কনকনে শীতেও যে সব ফুল মন রাঙায়
কনকনে
শৈত প্রবাহের মধ্যে দিয়ে চলছে শীত। সকাল সন্ধ্যা প্রকৃতি কুয়াশায় ঢাকা
থাকলেও কোথাও কোথাও সকালে কিংবা মধ্য দুপুরে সূর্যের উকি দেয়া রোদ আকৃষ্ট
করছে শীতার্ত মানুষকে। এমনি চলমান শীতে সময় এসেছে বাড়ির আঙিনা কিংবা ছাদে
সকাল কিংবা দুপুরের মিষ্টি রোদে গা এলিয়ে দেয়ার। শীতের বিভিন্ন আমেজের সাথে
প্রকৃতিতে বাড়তি যোগ হচ্ছে ফুল। বাহারি রঙের ফুল শীতের মাঝেও সবার মন
রাঙায়। অনেক সৌকিন মানুষ বাড়ির আঙিনায় কিংবা ছাদে ফুলের বাগান করতে
ভালোবাসে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিভিন্ন নার্সারীতে ও সৌখিন কিছু লোকের
বাড়ির আঙিনায়ও বিভিন্ন ফুলের বাগান দেখা যায়। শীতে নানা জাতের হাজারো ফুল
ফোটে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শিউলি, সূর্যমুখী, গাঁদা, ডালিয়া,
সেলভিয়া, বাগানবিলাস, চন্দ্রমল্লিকা, কসমস, গ্লাডিওলাস ও বিভিন্ন ধরনের
গোলাপ।
গাঁদা : এটি অনেকেরই প্রিয় ফুল। শীত অথবা গরম সব সময়ই এ ফুল ফোটে। তবে শীতেই বেশি হয় গাঁদা ফুলের চাষ। এ ফুলের জন্য বিশেষ কোনো যত্ন না করলেও চলে। তবে অবশ্যই রোদে রাখতে হবে। গাঁদা অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে- বড় ইনকা গাঁদা, ছোট ছোট চায়না গাঁদা, রক্ত গাঁদা, দেশি গাঁদা, জাম্বো গাঁদা উল্লেখযোগ্য। লাল, হলুদ, কমলা ফুলের মধ্যে হলুদ গাঁদা বেশি জনপ্রিয়।
সূর্যমুখী : শীতের ফুল সূর্যমুখী। এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্য্যরে মতো। সূর্য্যরে দিকে মুখ করে থাকে বলে এর নাম হয়েছে সূর্যমুখী। এর বীজ হাঁস মুরগির খাদ্যরূপে ও তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে তেল বের করা হয়। তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। সূর্যমুখীর তেল ‘ঘি’ এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়, যা বনস্পতি তেল নামে পরিচিত। এই তেল অন্যান্য রান্নার তেল থেকে ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকরী।
ডালিয়া : ডালিয়া শীতকালীন ফুল। বর্ণ-বৈচিত্র্য, দৃষ্টিনন্দন পাপড়ির জন্য এটি জনপ্রিয়। সুইডেনের উদ্যানতত্ত্ববিদ আন্দ্রেডালের নামানুসারে এ ফুলের নামকরণ করা হয় ডালিয়া। এ ফুলের আদি বাসস্থান মেক্সিকোর গুয়াতেমালায়। লর্ডবুটি নামের এক ব্যক্তি স্পেন থেকে ডালিয়া ফুল প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসেন। সেই ফুল দেখে সুইডেনের উদ্ভিদতত্ত্ববিদ আন্দ্রিয়াস গুস্তাভ ডাল নিজের নামের অনুকরণে ফুলের নাম রাখেন ডালিয়া। ডালিয়ার উন্নত জাতের মধ্যে রয়েছে- রেড মনার্ক, সিঙ্গল, স্টার, অ্যানেমিন ফাওয়ার্ড, কলারেট, পিওনি ফাওয়ার্ড, ফরমাল ডেকোরেটিভ, ইন ফরমাল ডেকোরেটিভ, ডবল শো ফ্যান্সি, পম্পন, রয়্যাল হোয়াইট, ক্যাকটাস, ভ্যারাইটি গার্ল প্রভৃতি।
শিউলি : শরৎ ও হেমন্তকালের শিশির ভেজা সকালে ঝরে পড়া শিউলি দেখা গেলেও এই ফুল শীত ঋতু পর্যন্ত সুবাস ছড়ায়। এই ফুল রাতে ফোটে, সকালে ঝরে যায়। এটি শেফালী নামেও পরিচিত।
চন্দ্রমল্লিকা : এটি চীনের ওষুধি ফুলের গাছ। কিন্তু জাপানিরা এর উন্নত রূপ দিয়েছে। এই ফুলটি জাপানের রাজ-পরিবারে বিশেষ প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়। এ ফুল প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রকারের হয়ে থাকে। ফুলগুলো গোলাকার, পুরু, জটাবাঁধা প্রভৃতি রূপে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পানি বা জলাবদ্ধতা এর জন্য ক্ষতিকারক। সাধারণত অক্টোবর মাসে এ গাছে কুঁড়ি ধরে। এবং নভেম্বর মাসে ফুল ফোটে। গাছে ফুল তাজা থাকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন।
কসমস : শীতকাল এলেই অনেকের বাগানে দেখা যায় সবুজ এক প্রকার গাছ। কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন রঙের ফুল ফুটে তাতে। এর নাম কসমস। আগে শুধু হলুদ বা কমলা রঙের কসমস দেখা যেতো। এখন বিভিন্ন রকমের হালকা-গাঢ় গোলাপি, মেরুন এবং সাদা কসমস দেখতে পাওয়া যায়। কসমসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হয় মেক্সিকোকে। আমেরিকার ফ্লোরিডা, অ্যারিজোনা এমনকি প্যারাগুয়ে পর্যন্ত এই ফুলের বিভিন্ন ধরণ প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়।
গ্লাডিওলাস : গ্লাডিওলাস ফুল আমাদের দেশে এখন অনেক জনপ্রিয়। এ ফুল কমবেশি সারাবছরই উৎপাদন করা হয়। বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এ ফুল। তার মধ্যে সাদা, হলুদ, গোলাপী, লাল, ফিকে লাল, বেগুনী ইত্যাদি। টিনা, পুনম, ফ্রেন্ডশিপ, হোয়াইট ফ্রেন্ডশিপসহ বিভিন্ন প্রজাতির গ্লাডিওলাস ফুল রয়েছে।
গোলাপ : গোলাপকে ফুলের রানি বলা হয়। গোলাপ এমনই একটা ফুল যা সারা বছর ফোটে। পৃথিবীতে প্রজাতি ও উপ প্রজাতি মিলেয়ে প্রায় ৫৫০টি আলাদা আলাদা গোলাপের অস্তিত্ব রয়েছে। কয়েক জাতের বিদেশি গোলাপের মধ্যে রয়েছে- রানি এলিজাবেথ, ব্ল্যাক প্রিন্স, ইরান, মিরিন্ডা, পাপা মিলাঁ, আইসবার্গ, রোজ গুজার্ড, বেংগলি, কুইন এলিজাবেথ, জুলিয়াস রোজ, ডাচ গোল্ড, সানসিল্ক, কিংস উল্লেখযোগ্য। আর দেশি জাতের মধ্যে রয়েছে- ফাতেমা ছাত্তার, মল্লিক, রাহেলা হামিদ, পিয়ারী, ভাসানী, শের-এ-বাংলা, জয়ন্তি, শিবলী উল্লেখযোগ্য।
গাঁদা : এটি অনেকেরই প্রিয় ফুল। শীত অথবা গরম সব সময়ই এ ফুল ফোটে। তবে শীতেই বেশি হয় গাঁদা ফুলের চাষ। এ ফুলের জন্য বিশেষ কোনো যত্ন না করলেও চলে। তবে অবশ্যই রোদে রাখতে হবে। গাঁদা অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে- বড় ইনকা গাঁদা, ছোট ছোট চায়না গাঁদা, রক্ত গাঁদা, দেশি গাঁদা, জাম্বো গাঁদা উল্লেখযোগ্য। লাল, হলুদ, কমলা ফুলের মধ্যে হলুদ গাঁদা বেশি জনপ্রিয়।
সূর্যমুখী : শীতের ফুল সূর্যমুখী। এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্য্যরে মতো। সূর্য্যরে দিকে মুখ করে থাকে বলে এর নাম হয়েছে সূর্যমুখী। এর বীজ হাঁস মুরগির খাদ্যরূপে ও তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে তেল বের করা হয়। তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। সূর্যমুখীর তেল ‘ঘি’ এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়, যা বনস্পতি তেল নামে পরিচিত। এই তেল অন্যান্য রান্নার তেল থেকে ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকরী।
ডালিয়া : ডালিয়া শীতকালীন ফুল। বর্ণ-বৈচিত্র্য, দৃষ্টিনন্দন পাপড়ির জন্য এটি জনপ্রিয়। সুইডেনের উদ্যানতত্ত্ববিদ আন্দ্রেডালের নামানুসারে এ ফুলের নামকরণ করা হয় ডালিয়া। এ ফুলের আদি বাসস্থান মেক্সিকোর গুয়াতেমালায়। লর্ডবুটি নামের এক ব্যক্তি স্পেন থেকে ডালিয়া ফুল প্রথমে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসেন। সেই ফুল দেখে সুইডেনের উদ্ভিদতত্ত্ববিদ আন্দ্রিয়াস গুস্তাভ ডাল নিজের নামের অনুকরণে ফুলের নাম রাখেন ডালিয়া। ডালিয়ার উন্নত জাতের মধ্যে রয়েছে- রেড মনার্ক, সিঙ্গল, স্টার, অ্যানেমিন ফাওয়ার্ড, কলারেট, পিওনি ফাওয়ার্ড, ফরমাল ডেকোরেটিভ, ইন ফরমাল ডেকোরেটিভ, ডবল শো ফ্যান্সি, পম্পন, রয়্যাল হোয়াইট, ক্যাকটাস, ভ্যারাইটি গার্ল প্রভৃতি।
শিউলি : শরৎ ও হেমন্তকালের শিশির ভেজা সকালে ঝরে পড়া শিউলি দেখা গেলেও এই ফুল শীত ঋতু পর্যন্ত সুবাস ছড়ায়। এই ফুল রাতে ফোটে, সকালে ঝরে যায়। এটি শেফালী নামেও পরিচিত।
চন্দ্রমল্লিকা : এটি চীনের ওষুধি ফুলের গাছ। কিন্তু জাপানিরা এর উন্নত রূপ দিয়েছে। এই ফুলটি জাপানের রাজ-পরিবারে বিশেষ প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়। এ ফুল প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রকারের হয়ে থাকে। ফুলগুলো গোলাকার, পুরু, জটাবাঁধা প্রভৃতি রূপে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পানি বা জলাবদ্ধতা এর জন্য ক্ষতিকারক। সাধারণত অক্টোবর মাসে এ গাছে কুঁড়ি ধরে। এবং নভেম্বর মাসে ফুল ফোটে। গাছে ফুল তাজা থাকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন।
কসমস : শীতকাল এলেই অনেকের বাগানে দেখা যায় সবুজ এক প্রকার গাছ। কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন রঙের ফুল ফুটে তাতে। এর নাম কসমস। আগে শুধু হলুদ বা কমলা রঙের কসমস দেখা যেতো। এখন বিভিন্ন রকমের হালকা-গাঢ় গোলাপি, মেরুন এবং সাদা কসমস দেখতে পাওয়া যায়। কসমসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হয় মেক্সিকোকে। আমেরিকার ফ্লোরিডা, অ্যারিজোনা এমনকি প্যারাগুয়ে পর্যন্ত এই ফুলের বিভিন্ন ধরণ প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়।
গ্লাডিওলাস : গ্লাডিওলাস ফুল আমাদের দেশে এখন অনেক জনপ্রিয়। এ ফুল কমবেশি সারাবছরই উৎপাদন করা হয়। বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এ ফুল। তার মধ্যে সাদা, হলুদ, গোলাপী, লাল, ফিকে লাল, বেগুনী ইত্যাদি। টিনা, পুনম, ফ্রেন্ডশিপ, হোয়াইট ফ্রেন্ডশিপসহ বিভিন্ন প্রজাতির গ্লাডিওলাস ফুল রয়েছে।
গোলাপ : গোলাপকে ফুলের রানি বলা হয়। গোলাপ এমনই একটা ফুল যা সারা বছর ফোটে। পৃথিবীতে প্রজাতি ও উপ প্রজাতি মিলেয়ে প্রায় ৫৫০টি আলাদা আলাদা গোলাপের অস্তিত্ব রয়েছে। কয়েক জাতের বিদেশি গোলাপের মধ্যে রয়েছে- রানি এলিজাবেথ, ব্ল্যাক প্রিন্স, ইরান, মিরিন্ডা, পাপা মিলাঁ, আইসবার্গ, রোজ গুজার্ড, বেংগলি, কুইন এলিজাবেথ, জুলিয়াস রোজ, ডাচ গোল্ড, সানসিল্ক, কিংস উল্লেখযোগ্য। আর দেশি জাতের মধ্যে রয়েছে- ফাতেমা ছাত্তার, মল্লিক, রাহেলা হামিদ, পিয়ারী, ভাসানী, শের-এ-বাংলা, জয়ন্তি, শিবলী উল্লেখযোগ্য।
No comments