছর খুন হন ৬ জন।
২০১৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ এলাকায় খুন হয় যুবলীগ নেতা মেহেদি হাসান বাদল। ওই সালের ২রা জুন পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আসাদুল মিয়া নামে একজনের মাথার খুলি উড়ে যায়।
২০১৪ সালের ১৪ই ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয় ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার।
২০১৩ সালের ২৪শে জানুয়ারি সিআরবি এলাকায় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও সাইফুল ইসলাম লিমনের অনুসারীদের প্রকাশ্যে সংঘর্ষে নিহত হয় সাত বছরের শিশু আরমান এবং সাজু পালিত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী।
২০১২ সালের ১২ই জানুয়ারি শাহ আমানত হলে হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে শিবিরের শাহ আমানত হল শাখার সাধারণ সমপাদক মামুন হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনায় চট্টগ্রামে দলের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে। তবে আমি বলবো এসব অপরাধ ব্যক্তিগত কারণে হয়েছে। সাংগঠনিক কারণে হলে তার দায় দল নিতো, ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল কেন নেবে? আমি চাই খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক।
No comments