‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধের পর যে উপায়ে হবে ধর্ষণ পরবর্তী পরীক্ষা by উদিসা ইসলাম
ধর্ষণের
শিকার নারীকে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিষিদ্ধ করেছেন উচ্চ
আদালত। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা ‘প্রটোকল ফর হেলথ কেয়ার
প্রোভাইডার্স’-এর আলোকে এবং হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ধর্ষণের শিকার নারীর
মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে টু-ফিঙ্গার
টেস্টের বিরোধিতা করে যারা এর প্রতিকার চেয়েছেন, সেসব নারীনেত্রী ও
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘প্রটোকল ফর হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার্স’ বিষয়টি
অনেক বিস্তারিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও চিকিৎসকদের মানাতে হলে
বিষয়টি আরও সুনির্দিষ্টভাবে তৈরি করতে হবে। এরপর এটি বাংলা ভাষায় সবায় মাঝে
ছড়িয়ে দেওয়া যায় কিনা, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।
২০১৩ সালে উচ্চ আদালত একটি রিটের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সচিবকে ধর্ষণের শিকার কন্যাশিশু ও নারীদের পরীক্ষার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। তখন তিন মাসের মধ্যে ওই কমিটিকে একটি খসড়া নীতিমালা করে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়। এ নির্দেশের পর সরকার ‘হেলথ রেসপন্স টু জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স: প্রটোকল ফর হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার্স’ নামে একটি গাইডলাইন তৈরি করে। সম্প্রতি টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়া রায়ে এই গাইডলাইনের আলোকে ভিকটিমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় বলছে, শিগগিরই তারা এই গাইডলাইনটি মেনে চলার নির্দেশনাসহ বিভিন্ন থানায় ও হাসপাতালে পাঠাবেন। তবে কবে নাগাদ সেটি প্রয়োগ করা হবে, তার কোনও সুনির্দিষ্ট সময় বলেননি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কী আছে প্রটোকলে
ধর্ষণের শিকার নারী-কিশোরী-শিশুর ক্ষেত্রে তার মেডিক্যাল পরীক্ষার উপায় এবং সরঞ্জাম বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে প্রটোকলে। এছাড়া, ভিকটিমের কাছ থেকে তথ্য কতটা নেওয়া যাবে, কাকে তথ্য দেওয়া যাবে বা গোপনীয়তা রক্ষায় করণীয় কী, সেগুলো নিয়েও নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যাতে জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স বিষয়ে জানতে পারেন এবং সেগুলো কীভাবে হ্যান্ডল করা যেতে পারে, সেগুলোরও একটি দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে প্রটোকলে। যা কিনা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সবক’টি বিভাগের সঙ্গে জড়িতদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি বলে উল্লেখ আছে। এতে বলা আছে, ‘কোনও ক্ষতি করা যাবে না’ পদ্ধতি অবলম্বন করে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা ভাবার সময় মানসিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখতে হবে।
কেন ফরেনসিক পরীক্ষা জরুরি বলতে গিয়ে প্রটোকলে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে—কোনও ধরনের যৌন সংসর্গ ঘটেছে কিনা, বা ঘটার জন্য জোর করা হয়েছে কিনা, যৌন মিলন সাম্প্রতিক কিনা, সম্মতিতে নাকি অসম্মতিতে ঘটেছে ইত্যাদি। মোট ১১টি ভাগে প্রটোকলে উল্লেখ আছে—ঠিক কোন কোন বিষয়ে এবং কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে হবে। সর্বোপরি, বরাবরের মতো বিতর্কিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’-এর বিষয়টি প্রটোকলে একেবারেই উল্লেখ নেই। শিশুদের পরীক্ষা করার বিষয়ে আলাদা করে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে। যার মধ্যে ধর্ষণের শিকার নারী, শিশু ও তরুণীর ক্ষেত্রে কেন স্পার্স স্পেক্যুলাম ব্যবহার করা যাবে না এবং ব্যবহার করতে বাধ্য হলে অন্তত তাকে অচেতন করে নিতে হবে কেন, সেসবের উল্লেখ আছে। শিশু-কিশোরদের জন্য এই পরীক্ষা ভীষণ যন্ত্রণার বিধায় বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. জাহাঙ্গীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘টু ফিঙ্গার টেস্টটি অমানবিক এবং সময়ের তুলনায় অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছিল। এখন ধর্ষণের পরীক্ষার জন্য যা যা তথ্য লাগে, সেগুলো পেতে অন্য অনেক রকম উপায় আছে। সেগুলো কীভাবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। এই প্রটোকল বাস্তবায়নে যা যা করণীয় এবং এই পরীক্ষার কাজের সঙ্গে জড়িতদের নানা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যোগ্য করে তোলার কাজটি জরুরি।’
রায়ের দিকনির্দেশনা
টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ করে রায়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এতে বলা হয়েছে, ‘ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর পরীক্ষা একজন নারী চিকিৎসক বা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে করাতে হবে। এ সময় একজন নারী গাইনোকোলজিস্ট, একজন নারী ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ভিকটিমের একজন নারী আত্মীয়, একজন নারী পুলিশ সদস্য ও নারী সেবিকা রাখতে হবে।’ দ্বিতীয়ত এবং সবচেয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হলো, ‘ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ যে সনদ দেবেন, তাতে অভ্যাসগত যৌনতা (হ্যাবিচুয়েট) বলে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া খন্দকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেউ যৌন সম্পর্কে অভ্যাসগত এমন কারও ক্ষেত্রে ধর্ষণ হবে না, বিষয়টি এমন না মোটেই। এটি নারীর সম্মতি-অসম্মতির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিবাহিত, পেশাগতভাবে যৌনকর্মী তাদেরও যৌনসম্পর্কে সম্মতির ব্যাপার থাকে। কেউ ধর্ষণের শিকার হলে, তিনি যৌনসম্পর্কে অভ্যস্ত বলার মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের দিকে নির্দেশ করার যে প্রবণতা, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেটি বন্ধ হবে।’
রায়ে হেলথ কেয়ার প্রটোকল ব্যাপকভাবে প্রচার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে বিশেষ করে চিকিৎসক, আদালত, পাবলিক প্রসিকিউটর, ধর্ষণ মামলায় পুলিশের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা, উৎসাহী আইনজীবীদের কাছে সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হেলথ কেয়ার প্রটোকল বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সেমিনার করতে বলা হয়েছে। এই রিটের আইনজীবী শারমীন আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এটি করা খুব জরুরি। আমাদের দেশে পেশাগত জায়গায় যারা এই কাজগুলো করার কথা, তাদের হয়তো সেই ধৈর্য নেই যে, এত বড় প্রটোকল পড়ে তাদের অংশটুকু তারা বের করবেন। ফলে কেবল ধর্ষণের পরীক্ষার সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন যে অংশটুকু, তা আলাদা করে বাংলা ভাষায় হাজির করা গেলে এবং বাস্তবায়নের বিষয়টি যদি মনিটরিং করা যায়, তাহলে সেটি কাজের হবে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা ও সুরক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (জনস্বাস্থ্য) পারভিন আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে প্রটোকলটি সংশ্লিষ্টদের মেনে চলতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে। নিয়মানুযায়ী এটি হাসপাতাল বিভাগ থেকে দেওয়া হবে।’
২০১৩ সালে উচ্চ আদালত একটি রিটের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সচিবকে ধর্ষণের শিকার কন্যাশিশু ও নারীদের পরীক্ষার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। তখন তিন মাসের মধ্যে ওই কমিটিকে একটি খসড়া নীতিমালা করে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়। এ নির্দেশের পর সরকার ‘হেলথ রেসপন্স টু জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স: প্রটোকল ফর হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার্স’ নামে একটি গাইডলাইন তৈরি করে। সম্প্রতি টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়া রায়ে এই গাইডলাইনের আলোকে ভিকটিমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় বলছে, শিগগিরই তারা এই গাইডলাইনটি মেনে চলার নির্দেশনাসহ বিভিন্ন থানায় ও হাসপাতালে পাঠাবেন। তবে কবে নাগাদ সেটি প্রয়োগ করা হবে, তার কোনও সুনির্দিষ্ট সময় বলেননি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কী আছে প্রটোকলে
ধর্ষণের শিকার নারী-কিশোরী-শিশুর ক্ষেত্রে তার মেডিক্যাল পরীক্ষার উপায় এবং সরঞ্জাম বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে প্রটোকলে। এছাড়া, ভিকটিমের কাছ থেকে তথ্য কতটা নেওয়া যাবে, কাকে তথ্য দেওয়া যাবে বা গোপনীয়তা রক্ষায় করণীয় কী, সেগুলো নিয়েও নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যাতে জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স বিষয়ে জানতে পারেন এবং সেগুলো কীভাবে হ্যান্ডল করা যেতে পারে, সেগুলোরও একটি দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে প্রটোকলে। যা কিনা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সবক’টি বিভাগের সঙ্গে জড়িতদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি বলে উল্লেখ আছে। এতে বলা আছে, ‘কোনও ক্ষতি করা যাবে না’ পদ্ধতি অবলম্বন করে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা ভাবার সময় মানসিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখতে হবে।
কেন ফরেনসিক পরীক্ষা জরুরি বলতে গিয়ে প্রটোকলে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে—কোনও ধরনের যৌন সংসর্গ ঘটেছে কিনা, বা ঘটার জন্য জোর করা হয়েছে কিনা, যৌন মিলন সাম্প্রতিক কিনা, সম্মতিতে নাকি অসম্মতিতে ঘটেছে ইত্যাদি। মোট ১১টি ভাগে প্রটোকলে উল্লেখ আছে—ঠিক কোন কোন বিষয়ে এবং কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে হবে। সর্বোপরি, বরাবরের মতো বিতর্কিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’-এর বিষয়টি প্রটোকলে একেবারেই উল্লেখ নেই। শিশুদের পরীক্ষা করার বিষয়ে আলাদা করে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে। যার মধ্যে ধর্ষণের শিকার নারী, শিশু ও তরুণীর ক্ষেত্রে কেন স্পার্স স্পেক্যুলাম ব্যবহার করা যাবে না এবং ব্যবহার করতে বাধ্য হলে অন্তত তাকে অচেতন করে নিতে হবে কেন, সেসবের উল্লেখ আছে। শিশু-কিশোরদের জন্য এই পরীক্ষা ভীষণ যন্ত্রণার বিধায় বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. জাহাঙ্গীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘টু ফিঙ্গার টেস্টটি অমানবিক এবং সময়ের তুলনায় অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছিল। এখন ধর্ষণের পরীক্ষার জন্য যা যা তথ্য লাগে, সেগুলো পেতে অন্য অনেক রকম উপায় আছে। সেগুলো কীভাবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। এই প্রটোকল বাস্তবায়নে যা যা করণীয় এবং এই পরীক্ষার কাজের সঙ্গে জড়িতদের নানা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যোগ্য করে তোলার কাজটি জরুরি।’
রায়ের দিকনির্দেশনা
টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ করে রায়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এতে বলা হয়েছে, ‘ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর পরীক্ষা একজন নারী চিকিৎসক বা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে করাতে হবে। এ সময় একজন নারী গাইনোকোলজিস্ট, একজন নারী ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ভিকটিমের একজন নারী আত্মীয়, একজন নারী পুলিশ সদস্য ও নারী সেবিকা রাখতে হবে।’ দ্বিতীয়ত এবং সবচেয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হলো, ‘ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ যে সনদ দেবেন, তাতে অভ্যাসগত যৌনতা (হ্যাবিচুয়েট) বলে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া খন্দকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেউ যৌন সম্পর্কে অভ্যাসগত এমন কারও ক্ষেত্রে ধর্ষণ হবে না, বিষয়টি এমন না মোটেই। এটি নারীর সম্মতি-অসম্মতির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিবাহিত, পেশাগতভাবে যৌনকর্মী তাদেরও যৌনসম্পর্কে সম্মতির ব্যাপার থাকে। কেউ ধর্ষণের শিকার হলে, তিনি যৌনসম্পর্কে অভ্যস্ত বলার মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের দিকে নির্দেশ করার যে প্রবণতা, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেটি বন্ধ হবে।’
রায়ে হেলথ কেয়ার প্রটোকল ব্যাপকভাবে প্রচার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে বিশেষ করে চিকিৎসক, আদালত, পাবলিক প্রসিকিউটর, ধর্ষণ মামলায় পুলিশের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা, উৎসাহী আইনজীবীদের কাছে সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হেলথ কেয়ার প্রটোকল বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সেমিনার করতে বলা হয়েছে। এই রিটের আইনজীবী শারমীন আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এটি করা খুব জরুরি। আমাদের দেশে পেশাগত জায়গায় যারা এই কাজগুলো করার কথা, তাদের হয়তো সেই ধৈর্য নেই যে, এত বড় প্রটোকল পড়ে তাদের অংশটুকু তারা বের করবেন। ফলে কেবল ধর্ষণের পরীক্ষার সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন যে অংশটুকু, তা আলাদা করে বাংলা ভাষায় হাজির করা গেলে এবং বাস্তবায়নের বিষয়টি যদি মনিটরিং করা যায়, তাহলে সেটি কাজের হবে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা ও সুরক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (জনস্বাস্থ্য) পারভিন আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে প্রটোকলটি সংশ্লিষ্টদের মেনে চলতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে। নিয়মানুযায়ী এটি হাসপাতাল বিভাগ থেকে দেওয়া হবে।’
No comments