মাদ্রাসার সংখ্যালঘু মর্যাদা বহাল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে, স্বাগত জানালেন কামরুজ্জামান
মাদ্রাসাকে
সংখ্যালঘু মর্যাদার বিরোধিতা করে দায়ের করা মামলা ভারতের সুপ্রিম কোর্টে
খারিজ হয়ে গেছে। উচ্চ আদালতের এ সংক্রান্ত রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন 'সারা
বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন'র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।
আজ (সোমবার) রেডিও তেহরানকে তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলোকে সংখ্যালঘু মর্যাদা তুলে দেয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল গতকাল সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, মাদ্রাসাগুলো সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান। ওই রায় অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।’
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলো সংখ্যালঘু মুসলিমদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে বজায় রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোনো মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের যদি মনে হয় তারা সংখ্যালঘু মর্যাদা রাখবেন না সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু সার্বিকভাবে সমস্ত মাদ্রাসার সংখ্যালঘু মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার কোনো অধিকার কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের নেই। আমরা এ ধরণের পদক্ষেপের বিরোধিতা করছি। সুপ্রিম কোর্ট যে ইতিবাচক রায় দিয়েছে এক্ষেত্রে তা মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।’
মাদ্রাসা সম্পর্কিত কোলকাতা হাইকোর্টে চলা একটি মামলাকে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানির জন্য স্থানান্তরের আবেদন করেছিল মুর্শিদাবাদের চৈতানী হাই মাদ্রাসা। কিন্তু ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টে মাদ্রাসা মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত বলেন,‘আপনার যদি বাড়তি সুবিধা নিতে আপত্তি হয়, নেবেন না। কিন্তু অন্যের বাড়তি সুবিধায় আপত্তি তুলছেন কেন?’
পশ্চিমবঙ্গে ৬১৪ মাদ্রাসা রয়েছে। মাদ্রাসার সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেয়া নিয়ে চলা মামলার জেরে মাদ্রাসায় নিয়োগ এবং তিন হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। এরফলে গত পাঁচ বছর মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষক নিয়োগও হয়নি।
আজ (সোমবার) রেডিও তেহরানকে তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলোকে সংখ্যালঘু মর্যাদা তুলে দেয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল গতকাল সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, মাদ্রাসাগুলো সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান। ওই রায় অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।’
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলো সংখ্যালঘু মুসলিমদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে বজায় রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোনো মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের যদি মনে হয় তারা সংখ্যালঘু মর্যাদা রাখবেন না সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু সার্বিকভাবে সমস্ত মাদ্রাসার সংখ্যালঘু মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার কোনো অধিকার কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের নেই। আমরা এ ধরণের পদক্ষেপের বিরোধিতা করছি। সুপ্রিম কোর্ট যে ইতিবাচক রায় দিয়েছে এক্ষেত্রে তা মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।’
মাদ্রাসা সম্পর্কিত কোলকাতা হাইকোর্টে চলা একটি মামলাকে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানির জন্য স্থানান্তরের আবেদন করেছিল মুর্শিদাবাদের চৈতানী হাই মাদ্রাসা। কিন্তু ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টে মাদ্রাসা মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত বলেন,‘আপনার যদি বাড়তি সুবিধা নিতে আপত্তি হয়, নেবেন না। কিন্তু অন্যের বাড়তি সুবিধায় আপত্তি তুলছেন কেন?’
পশ্চিমবঙ্গে ৬১৪ মাদ্রাসা রয়েছে। মাদ্রাসার সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেয়া নিয়ে চলা মামলার জেরে মাদ্রাসায় নিয়োগ এবং তিন হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। এরফলে গত পাঁচ বছর মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষক নিয়োগও হয়নি।
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান |
No comments