বালিয়াকান্দির মানুষ বিক্রির হাট
এরপর বিক্রি হয়েছেন ৩৮০ টাকায়। দুপুর ১টা পর্যন্ত কাজ শেষ করে বাড়ি চলে যাবেন। চষাবিলা গ্রামের রতন ও মৃগীর হেদু জানান, তারা ভ্যান যোগে ৪-৫জন মিলে এক সাথে এসেছেন। বিক্রি হওয়ার পর কাজ শেষ করে ওই ভ্যানেই বাড়িতে চলে যাবেন। এ অঞ্চলে পিঁয়াজের চাষ বেশি হওয়ার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে এসেও বিক্রি হয়ে কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরতে পারেন। এজন্য বিভিন্ন এলাকার লোকজন বেশি জড়ো হন। অলংকারপুর গ্রামের আহম্মদ আলী ও মোহন ফকির জানান, তাদের বাড়ির কাছে হাট হওয়ার কারণে কোনো কষ্ট করতে হয় না। পায়ে হেঁটে গিয়েই বিক্রি হন। কাজ শেষ করেই বাড়ি ফেরেন। প্রতিদিন ভোরে মানুষ বিক্রির হাট বসার কারণে পাংশা, শ্রীপুর, মধুখালী উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসে ভ্যান, নসিমনসহ বিভিন্ন গাড়িযোগে। কাজ শেষ করে আবার ফিরে যান। মানুষ ক্রয় করতে আসা হাফিজুল, অমল, কৃষ্ণ, হরেন্দ্রনাথ, এনামুল জানান, এখন পেঁয়াজের আবাদের মৌসুম চলছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লোকজন পাওয়া যায় না। এজন্য জঙ্গল বাজার থেকে প্রতিদিন যে যার মতো লোক দরকার তা সহজেই ক্রয় করে নিয়ে যান। এতে তাদের কাজও সহজে হয়। এখানে কেউ বিক্রি হতে এসে ফেরত যায় না। দূর-দূরান্তের লোকজন আসে গাড়ি নিয়ে। কাজ শেষ করার পর ওই গাড়িতেই আবার ফেরত চলে যান।
No comments